Call

প্রথমে বলি ডেবিট কার্ড নিয়ে। আপনার চলতি হিসাব অথবা সঞ্চয়ি হিসাবের বিপরীতে ব্যাংক যে কার্ড ইস্যু করে থাকে তাই ডেবিট কার্ড। আপনার ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা থাকা সাপেক্ষে আপনি দৈনিক সর্বোচ্চ ৫ বার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন ব্যাংক অনুমোদিত যে কোন এটিএম বুথ থেকে। ব্যাংকভেদে একবারে সর্বোচ্চ ৫০,০০০.০০ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন। এটিএম বুথে সরবরাহ থাকা সাপেক্ষে ব্যাংকভেদে সর্বনিম্ন ১০০.০০ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আর আপনার ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা থাকা সাপেক্ষে আপনি দৈনিক যতবার ইচ্ছা ততবার কেনাকাটা করতে পারবেন। ডেবিট কার্ড আসলে নগদ টাকার বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত একটি অনুমোদিত লেনদেনের অনুমতি মাত্র। ডেবিট কার্ডের বিপরীতে আপনাকে একটি নির্দিস্ট পরিমাণ চার্জ দিতে হবে। তবে এই চার্জ ব্যাংকভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। 
এবার বলি ক্রেডিট কার্ড নিয়ে। ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে আপনার সপক্ষে ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত লোন বা ধারের বিপরীতে একটি অনুমোদিত লেনদেনের অনুমতি মাত্র। এখানে আপনার কার্ডের বিপরীতে একটি সীমা বা লিমিট দেয়া থাকবে। অর্থাৎ আপনি ঐ লিমিট পর্যন্ত কেনাকাটা এমনকি নগদ অর্থও উত্তোলন করতে পারবেন। কেনাকাটার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় বেধে দেয়া হবে যে সময়ের মধ্যে আপনি ব্যাংকে নির্ধারিত অর্থ জমা দিলে আপনাকে কোন সুদ এবং চার্জ দিতে হবে না। তবে নগদ অর্থ উত্তোলন এবং নির্ধারিত সময়ে অর্থ জমা দিতে না পারলে আপনাকে সুদ এবং চার্জ গুনতে হবে। তবে ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে বাৎসরিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লেন্দেন করলে কোন চার্জ দিতে হয় না। কতটি লেনদেন করলে পরে আপনাকে কোন চার্জ গুনতে হবে না এটা ব্যাংকভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে সেটি সাধারণত ১৫-১৮ টি লেনদেনের মধ্যেই হয়ে থাকে।

উভয় কার্ডই অনুমোদন সাপেক্ষে ডুয়েল কারেন্সির হতে পারে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বাহিরে গিয়েও ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। কার্ড হারিয়ে গেলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ব্যাংক থেকে নতুন কার্ড সরবরাহ করা হয়ে থাকে। 

অসুবিধার মধ্যে অন্যতম যে অসুবিধা সেটি হল যদি আপনি নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ পরিশোধ করতে না পারেন তবে আপনাকে উচ্চ হারে সুদ গুনতে হবে। আর ডেবিট কার্ডের অন্যতম অসুবিধা হলো আপনার ব্যাংক হিসাবে অর্থ না থাকলে সেটি মূল্যহীন।

ধন্যবাদ
Talk Doctor Online in Bissoy App