লগইন সার্চ করুন রাজনীতি বাংলাদেশ সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও অর্থনীতি খেলা বিনোদন লাইফ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাবার ও রেসিপি সাহিত্য মতামত জোকস জটিল অন্যান্য সংবাদ ফটো ভিডিও অ্যানালিটিক্স বিজনেস অফার জবস বিডিং ছবি সংগৃহীত ইসলামের দৃষ্টিতে প্রথম সন্তান ছেলে হওয়া ভালো নাকি মেয়ে? মিরাজ রহমান সাংবাদিক ও লেখক প্রকাশিত: ০১ জুন ২০১৬, ০৩:৫৩ আপডেট: ০১ জুন ২০১৬, ০৩:৫৩ FacebookTwitterLinkedIngoogle_plusShare0 প্রথম সন্তান ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন ইসলামের দৃষ্টিতে এর মাঝে কোনো পার্থক্য বা মর্যাদাগত কোনো কম-বেশি নেই। কারণ ইসলাম কন্যা শিশু ও ছেলে শিশু উভয়কেই সমান দুষ্টিতে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কারো প্রথম সন্তান কন্যা হলে তার জন্য হাদিস শরিফে বিশেষ ফজিলতের কথা উল্লেখ রয়েছে। (১) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করনে, যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করল,অতঃপর সে ঐ কন্যাকে কস্ঠ্ও দেয়নি,তার উপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার উপর প্রধান্য দেয়নি,তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবশে করাবেন।(মুসনাদে আহমদ ১;২২৩) (২) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,যে ব্যাক্তি দ"টি মেয়েকে বয়ঃপ্রাপ্ত হ্ওয়া পর্যন্ত লালন পালন করল সে কিয়ামতের দিন এরূপ অবস্থায় উঠবে যে আমি আর সে এরকম মিলিত অবস্থায় থাকব,এই বলে তিনি স্বীয় আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে দেখালেন।(মুসলিম শরীফ) (৩) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, "কন্যা সন্তান হল উত্তম সন্তান। কেননা,তারা হচ্চে অধিক গুনের অধিকারিনী বিনম্র ও মিস্ঠভাষী। এছাড়া তারা পিতা-মাতার সেবা -শুশ্রষার জন্য সদাসর্বদা প্রস্তুত থাকে এবং তারা মায়া মমতাকারীনী,স্নেহময়ী,বিনয়ী ও বরকতময়ী।"(ফিরদাউস ৪;২৫৫) আর প্রথম সন্তান মেয়ে হ্ওয়ার ফযীলত সম্পর্কে হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হল, হযরত আব্দুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,ঐ মহিলা বরকতময়ী ও সৌবাগ্যশালী,যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। কেননা,(সন্তানদানের নিয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে)আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন,তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।"
কন্যা সন্তানও আল্লাহ তাআলার নিয়ামত। পুত্র সন্তানও আল্লাহ তাআলার নিয়ামত। কন্যা সন্তানেরও প্রয়োজন আছে, পুত্র সন্তানেরও প্রয়োজন আছে। প্রথম সন্তান ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন ইসলামের দৃষ্টিতে এর মাঝে কোনো পার্থক্য বা মর্যাদাগত কোনো কম বেশি নেই। তবে কারো প্রথম সন্তান কন্যা হলে তার জন্য হাদিস শরিফে বিশেষ ফজিলতের কথা উল্লেখ রয়েছে। হজরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, ঐ স্ত্রী স্বামীর জন্য অধিক বরকতময়, যার দেন- মোহরের পরিমান কম হয় এবং যার প্রথম সন্তান হয় মেয়ে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরো ইরশাদ করেন, যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল, অতঃপর সে তাকে কষ্টও দেয়নি, তার উপর অসন্তুষ্ট ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তাআলা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন। (মুসনাদে আহমদঃ ১/২২৩)