দৈনিক কতক্ষণ পড়তে হবে তা একটি আপেক্ষিক বিষয়। কেউ দৈনিক মাত্র ২ ঘণ্টা পড়েও ভালো রেসাল্ট করতে পারে। তাই আপনি যখনই পড়বেন তখন অবশ্যই মন দিয়ে পড়বেন। পড়ার মধ্যে কখনোই আজেবাজে চিন্তা করবেন না। যখন আপনার পড়তে ভলো লাগবে না, তখন কোনো পছন্দের বই পড়ে পারেন, পাঠ্যবই হোক আর অন্য কোনো বই হোক। এছাড়া নিয়মানুবর্তিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন পড়ার সময় তখন অবশ্যই আপনাকে পড়তে হবে। আশাকরি এসব নিয়ম মেনে চললে আপনি পড়াশোনায় মন দিতে পারবেন।
আলহামদু লিল্লাহ,সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য।আপনার যা করনীয় ও বজনীয় নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো,,আপনি যেহেতু S.S.C ব্যাজের Science বিভাগের ছাত্রী।সেহেতু সবার থেকে আপনাকে একটু আলাদা থাকতে হব,সবার থেকে একটু বেশি সময় পডাশুনা করতে হবে।পডার সময় পডা,খেলার সময় খেলা।তবে যারা সাইন্সে পডে,তাদের খেলার জন্য সময় অপচয় না করাই ভালো,১টাই উদ্দেশ্য থাকবে যে আমাকে ভালো রেজাল্ট অজন করতেই হবে।পডার টেবিলে মোবাইল রাখা যাবে না।সময় নিধারন করে পডতে হবে।ছেলেদের সাথে কথা বলে সময় অপচয় করা যাবে না।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পডে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।পডতে বসার আগে আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সম্পূন পডে আলহামদু লিল্লাহ পডে দরুদ পডে পডা আরম্ভ করতে হবে।পদা রক্ষা করে চলতে হবে।নবম দশম ২টা বছর ভালো করে অধ্যায়ন করতে হবে।গনিতসহ সাইন্সের বিষয়সহ অন্যান্য কাঁচা বিষয়গুলো প্রাইভেট পডতে হবে এবং ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে টিচারদের কথা শুনতে হবে।হোমওয়াক প্রতিদিন আদায় করতে হবে।বাজে চিন্তা দূর করতে যা করার দরকার তাই করতে হবে।দরকার হলে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।একটা ভালো রেজাল্ট জীবনে সফলতা এনে দেয়।
আপনি দৈনিক কত ঘণ্টা পড়লেন তা কোনো বিষয় নয়। আপনি কতঘণ্টা মন দিয়ে পড়লেন সেটাই সব থেকে বড় কথা। কাজেই পড়ায় মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং অবশ্যই কোনোরকম প্রেশার ছাড়াই পড়তে হবে। বাজে কাজে সময় নষ্ট করবেন না।৬-৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন,খাওয়াদাওয়া এবং অন্যান্য কাজের সময় সময় বেধে রেখে আপনি পড়াশুনার কাছে বাকি সময় লাগান।প্রত্যেকের মেধা এক নয়,অথাত্ ব্রেনের ধারন ক্ষমতা এক নয়।আবার রেজাল্টের ব্যাপারে সবার আকাঙ্খাও এক নয়,কাজেই এভাবে সময় বলা কঠিন।মনোযোগের জন্য আপনি বিরতি নিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন। পড়তে বসার আগে কফি খেয়ে পড়তে বসুন। যখন ঘুম ঘুম পাবে তখন হাটাচলা করুন অথবা অন্য যেকোনো কাজ করুন।প্রতি রাতে আপনি ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন,তাহলে পর্যাপ্ত ঘুম হলে আর ক্লান্তি লাগবেনা।প্রতিদিন হালকা গরম দুধ খান।টেনশন করবেন না।