আপনার বাবা যে পাপ করছে সেই অপরাধের বোঝা অবশ্য-ই বহন করবে। তাই বাবাকে বুঝান এই পাপ থেকে সরে আসার জন্য। আর বাবার গায়ে কখনোই হাত তুলবেন না। ইসলামে অন্যকে গালি দেয়া সম্পূর্ণ হারাম। যেকোনো কারণেই হোক, কাউকে গালি দেয়ার অনুমতি নেই। হাসি-কৌতুক ও ঠাট্টাচ্ছলেও অন্যকে গালি দেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে অশোভনীয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা বিনা অপরাধে ঈমানদার পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। (সুরা আহযাব, আয়াত: ৫৮) আল্লাহ ইরশাদ করেন, আপনার রব নির্দেশ দিলেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না, আর তাদের সাথে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা বল। অনুকম্পায় তাদের প্রতি বিনয়াবনত থেকো এবং বল, হে পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মনে যা আছে তা ভাল করেই জানেন। যদি তোমরা সৎ হও, তিনি মনোযোগীদের প্রতি ক্ষমাশীল। (বনী ইসরাঈলঃ ২৩- ২৫)
পিতা-মাতা হলেন সন্তানের প্রথম অভিভাবক, প্রথম শিক্ষক। আর পরিবার তার প্রথম বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে সে যা শিখবে, সেটার ওপর নির্ভর করবে তার ভবিষ্যত সুন্দর হওয়া না হওয়া। তাই এক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে। পিতা-মাতার অবহেলায় অধিকাংশ সন্তান অকালে ঝরে পড়ে। অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায় তাদের জীবনবৃক্ষ। সন্তানের সুন্দর জীবন গঠনে তাই মা-বাবার সচেতনতা ও আন্তরিকতার বিকল্প নেই। সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার কর্তব্য ও দায়িত্বের ব্যাপারে কোরআন-হাদিসে অনেক নির্দেশনা এসেছে। সন্তানগণ পিতামাতার কাছ থেকে ইনসাফ আশা করে এবং তাদের মাঝে ইনসাফ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করে বলেছেন: “তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমাদের সন্তাদের মাঝে ইনসাফ করো।” [সহীহ বুখারী: ২৫৮৭] উল্লেখ্য -সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার যেমন হক রয়েছে, তেমনি পিতা-মাতার প্রতিও সন্তানের হক রয়েছে৷ আল্লাহ পাক কোরানে বলেন!-আপনার রব নির্দেশ দিলেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না, আর তাদের সাথে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা বল। অনুকম্পায় তাদের প্রতি বিনয়াবনত থেকো এবং বল, হে পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মনে যা আছে তা ভাল করেই জানেন। যদি তোমরা সৎ হও, তিনি মনোযোগীদের প্রতি ক্ষমাশীল’ [বনী ইসরাঈল ২৩- ২৫] সুতরাং -আপনার প্রতি যে অন্যায় করছে তার জন্য নিশ্চয় তাকে আল্লাহর দরবারে জওয়াব দিতে হবে!এবং দুনিয়াও আখিরাতে শাস্তি ভোগ করবে!তবে আপনার উচিত তাদের বা তাকে কষ্ট না দেওয়া৷যদি সে আল্লাহ ও তার রাসূল সাঃ এর বিরুদ্ধে না যায়,তার সাথে ভাল আচরণ করা! তবে--আপনার উপায় কি???সলিউশন -★আপনার মা বেঁচে থাকলে তাকে সর্বোত্তম পন্থায় বুঝানো,এবং তাকে দিয়ে আপনার আব্বাকে!★তার প্রতি আপনার ভালোবাসা ও সততার কথা তুলে ধরে কোন ঘরের বড় ব্যাক্তি,মুরব্বিকে বুঝানো!★কোন হক্কানি ও আপনার আব্বার বিশ্বস্ত আলেমকে দিয়ে বুঝানো,হক সম্পর্কে! ★অথবা,আপনার ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে দূরে কোথাও ভ্রমণ করা!আত্মীয়দের সাহায্যে। ★আর বেশি বেশি দোয়া করা!!