কারো যদি স্বপ্নদোষ হয় আর সে যদি গোসল না করে তাহলে কি সে কোন খাবার,   বা, ভাত,  খেতে পারবে না গোসল করে খেতে হবে? স্বপ্নদোষ হলে গোসল না করে তাহলে সে কি কুরআন আয়াত মুখে তেলাওয়াত করতে পারবে, কাউকে সালাম দেওয়া, সালামের জবাব দেওয়া, আল্লাহর নাম নবী রাসুল এর নাম  কি মুখে নিওয়া জাবে?  আর স্বপ্নদোষ হওয়ার  পর  হাঁটা চলা ফেরা করতে পারবে    অর্থাৎ  কোন কাজ কাম    শেষ করে  তার পর কি গোসল করা যাবে? কুরআন ও হাদীস থেকে বিস্তারিত বলবেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় বিলম্ব না করে অতি দ্রুত পরিপুর্ণ ভাবে গোসল করা আবশ্যক। কারো যদি স্বপ্নদোষ হয় আর সে যদি বিশেষ কারনে গোসল না করে তাহলে সে কোন খাবার খেতে পারবে। এক্ষেত্রে গোসল করে খেতে হবে না। স্বপ্নদোষ এরপর গোসল না করেও রান্না করা কিংবা কোনো কিছু খাওয়া যাবে। তবে এমতাবস্থায় আগে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নেয়ার পর উভয় হাত ধুয়ে অজু করে পানাহার করাই উত্তম। হুমায়দ ইবনু মাসআদাহ ও আমর ইবনু আলী (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবাত অবস্থায় যখন আহার করতে অথবা নিদ্রা যেতে ইচ্ছা করতেন তখন তিনি অজু করতেন। আমর ইবনু আলী (রহঃ) তার বর্ণনায় বলেছেন, সালাতের অজুর মত অজু। (সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ২৫৫, ইবনে মাজাহঃ ৫৮৪, ৫৯১, আস-সহিহাহঃ ৩৯০ হাদিসের মানঃ সহিহ)। স্বপ্নদোষ হলে বিশেষ কারনে গোসল করতে না পারলে তাহলে সে কুরআন আয়াত মুখে তেলাওয়াত করতে পারবে। এবং কাউকে সালাম দেওয়া, সালামের জবাব দেওয়া, আল্লাহর নাম নবী রাসুল এর নাম মুখে নেওয়া যাবে। আর স্বপ্নদোষ হওয়ার পর হাঁটা চলা ফেরা করতে পারবে অর্থাৎ কোন কাজ কাম শেষ করে তার পর কি গোসল করা যাবে। তবে এটা শুধুমাত্র বিশেষ কারনে। অবহেলা বা আলসেমি করে নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ