আপনি পড়া না বুঝে মুখস্ত করছেন। না বুঝে পড়া মুখস্ত করার কারণে আপনি বেশি সময় পড়া মনে রাখতে পারছেন না।যেকোন পড়া বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন দরকার পরলে অন্য কারো সাহায্য নিতে পারেন।পড়ার সময় মন দিয়ে জোরে শব্দ করে পড়বেন এতে পড়া মনে থাকবে।যেমন আমরা একটা গান শুনলে অনেকক্ষণ মনে থাকে কারণ আমরা একটা গান শোনার সময় যতটা মনোযোগী থাকি পড়ার সময় আমরা ততটা মনোযোগী থাকি না।আর তাই পড়া মুখস্ত করলে বেশি সময় মনে থাকে না।আর পরিক্ষার হলে গিয়ে চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।অতিরিক্ত চিন্তিত থাকার কারণেও অনেকে পড়া ভুলে যায়। ধন্যবাদ
এই উত্তর দেবার আগে আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করি। আমরা কেন পড়ালেখা করি? বইয়ের পড়াগুলো মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় লিখে আসার মানে কি? ভাল নম্বর পেলেই সেটা দিয়ে কি হবে? আমরা পড়ালেখা করি কোন কিছু শেখার জন্য। জ্ঞান লাভের জন্য। কাজেই আমরা যদি কোন কিছু না বুঝে শুধু মুখস্ত করি আর খাতায় লিখি তাহলে শুধু পরীক্ষায় পাশ করতে পারব। ভাল নম্বর পাব। আর ভবিষ্যতে চাকরী বাকরীর বেলায় নম্বর টা কাজে দিবে। কারণ চাকরীদাতা ভাবতে পারে নম্বর ভাল মানে ছেলেটা মেধাবী। কিন্তু এই মেধা দিয়ে দেশের কোন উন্নতি হবে না। কারণ মুখস্ত বিদ্যা যেটা আপনি মন থেকে না শিখে শুধুমাত্র লাইন বাই লাইন পড়ে গেছেন সেটা আপনার মেধার বিকাশ ঘটাবে না। যদি জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে টপিক টা বুঝে নিন। যেটা 10 মিনিটে মুখস্ত করতে পারতেন সেটা 20 মিনিট ব্যায় করে অন্তরে গেথে নিন। তাহলে আর সেটা কোনদিন ভুলবেন না। মুখস্ত করলে ভুলে যাবেন। সেটাই স্বাভাবিক। অবশ্য স্মরণ শক্তি যদি খুব বেশি হয় তাহলে ভিন্ন ব্যাপার। একটা উদাহরণ দেই - ধরুন গরুর রচনা পড়ছেন। বইয়ের লেখাটা বুঝে বুঝে একবার দুবার রিডিং পড়েন। কারণ সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার একটা ব্যাপার আছে। আর বিষয়বস্তু তো আপনি নিজেই জানেন। আরেকটা ব্যাপার হল পড়ার সময় চাপমুক্ত থাকবেন। ঠান্ডা মাথায় study করবেন। আশা করি আপনার ভুলোমনা রোগ নেই। যেটা বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেখা দেয় অনেকের। একটু পর পর ভুলে যায় কোন কাজটা করার কথা। তেমন কিছু হলে ডাক্তার দেখানো লাগবে। আর সেই ভাব সম্প্রসারণ টা নিশ্চয়ই জানেন - গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন। কাজেই মুখস্ত করে ভাল নম্বর পাবার চাইতে বুঝে বুঝে পড়ে জ্ঞান অর্জন করুন। তাহলেই আপনার ভবিষ্যত উজ্জ্বল। ধন্যবাদ।