আপনার ধারণাটি ভুল। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ভাল। কিন্তু এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা। এটির চিকিৎসা করাতে হলে ফল পাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে যা এলোপ্যাথি চিকিৎসায় খুব সহজেই সেরে যায়। কিন্তু হোমিওপ্যাথি মেডিসিন গুলিতে সাইড ইফেক্ট থাকে কম। আর বিভিন্ন যৌন সমস্যা, ব্রণ, মুখের তিল সারাতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেস্ট বলে আমি মনে করি। একেক জনের শরীরে একেকভাবে কাজ করায় বা অধিক সময় নেয়ায় অনেকেই ভুয়া বললেও এটি সম্পুর্ন মিথ্যে কথা।
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে ও বৈজ্ঞানিকদের কাছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বৈজ্ঞানিকভাবে ভুয়া ও ভিত্তিহীন।হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মূলনীতিকে অনেক আগেই বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল প্রমানিত করা হয়েছে এবং এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও কিছু কিছু গবেষণায় এর কার্যকারিতার সপক্ষে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, পরবর্তিতে কঠোর বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনার মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে যে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতির সপক্ষের এই কতিপয় ফলাফলের পিছনে ছিল ত্রুটিপূর্ণ গবেষণা পদ্ধতি এবং কিছু গবেষকের পক্ষপাতদুষ্ট ফলাফল উপস্থাপন।বৈজ্ঞানিকভাবে দেখা গিয়েছে যে হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগের ফলে কোনো শারীরিক পরিবর্তন হয় না বরং রোগী যে ওষুধ খাচ্ছে এটা ভেবে সে মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। ফলে অনেক সময় রোগ সেরে যায় যাকে প্লেসবো ইফেক্ট বলা হয়। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার মতেও হোমিওপ্যাথি কোনো বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা নয়। আপনি উইকিপিডিয়া ও বিজ্ঞানপত্রিকা,বিজ্ঞানযাত্রা এসব বৈজ্ঞানিক ওয়েবসাইটেও হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে পড়তে পারেন।