মনে কর তোমার বন্ধু খুলনায় থাকে।বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে একটি পত্র  লিখ।ক্লাস ৮ এর জন্য 


বেশি বড় করে দিবেন না। ১ পৃষ্ঠা বা এর একটু বেশি দিলে হবে।।।    


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

তারিখ ঠিকানা প্রিয় ক, কেমন আছো তুমি..? অনেকদিন তোমার কোনো খোজ পাচ্ছিনা। তোমাকে খুবই মনে পড়ে আমার। তোমার শেষ চিঠির জবাব দিতে কিছুটা দেরি হচ্ছে বিধায় আমি দুঃখিত। জেনে অনেক খারাপ লাগলো যে তোমাদের বাড়ির চারিপাশে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। আমাদের জীবনে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা অনেক।প্রকৃতির একটি শ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে বৃক্ষ। সৃষ্টির সূচনা থেকেই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী বৃক্ষের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। বৃক্ষ পরিবেশ ও প্রকৃতি জীবজগতের পরম বন্ধু। আর তোমাদের আশেপাশে কিনা এই বৃক্ষ নিধন চলছে..!! মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ-গাছালির ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ জীবনের বহু মূল্যবান অক্সিজেন সরবরাহ করে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে বায়ুম-লকে বিশুদ্ধ রাখে। বন্যপ্রাণী, পশু, পাখি ও সাপ-বিচ্ছুদের নিরাপদ আবাসস্থল হলো গাছ-গাছালি ও ঝোপ-ঝাড়। এছাড়া গাছের মধ্যে অনেক ঔষধি গুণ ক্ষমতা রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ করে দেহকে সুস্থ-সবল-কর্মক্ষম রাখে। ফলদ বৃক্ষ সুস্বাদু ফল-মূল সরবরাহ করে, যা শরীরের অপুষ্টি দূর করে। বনজবৃক্ষ জ্বালানি কাঠ ও আসবাবপত্র তৈরির কাজে লাগে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হজরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘কোনো মুসলমান বৃক্ষরোপণ করল অথবা ক্ষেত-খামার চাষাবাদ করল। অতঃপর তা থেকে পশুপাখি, মানুষ অথবা জীবজন্তু ভক্ষণ করল। এসব কিছু তার পক্ষ থেকে সদকা হিসেবে গণ্য হবে। (মুসলিম)। মানুষ যেহেতু লাখ লাখ বছর প্রকৃতির সঙ্গে বসবাস করে সেহেতু প্রকৃতির স্পন্দন তার দেহে, স্নায়ুতন্ত্রে রক্ত প্রবাহের মতো কাজ করে। এই প্রকৃতি যদি হারিয়ে যায়, এই গাছপালা যদি না থাকে তাহলে বৈচিত্র্য থাকবে না।বনকে সীমিত এলাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে সেটা সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া আবশ্যক। এরই মধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি, গ্রামাঞ্চলে জনগণ বৃক্ষরোপণে উদ্যোগী হয়েছেন এবং বৃক্ষায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।বৃক্ষ প্রকৃতির একটি উপাদান মাত্র। আসলে শুধু বৃক্ষ নয়, গোটা ইকোসিস্টেম রক্ষা করা আবশ্যক। তাতেই আছে গোটা জীবজগৎ, ভৌত জগৎ এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া। এখানে মানুষ একটি উপাদান মাত্র এবং তার কল্যাণের জন্যই প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেম অত্যন্ত প্রয়োজন। অন্যথা সে নিজেও একদিন বিপন্ন হয়ে পড়বে। মানুষ বন সৃষ্টি করতে পারে না। এগুলো সৃষ্টিকর্তার দান। মানুষের যে কোনো হস্তক্ষেপ তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মানুষ বনের এ অনন্য বৈশিষ্ট্য স্বীকার করে না। করলে তার বৈষয়িক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উন্নত বিশ্ব প্রকৃতি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানার্জন সত্ত্বেও তাদের সব আদিম বন ধ্বংস করে সেখানে কৃত্রিম বনায়নের চেষ্টা করছে।টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন, দূষণমুক্ত, পরিবেশবান্ধব সবুজ অর্থনীতি গড়তে হলে আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণকে মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সবুজ অর্থনীতি গড়ার কোনো বিকল্প নেই।আশা করি তুমি আমার কথা বুঝেছো। কাজেই তুমি তোমার এলাকার লোকদেরকে বুঝাও এবং বৃক্ষ নিধন নয় বরং বৃক্ষ রোপন করো। আজ আর নয়, তোমার পিতা মাতাকে আমার সালাম দিও। চিঠির উত্তর দিও অবশ্যই। তোমার  (নাম লিখবেন আপনার)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ