নিচের লক্ষণ গুলি দেখা দিলে আপনার জন্ডিস হবার সম্ভাবনা আছেঃ ১.প্রাথমিকভাবে দেখবেন আপনার চোখ হলুদ হয়েছে কিনা( সাদা অংশ) ২.খাদ্যে অরুচি ৩. জ্বর জ্বর অনুভূতি কিংবা কাঁপানি দিয়ে জ্বর আসা ৪.পেট ব্যথা ৫.বমি বমি ভাব ৬.চুলকানি ৭.শারীরিক দুর্বলতা। ৮.প্রসাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া। জন্ডিস রোগ শনাক্ত করার জন্য আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসক এর কাছে যেতে হবে। রক্ত পরীক্ষা, যকৃতের কার্যকারিতা এবং কোলেস্টরল পরীক্ষা, প্রোথোম্বিন টাইম, পেটের আল্ট্রাসাউন্ড, প্রস্রাব পরীক্ষা অথবা যকৃতের বায়োপসি ইত্যাদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করাতে হবে। করণীয় ঃপ্রচুর জল পান করুন। আপনি দিনে ২-৩ বার আনারসের বা আপেলের জুস বানিয়ে খান। ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন।বিশ্রাম নিন। খোলা খাবার খাবেন না। পানি ফুটিয়ে অথবা ফিল্টার করে পান করুন।
→ জন্ডিস রোগ নির্ণয়:
লক্ষণ: জন্ডিস হলে চোখ হলুদ হয়। তবে হেপাটাইটিস রোগে জন্ডিসের পাশাপাশি ক্ষুদামন্দা, অরুচি, ভাব, জ্বর জ্বর অনুভূতি কিংবা কাঁপানি দিয়ে জ্বর আসা, মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।
ডাক্তার: এ সব উপসর্গ দেখা দিলে তাই অবশ্যই একজন লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসক শারীরিক লক্ষণ এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জন্ডিসের তীব্রতা ও কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়ে থাকে।
→করণীয়
চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে ঠিক কি কারণে জন্ডিস হলো তাঁর উপর। তবে জন্ডিস থেকে বেঁচে থাকতে আমাদের কিছু করণীয় আছে। জন্ডিস প্রতিরোধে সে সম্পর্ক জেনে নেওয়া দরকার।
১. হেপাটাইটিস-এ ও ই খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আর বি, সি এবং দূষিত রক্ত, সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সব সময় বিশুদ্ধ খাদ্য ও পানি খেতে হবে। শরীরে রক্ত নেয়ার দরকার হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করাটাও খুবই জরুরী। ২. মদ্য পান থেকে বিরত থাকুন। ৩. কল কারখানার রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকুন। ৪. নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। ৫. ব্যবহারকৃত ইনজেকশন কিংবা নাক-কান ফোঁড়ানোর সুই ব্যবহার করবেন না। যারা সেলুনে সেভ করেন, তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আগে ব্যবহার করা ব্লেড বা ক্ষুর আবারো ব্যবহার করা না হয়। ৬. নিরাপদ যৌনমিলন করুন। ৭. হেপাটাইটিস এ এবং বি হওয়ার আশংকা মুক্ত থাকতে হেপাটাইটিস এ এবং বি এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।
জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।