আমার ১ম পর্যায়ে চয়েজ লিস্ট ১/ বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট ২/ তেজগাও কলেজ ৩/ রংপুর ক্যান্ট ৪/রংপুর পুলিশ লাইন্স ৫/ ঢাকা কমার্স কলেজ। ১ম পর্যায়ে রংপুর ক্যান্টে মনোনীত হইছি। সেখানেই পড়তে ইচ্ছুক। তাই নিশ্চায়নও করি। কিন্তু দেখা গেল অটো মাইগ্রেশনের কারণে আমি ঢাকার তেজগাও কলেজে মনোনীত হইছি। শুনেছিলাম তেজগাও কলেজটা ভালো। পরে জানতে পারলাম কলেজটার মান ভালো না। তাই আমি সেখানে পড়তে ইচ্ছুক ছিলাম না। আমাকে পরামর্শ দেওয়ার কোনো লোক ছিলনা। সেসময় দিনাজপুর বোর্ডে গেলাম পরামর্শ নিতে কিভাবে রংপুর ক্যান্টে আসবো। কলেজ পরিদর্শক বললো এটা হবেনা। বললো তাহলে নিশ্চায়ন বাতিল করে ৩য় পর্যায়ে আবেদন করতে হবে। সেইদিন অবশ্য ৩য় পর্যায়ের আবেদন শুরু। জানতাম না যে নিশ্চায়ন বাতিলও করা যায়। অনেক জনকেই দেখলাম নিশ্চায়ন বাতিল করতে এসেছে। আমি আব্বুকে কল করে বললাম কি করবো? আব্বু বলল যে তোমার আপুকে বলোতো, ও হয়তো ভালো বুঝবে। তাই আপুকে কল দিলাম। সে সবকিছু শুনে বললো যে, যদি নিশ্চায়ন বাতিল করা যায় তো তুমি বাতিল করে আবার চয়েজ দাও ১০টা কলেজে। আমি নিশ্চায়ন বাতিল করলাম। বাসা আসলাম। এসে ফ্রেস হয়ে সাথে সাথে দোকানে গেলাম ৩য় পর্যায়ের আবেদনের টাকা পেমেন্ট করার জন্য। টেলিটকে এসএমএস এর মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতেছি,কিন্তু টাকা পেমেন্ট হচ্ছে না। কিছুক্ষন পর মনিটর স্ক্রিনে নোটিশে দেখা গেল "যারা ইতোপূর্বে নিশ্চায়ন বাতিল করেছে, তারা ৩য় পর্যায়ের আবেদনের জন্য শিউরক্যাশের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতে হবে"। দোকানে শিউরক্যাশ ছিলনা। বললাম কই পাবো? বলল অমুক জায়গায় পেতে পারো। সেখানে গেলাম কিন্তু নেই। বললো বিকাশ আছে। জিজ্ঞেস করলাম কই পাবো? বললো অমুক জায়গায়। সেখানে গেলাম। কিন্তু নেই। বললো অমুকের দোকানে শিউর পাবাই। সেখানে গেলাম। বললো ভাই আমি তো পারিনা, যে পারে সে রাত নয়টায় আসবে। আমি বললাম ভাই আবেদন ০৮ টা পর্যন্ত। সে বললো আচ্ছা তাহলে তুমি বাজারে যাও,সেখানে একটা গালামালের দোকানে সব পাবা। বিকাশ, রকেট, শিউরক্যাশ সব আছে। সেখানে গেলাম আবার পেলাম। কিন্তু কিভাবে টাকা পেমেন্ট করে,লোকটা জানেনা। আমি নিজেই তার ফোনটা নিয়ে নির্দেশিকা দেখে টাকা পেমেন্ট করলাম। তারপর বাসায় এসে সাথে সাথে পিসিতে বসে কলেজ চয়েজ দিচ্ছি। ০৮টা কলেজ সিলেকশন করছি। দেখি যে ০৮ টা বেজে গেছে। আমি সাথেই কনফার্মে ক্লিক করি। দেখি যে টাইম আউট হয়ে গেছে। আমার বুক যেন ধক ধক। সাথেই বাই-সাইকেলে আল্লাহর নাম নিতে নিতে আর দোয়া ইউনুস পড়তে পড়তে দোকানে যাই। কয়েক সেকেণ্ড পরে দোকানের পিসিতে দেখি যে "Apply Now" টা অদৃশ্য হয়ে গেল। আমি যেন একটা জীবন্ত লাশ হয়ে গেলাম। কিভাবে যে বাসায় আসলাম বুঝতে পারলাম না। বাসায় এসে আম্মু তো গালাগালি। আব্বু তো ঢাকায় একটি বেসরকারী ব্যাংকের ম্যানেজার। ফোনে তো আব্বু মারাত্নক মেজাজে গালাগালি। রাতটা ভীষণ যন্ত্রনায় পার করে পরের দিন সকালে দিনাজপুর বোর্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম With Ammu. বোর্ডের এক কর্মকর্তা বললো, নিশ্চায়নটা কেন বাতিল করলেন? কিছু বললে তো মনটা এখন খারাপ করবেন। আমি আমার সমস্যার কথা বললাম, তো তিনি বললেন অজুহাত দিয়ে লাভ নেই, শিউরক্যাশ Available নাই। মাটির নিচ থেকে বের করতে হবে। এটা Online. Manually কোনো অপশন থাকলে আমরা করতাম। এটা বুয়েট পরিচালনা করে। এই বিষয়ে আপনার সাথে ০১ মিনিট কথা বলবে না তারা। আমি যে আপনার সাথে ০৫ মিনিট কথা বললাম, এই ০৫ মিনিট অফিশের কাজ করতাম। আচ্ছা আসতে পারেন। যারা ভর্তি হতে পারে নাই তাদের সম্পর্কে ০২ দিন পর নোটিশ দেওয়া হবে। চলে আসলাম। আসতে আসতে ভাবলাম, মানুষ যে মাত্রই ভুল করে,কথাটা এনালগ। অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম। এখন আল্লাহর উপর ভরসা করে আছি। আপনারা আমাকে কিছু পরামর্শ দেন,কিভাবে একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবো??? প্লিজ......
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
  • বিগত বছরে দেখা যে,যারা ১ম,২য়,৩য় পর্যায়ে কোন কলেজে চান্স পায়নি/কোন কলজে অাবেদন করে নি/চান্স পেয়েও ভর্তি হয় নি তাদেরকে চতুর্থ পর্যায়ে অাবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই বছরও হয়তো ৪র্থ বার কলেজে অাবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে। সুতরাং ৪র্থ পর্যায়ে অাবেদন শুরু হলে কলেজে অাবেদন করুন। 


  • কিছু কিছু বেসরকারি কলেজ বিশেষ করে নরমাল বেসরকারি কলেজে সিট খালি থাকে। অাপনি ইচ্ছে করলে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষের সাথে ভর্তির ব্যাপারে সরাসরি কথা বলতে পারেন। এভাবে ভর্তি হলে হয়তো টাকা কিছু বেশি লাগতে পারে। 


অাপনার বর্তমান করুন পরিস্থিতির মূল কারণ ভালো কলেজে ভর্তি হতে চাওয়া। কিন্তু ভালো কলেজ/খারাপ কলেজ/সরকারি কলেজ/বেসরকারি সব কলেজের সার্টিফিকেটের মান সমান। তাছাড়া মেডিকেল,ইঞ্জিনিয়ারিং,বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় ভালো কলেজ কোন কাজে অাসবে না যদি ভালো রেজাল্ট না করতে পারেন। কলেজ যেমনই হোক রেজাল্ট হলো অাসল। এই বছর ভালো কলেজের সিট পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই এই বছর ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ কম। যদি এই বছর ভালো কলেজে ভর্তি না হতে পারেন,তাহলে ১ বছর গ্যাপ দিয়ে অাগামী বছর ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। অাপনার প্রতি অামার পরামর্শ হলো, কলেজ যেমনই হোক এই বছর কলেজে ভর্তি হয়ে যান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ