উল্লেখ্য উক্তিটির মর্মার্থ যদি এভাবে নেওয়া হয়,যে জীবে যারা অসহায়,ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্থ তাদের সেবা করলে,ইশ্বর /প্রভুর সেবার সমতুল্য হবে, তবে এটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক নয়৷
হাদীসে কুদসীতে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তুমি আমার শুশ্রূষা করনি। সে বলবে, হে প্রভু! আপনি বিশ্বজগতের অধিপতি, আমি কিভাবে আপনার শুশ্রূষা করবো। আল্লাহ বলবেন কেন, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল তুমি তার শুশ্রূষা করনি। তুমি তার শুশ্রূষা করলে সেখানে আমাকে পেতে। আবার বলবেন, হে আদম সন্তান আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাবার দাওনি। সে বলবে, হে প্রভু! আপনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক।
আমি কিভাবে আপনাকে খাওয়াবো। আল্লাহ বলবেন, কেন? আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল। তুমি তাকে খাবার দাওনি। তুমি যদি তাকে খাবার দিতে তাহলে আজ তার প্রতিদান পেতে।
তৃতীয়বার বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে পানি দাওনি। সে বলবে, প্রভু! আপনি বিশ্বজগতের নিয়ন্তা, আমি কিভাবে আপনাকে পানি পান করাব। তখন আল্লাহ বলবেন, কেন? আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, তুমি তাকে পানি দাওনি। সেদিন তাকে পানি দিলে তার প্রতিদান পেয়ে যেতে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৬৯
উপরোক্ত হাদীসে দায়িত্ববোধ ফযীলতের কথা শুনিয়ে ও ভীতি প্রদর্শন করে সমাজকে দরিদ্র ও অসহায়ের প্রতি সহানভূতিশীল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে সমাজ বিলাসিতায় বিভোর হয়ে তাদের কথা ভুলে না যায়।
হাদিসে এমনও ঘটনার বর্ণনা আছে যে,একজন ব্যাভিচারী মহিলা একটা বিড়ালকে সেবা করার দ্বারা জান্নাতে যাবে৷
সুতরাং -এসব আলোচনার আলোকে বলা যায়,মর্মার্থ ঠিক রেখে বললে এই উক্তিটি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক নয়৷