শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call
  • কলা
  • আনারস
  • আঙুর
  • পাকা পেঁপে
  • মিষ্টি আলু
  • বাদাম
  • কিসমিস 
দেহের ক্ষয় পূরনের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমনঃ
 অল্প পরিমান করে সপ্তাহে দুদিন মাংস। মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ, ডিম(ভাজা ডিম নয়) ডাল এবং সিম জাতীয় খাবার।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নানান উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে বা গুঁড়া করে নানান প্যাক তৈরির ঝক্কিতে হয়তো নিজের ত্বক বা চুলের যত্ন নেওয়াই হয় না। ব্যস্ত জীবনে এই হ্যাপা কজন সামলাতে পারেন, বলুন তো? সময় নেই, তাই বলে থেমে থাকবে রূপচর্চা? একদমই তা নয়। রোজকার খাবারদাবার একটু বুঝেশুনে খেলে খাবার থেকেই মিলবে চুল, ত্বক ও নখের সৌন্দর্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হরষিত কুমার পাল বলেন, চুল, নখ ও ত্বক সুস্থ রাখতে প্রয়োজন সুষম খাদ্যাভ্যাস। প্রতিটি খাদ্য উপাদান গ্রহণ করতে হবে পরিমাণমতো। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শর্করা, আমিষ, স্নেহজাতীয় পদার্থ, ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও পানি রাখতে হবে সঠিক পরিমাণে। কোনো খাদ্য উপাদান ত্বক বা চুলের জন্য উপকারী বলে সেই উপাদানটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি কোনো একটি খাদ্য উপাদান দৈনন্দিন চাহিদার চেয়ে কম পরিমাণে গ্রহণ করাও উচিত নয়।
তিনি আরও জানালেন, পানি যেমন ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে, তেমনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি পানি পান করা কোনোটিই ঠিক নয়; যতটা প্রয়োজন, ততটাই পান করতে হবে। আপনার শরীরের পানির চাহিদা মিটছে কি না, তা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। পানির চাহিদা পূরণ না হলে প্রস্রাবের রং হলুদ দেখায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়াও থাকতে পারে।
রূপচর্চায় খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও জানালেন সোনালী’স এইচডি মেকআপ স্টুডিওর রূপবিশেষজ্ঞ সোনালী ফেরদৌসি মজুমদার। দেখুন তাঁর পরামর্শ।
* চুল মজবুত ও সুস্থ রাখতে আমিষজাতীয় খাবার প্রয়োজন। আমিষের অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে। উজ্জ্বল ত্বক ও সুন্দর নখের জন্যও চাই আমিষজাতীয় খাবার। মাছ, মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার থেকে আমিষ পাওয়া যায়।
* আয়রনের অভাবেও চুল পড়তে পারে। কচুশাকসহ অন্যান্য সবুজ শাক, পেয়ারা, আপেল, কলিজা প্রভৃতিতে আয়রন রয়েছে।

* ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথা ও দেহের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। মাছের তেল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস।
* সুস্থ চুল ও সুস্থ ত্বকের জন্য আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন এ। রঙিন শাকসবজি ও ফলমূলে রয়েছে ভিটামিন এ।
* চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করবে বায়োটিন। কাঠবাদাম, ডিমের কুসুম, কলিজা প্রভৃতি থেকে মিলবে প্রয়োজনীয় এই উপাদানটি।
* চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করবে জিংক। ত্বকের কোষগুলোর জন্যও জিংক প্রয়োজন। গম, যবসহ বিভিন্ন শস্যকণায় মিলবে জিংক।
* ত্বকের জন্য আরও একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ভিটামিন সি। লেবু, আমড়া, পেয়ারাসহ বিভিন্ন টক ফলে পাবেন প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি।
* এ ছাড়া চুল ও ত্বকের সৌন্দর্যে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নিচের খাবারগুলো মুখের জন্য খুব ভালো:

1।লাল মরিচঃ সারাদিনে আপনার যতো ভিটামিন ‘সি’ দরকার তার সবই আছে এই লাল মরিচে। এটা আপনি যেমন কাঁচাও খেতে পারেন, তেমনি খেতে পারেন রান্না করেও। লাল মরিচে আছে ভিটামিন ‘বি৬’। তার ওপর এতে আছে ক্যারটিনয়েড, যা আপনার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনকে বৃদ্ধি করবে। সুতরাং মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করুন আর লাভ করুন মসৃণ ত্বক। 


 ২। চকোলেটঃ নিখুঁত ত্বকের জন্য চকোলেট একটি উৎকৃষ্ট খাবার। চকোলেট ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা আপনার ত্বকের সজীবতা আনতে সাহায্য করবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রুক্ষতা কমায়।

৩। স্যামন মাছঃ মানসিক চাপের সাথে যুদ্ধ করার জন্য স্যামন মাছ একটি কার্যকর খাবার। সারাদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘ডি’ সরবরাহ করে স্যামন মাছ। আর ভিটামিন ‘ডি’ হৃদযন্ত্র, হাড়, কোলন ও ব্রেনের জন্য ভালো।

৪। নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল ক্যালোরিতে পরিপূর্ণ। এটা লরিক এসিডও বহন করে যা এন্টিব্যাক্টেরিয়াল। এটা আপনাকে ভাইরাস, বিভিন্ন ইনফেকশন এবং ব্রণের হাত থেকে বাঁচাবে। নারিকেল তেলে আছে ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ‘ই’। 

 ৫। সবুজ চাঃ সবুজ চা যদিও একটি পানীয় তবুও মনে রাখতে হবে এটি গাছ থেকেই আসে। প্রতিদিন এককাপ সবুজ চা আপনাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এমিনো এসিড সরবরাহ করবে। যা আপনাকে রিলাক্স মুডে থাকতে সাহায্য করবে। 
 
 ৬। পালং শাকঃ পালং শাক খাবারের মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। এটি আপনাকে আয়রন, ক্লোরোফিল, ভিটামিন ‘ই’, ‘এ’, ‘সি’, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম সরবরাহ করবে। যা আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর। ডায়েট করতেও পালং শাক আপনার খাবারের মেন্যুতে যোগ করতে পারেন।

 ৭। বিভিন্ন প্রকার বীজঃ সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়ার বীজ ও শন বীজ মসৃণ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়ার বীজ দুটোই ভিটামিন ‘ই’, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়ামে পরিপূর্ণ। সেলেনিয়াম আপনার ত্বককে বলি হতে রক্ষা করবে। ভিটামিন ‘ই’ ত্বককে দিবে আদ্রতা আর ম্যাগনেশিয়াম আপনাকে মানসিক চাপ হতে স্বস্তি দিবে। 

 8। পেঁপেঃ পেঁপে একটি দারুণ ফল। পেঁপেতে এতো পরিমাণ পুষ্টিমাণ রয়েছে যা লিখে শেষ করা যাবে না। খুব অল্প ক্যালোরি সমৃদ্ধ এই ফলটি কোনো কোলেস্টরেল নেই। তাই পেঁপেকে আপনার ডায়েট তালিকায়ও যোগ করে নিতে পারেন। পেঁপেতে পাওয়া গেছে ভিটামিন ‘ই’, ‘সি’, এবং বেটা ক্যারোটেন। যা আপনার মুখের ব্রণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ভিটামিন ‘সি’ ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। 

 09। গাঁজরঃ গাঁজর শুধু আপনার চোখের জন্যই নয় বরং ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারি। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ গাঁজর ত্বকের নিচের অতিরিক্ত কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে। সকালে নাস্তায় গাঁজর রাখার অন্যতম যুক্তি হলো গাজরের ভিটামিন ‘এ’ ত্বকের ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।প্রতিদিন হাফ কাপ গাঁজর আপনার ত্বককে এনে দিতে পারে উজ্জ্বল সজীবতা।

10।স্ট্রবেরি:  স্ট্রবেরির মধ্যে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ম্যালিক অ্যাসিড। 

11।আলু :আলুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। প্রথমে আলুটা বেঁটে মুখে দিলে খুব ভালো কাজ দেয়।

 ১1। টমেটো  :টমেটোর মধ্যে আছে লাইকোপিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। টমেটো খাওয়া যেমন উপকারী, আবার ত্বকের জন্য খুব ভালো কাজ দেয়। ত্বকের উজ্জ্বল ভাব চলে যায় এবং ত্বকের মধ্যে ট্যান পড়লে তাও তুলতে সাহায্য করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
  • পেঁপে
  • গাজর
  • টমেটো
  • সবুজ পাতার শাক সবজি
  • ব্রকলি
  • গ্রিন টি 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
  • গাজর
  • টমেটো 
  • শশা
  • পেঁপে 
  •  সামুদ্রিক মাছ
  • কিশমিস ও বাদাম
  •  স্ট্রবেরি 
  • আলু
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ