সেখানে বলা হলো আল্লাহ হলো কাল্পনিক(নাউজুবিল্লাহ) এবং সে এই যুক্তি দিল যে ধরুন আমার ক্যান্সার বা এইডস এখন আমি যদি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ইমান এনে তাকে বলি আমার ক্যান্সার ভালো করে দিন তিনি করবেন না,কিন্তু কেন?(যেহেতু আল্লাহ বলেন তিনি বান্দার মনোস্কামনা পূরণ করেন)এখন প্রশ্ন আল্লাহ যদি থেকে থাকেন তিনি নিশ্চয় সবই পারবেন।তিনি এতো বড় মাহাবিশ্ব তৈরী করেছেন তাহলে ক্যান্সার সারানো তার পক্ষে অসম্ভব না,কিন্তু তবুও তিনি এরকম কখনো করেন নি,তার মানে আল্লাহ নেই(নাউজুবিল্লাহ)। এমতাবস্থায় ইসলামের সপক্ষে যুক্তি চাই। ওয়েবসাইট - godisimaginary proof এটা লিখে গুগলে সার্চ দিলে পাবেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার লেখায় দুটো পয়েন্ট। দুটো পয়েন্টের আলাদা আলাদা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব(যদিও আমি ধর্মবিশারদ নই)। হে আল্লাহ, আমাকে শক্তি দান করুন।

  • আপনি বলেছেন ক্যান্সার সারানো অসম্ভব। অথচ কথাটি ডাহা মিথ্যা। বর্তমানে ক্যান্সারের সুন্দর চিকিৎসা বের হয়েছে।আমার নানার ভাই কিছুদিন আগেই তো ক্যান্সারের চিকিৎসা করে এলেন। এখন তিনি আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছেন। এনার প্রথম কথাটিই ভুল তথা "বিসমিল্লায় গলদ"। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 
  • আপনার দ্বিতীয় পয়েন্ট এইডস ও আল্লাহর ক্ষমা বিষয়ক। এটি একটু বিস্তৃত ব্যাখার দাবি রাখে। আপনি যদি এইডস সম্পর্কে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে জানবেন যে, শুধুমাত্র একবারের যিনা/অবৈধ সম্পর্কের জন্য এইডস হয় না। এইডস তখনই হয় যখন কোন ব্যক্তি একাধিক নারীর সাথে বারবার অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। আর যিনা ইসলামে হারাম। 
  • তাহলে আপনাকে একটা প্রশ্ন করিঃ- ধরুন, আপনি একটা দোকানের মালিক। আপনার দোকানের কর্মচারী খারাপ। একদিন সে আপনার দোকান থেকে ৫০০ টাকা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল। আপনি দয়ালু মানুষ, তাকে ক্ষমা করে দিলেন। দ্বিতীয়দিন সে এক হাজার টাকা সহ ধরা পড়ল। সে ক্ষমা চাইলে আপনি আবার ক্ষমা করলেন। তৃতীয় দিনও একই ঘটনা, আপনি আবার ক্ষমা করলেন। কিন্তু চতুর্থ দিন যদি সে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ধরা পড়ে, তবে কিন্তু আপনি তাকে ক্ষমা করবেন না, যতই সে ক্ষমা চাক। কারণ আপনি জানেন, এবার তাকে ক্ষমা করলে বাকি কর্মচারীরাও চুরি শুরু করবে।(কারণ তারা জানবে যে ধরা পড়লে আপনি ছেড়ে দেবেন)। এজন্য এবার তাকে সাইজ করবেন। তাই নয় কি?
  • মহান আল্লাহও একই কাজ করবেন। একজন ব্যক্তি জিনার মত জঘন্য কাজ করেছে,কিন্তু আল্লাহ তাকে কিছুই করেননি। দ্বিতীয়, তৃতীয়বারও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। কিন্তু আল্লাহর এত ঠ্যাকা নাই যে একজন বারবার হারাম কাজ করবে আর তাকে শুধু শুধু ছেড়ে দেবেন। কারণ একটা লোক ১০ টা মেয়ের সাথে জিনা করার পর ক্ষমা করে দেন, তবে অন্যরা ভাববে, সমস্যা কী? আল্লাহ তো ক্ষমাশীল। ২০ টা করে মেয়ে ভোগ করব আর একদিন ক্ষমা চাইলেই হয়ে যাবে(নাউজুবিল্লাহ)।  এজন্য আল্লাহ তায়া'লা তাকে দুরারোগ্য ব্যাধি দিয়েছেন। এটাও আল্লাহ তায়া’লার এত দয়াশীল যে তাকে বজ্রপাতে মেরে ফেলেন নি,বরং সময় দিয়েছেন যেন সে তাওবা করতে পারে। আল্লাহ চাইলে আখিরাতে তাকে ক্ষমা করতেও পারেন।(সুবহানাল্লাহ)। আর ঐ গল্পের কর্মচারীর কথা মনে আছে? সে যদি ৫ম দিন ৫০০০০ নিয়ে ধরা পড়ত,আপনি হয়তো এক কোপে তার মাথা আলাদা করে ফেলতেন।
  • অতএব, আল্লাহর প্রতি এমন অভিযোগ আনা নিতান্তই বোকামি। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বোৎকৃষ্ট ক্ষমাশীল। নাস্তিকেরা কখনোই হয়তো বুঝতে চাইবে না,কারণ তাদের অধিকাংশের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
  • বান্দার ছোট, বড়, কঠিন সব রোগই মহান আল্লাহ তায়ালা কোনো ঔষধ ছাড়াই সুস্থ করে দিতে পারেন। তবে শর্ত হলো আল্লাহর কাছে এমনভাবে চাইতে হবে, এমন দিলে চাইতে হবে, এমন অবস্থায় চাইতে হবে, যাতে আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দেন। যেমনঃ খাস নামাজী ও সৎকর্মশীল হয়ে পবিত্র অবস্থায় কান্নাজড়িত কন্ঠে পরিষ্কার মনে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে, দিলকে আল্লাহর জিকির দ্বারা জিন্দা রাখতে হবে, তবেই আল্লাহ বান্দার সবচেয়ে বড় রোগটিও কোনো ঔষধ ছাড়াই ভালো করে দিতে পারেন। এমনভাবে চাইলে আল্লাহ নিঃসন্তান ব‍্যক্তিদেরকেও কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সন্তান দান করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা তো হযরত মরিয়ম (আঃ)-কে কোনো স্বামী ছাড়াই সন্তান দান করেছেন, কারণ হযরত মরিয়ম (আঃ) ছিলো আল্লাহর প্রিয় বান্দী, সতী ও সৎকর্মশীল মহিলা। এখন একজন বেনামাজী, পাপী ব‍্যক্তি যদি অপবিত্র অবস্থায় অপরিষ্কার দিলে তাকওয়াহীন হয়ে আল্লাহকে বলে, কোনো ঔষধ ছাড়াই আমার ক‍্যান্সার ভালো করে দেন, আমাকে সন্তান দেন, তাহলে তার কোনো প্রার্থনাই আল্লাহ কখনো কবুল করবেন না। আল্লাহ চাইলে কোনো ব‍্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ছাড়াই বান্দাকে অসুস্থ করতে পারেন, আবার আল্লাহ চাইলে কোনো ঔষধ, পথ‍্য ছাড়াই বান্দাকে সুস্থ করতে পারেন। আল্লাহ চাইলে সবই পারেন। মনে রাখবেন, আল্লাহ নেক বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। কেউ যদি তার খাস দিল ও খাস ইবাদত দিয়ে আল্লাহকে খুশি করতে পারে, তবে আল্লাহ কোনো ঔষধ ছাড়াই তার সবচেয়ে বড় কঠিন রোগটিও ভালো করে দিতে পারেন, কোনো চিকিৎসা বা মেডিসিন ছাড়াই তাকে সন্তান দান করতে পারেন। তবে কোনো রোগ যদি বান্দার মৃত্যুর উসীলা হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ ঐ রোগের মাধ্যমে বান্দাকে মৃত‍্যুদান করবেন। আর বান্দা যদি খাস দিলে ও খাস ইবাদাতের দ্বারা ঐ রোগ থেকে মুক্তি চায়, তাহলে আল্লাহ তার প্রতিদান পরকালে হলেও বান্দাকে দান করবেন। মনে রাখবেন, অপরিষ্কার দিলে নামাজ কবুল হয় না, রোজা কবুল হয় না, হজ্জ্ব কবুল হয় না, কুরবানী কবুল হয় না, ইবাদত কবুল হয় না, দোয়া কবুল হয় না। যার দিলই অপরিষ্কার, যার বিশ্বাসই আল্লাহ নেই, সে মৌখিক ঈমান দিয়ে কিভাবে আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত হবে? অন্তরে, মুখে ও কাজে তিনটি ক্ষেত্রেই আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসার নামই ঈমান। তিনটির একটিও যদি বাদ পরে, সেটি আর ঈমান থাকে না। ধন্যবাদ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ