তাকদীর বা ভাগ্য পূর্ব-নির্ধারিত। এ মহাবিশ্বে যা কিছু ঘটবে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক তার পূর্বজ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী সেসব কিছু নির্ধারণ করে রাখাকে তাকদীর বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন: তুমি কি জান না যে, নভোমণ্ডলে ও ভুমন্ডলে যা কিছু আছে আল্লাহ সবকিছু জানেন। নিশ্চয় এসব কিতাবে লিখিত আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর কাছে সহজ। (সূরা হজ্জ, আয়াত: ৭০) সহিহ মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন: আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিকূল সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর আগে সৃষ্টিকূলের তাকদীর লিখে রেখেছেন। তিনি আরো বলেন: আল্লাহ তাআলা প্রথম সৃষ্টি করেছেন কলম। সৃষ্টির পর কলমকে বললেন: লিখ। কলম বলল: ইয়া রব্ব! কী লিখব? তিনি বললেন: কেয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক জিনিসের তাকদীর লিখ। (আবু দাউদ: ৪৭০০)। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেবল সৎ কর্মই আয়ু বৃদ্ধি করে এবং দুআ ব্যতীত অন্য কিছুতে তাকদীর রদ হয় না। মানুষের অসৎ কর্মই তাকে রিযিক বঞ্চিত করে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৯০ হাদিসের মানঃ হাসান)। জবাব! কেবল দুআর মাধ্যমেই ভাগ্য পরিবর্তন হয়। এজন্য-ই আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের হায়াত বাড়ানোর জন্য দুআ করি। [বিস্তারিত জানার জন্য মন্তব্য করতে পারেন]