স্বপ্নদোষের স্বাভাবিক একটি মাত্রা রয়েছে। যেমনঃ মাসে ৩ থেকে ৪ দিন। এটি হলে কোনো সমস্যা নেই; কিন্তু এর বেশি হলে ডাক্তাররা সেটাকে সমস্যা বলে মনে করেন। এরকমটা হলে সেক্ষেত্রে আপনার অভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
একজন পুরুষের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায় যদি তিনি টেস্টোসটেরনসমৃদ্ধ ওষুধ গ্রহণ করেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক বালক টেস্টোসটেরনের মাত্রা বাড়ানোর ফলে তাদের স্বপ্নদোষের মাত্রাও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে।
অনেক রোগী স্বপ্নদোষ হওয়াকে মারাত্মক রোগ বলে মনে করেন। তাদের ধারণা, যৌবনে এটা একটা প্রধান যৌন সম্পর্কিত রোগ। কেউ কেউ নানা ধরনের চিকিৎসা করান, এমনকি স্বপ্নদোষের জন্য প্রচলিত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করান। এদের অজ্ঞতার সুযোগ নেন অনেকে। স্বপ্নদোষকে ভয়াবহ রোগ হিসেবে অভিহিত করে রোগীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে, এটা ঠিক নয়।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়ঃ
১. ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রস্রাব করে নিন, যদিও এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয়। তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপ কমাতে শরিরকে সাহায্য করে।
২. ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না। যদি সামান্য পরিমাণ প্রস্রাবের লক্ষণও থাকে, তাহলে বিছানায় যাওয়ার আগে প্রস্রাব করে নিন।
৩. রাতে খাওয়ার পর পরই ঘুমাতে যাবেন না। কিছুক্ষণ হাঁটা হাঁটি করুন।
৪. প্রতিদিন সামান্য করে হলেও পুদিনা পাতা অথবা মিছরি খাবার অভ্যাস করুন।
৫. নিজের মস্তিষ্ককে সর্বোপরি নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে রাখুন।
সোর্সঃ এখানে
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে নিচের নিয়ম গুলো ফলো করুন।
যৌবনের প্রারম্ভে পুরুষ হরমোনের প্রভাবে পুরুষের প্রজনন তন্ত্রের বিভিন্ন গ্রন্থি কার্যক্ষম হয়। এসব গ্রন্থি থেকে বিভিন্ন রকম তরল বস্তুর নিঃসরণ হয়। এ নিঃসরনের সমষ্টি হল বীর্য / ধাতু। পরামর্শ ও চিকিৎসাঃ চা ,কফি,মদ ইত্যাদি উষ্ণ প্রকৃতির উত্তেজক দ্রব্যাদি পরিহার করা। নিয়মিত প্রাতঃভ্রমন করা। কোষ্ঠকাঠিন্য হতে দেয়া যাবে না। যৌন বিষয়ক চিন্তা করা যাবে না। নগ্ন ছবি দেখা যাবে না। ঔষধঃ হামদর্দ ডাক্তারের পরামর্শ মতে সেবন করুন। সিরাপ জারনাইড- ২ চা চামচ দিনে ২ বার ৭-১৫ দিন সেব্য। ট্যাবলেট স্পার্মাটিন - ২ ট্যাবলেট দিনে ২ বার ৭-১৫ দিন সেব্য। আশাকরি ইনশাল্লাহ আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।