শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ইসলাম ধর্ম ৬১০ খ্রীস্টাব্দ থেকে গোপনে ও ৬২০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রকাশ্যে  প্রচারিত হয়।কারণ ৬১০ খ্রিস্টাব্দে মহানবি(স.) নবুয়ত লাভ করেন এবং নবুয়তের দশ বছর পর তিনি প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দেয়া শুরু করেন।   

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এ পৃথিবীতে যেমন বহু দেশ, জাতি ও ভাষা সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি সৃষ্টি হয়েছে বহু ধর্ম। যেমনঃ ইসলাম ধর্ম (মুসলিম জাতি), হিন্দু ধর্ম (হিন্দু জাতি), বৌদ্ধ ধর্ম (বৌদ্ধ জাতি), জৈন ধর্ম (জৈন জাতি), খ্রিস্টান ধর্ম (খ্রিস্টান জাতি), ইহুদি ধর্ম (ইহুদি জাতি) ইত্যাদি। তন্মধ্যে ইসলাম কোনো মানুষের দ্বারা সৃষ্টি হয়নি। ইসলাম স্রষ্টা প্রতিষ্ঠিত ও স্রষ্টা মনোনীত একমাত্র ধর্ম (সূরাঃ আল-ইমরান, আয়াত-১৯)। আর বাকি সব ধর্ম মানবসৃষ্ট, শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পথভ্রষ্ট মানবজাতি যুগে যুগে এসব ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করেছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, ইহুদি সবগুলো ধর্মই অনেক প্রাচীন বা পুরনো, তবে প্রথম নয়। প্রাচীন আর প্রথমের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। যা পুরনো তাই প্রাচীন, আর যা পৃথিবীর শুরু, তাই প্রথম। ইসলামই স্রষ্টা প্রতিষ্ঠিত ও স্রষ্টা মনোনীত পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন, সবচেয়ে পুরনো ও সর্বপ্রথম ধর্ম। ১। পৃথিবীতে যখন কোনো মানুষ ছিলো না, তখন এখানে কোনো দেশ, ধর্ম, জাতি, ভাষা বা সাল ছিলো না। ২। পৃথিবীতে মানুষ আসার পরে দেশ, ধর্ম, জাতি, ভাষা বা সাল এসেছে। ৩। পৃথিবীর প্রথম মানব হলেন হযরত আদম (আঃ) এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী হলেন হযরত হাওয়া (আঃ)। ৪। পৃথিবীর প্রথম মানব এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী স্রষ্টা প্রতিষ্ঠিত ও স্রষ্টা মনোনীত একমাত্র ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তাই ইসলামই হলো পৃথিবীর প্রথম ধর্ম, সবচেয়ে প্রাচীন, সবচেয়ে পুরনো, সবচেয়ে আদি ধর্ম। পক্ষান্তরে, বাকি সব ধর্ম যেমনঃ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, ইহুদি ইত্যাদি প্রাচীন বা পুরনো হলেও প্রথম নয়। মহান আল্লাহ প্রতিষ্ঠিত ইসলাম পৃথিবীর একেবারে শুরুতে এসেছে। আর পৃথিবীতে ইসলাম আসার হাজার হাজার বৎসর পরে, বাকি সব ধর্ম পথভ্রষ্ট বিভিন্ন জাতির দ্বারা যুগে যুগে সৃষ্টি হয়েছে। ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হলেন স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা। পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) হলেন ইসলাম ধর্মের প্রথম প্রচারক। আর হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর উম্মতেরা হলেন ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ প্রচারক। পৃথিবীর শুরু থেকে তথা হযরত আদম (আঃ) থেকে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত ১২৪০০০ নবী ও ৩১৫ জন রাসূল ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার করেছেন। মহান আল্লাহ ইসলাম প্রচারের সুবিধার্থে হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত মোট ১০৪ খানা আসমানী কিতাব বা ইসলামী ধর্মগ্রন্থ নাযিল করেছেন। যখনই মানুষ ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়েছে, তখনই মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের হেদায়াতের জন‍্য বিভিন্ন নবী-রাসূল পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং বিভিন্ন আসমানী কিতাব বা ইসলামী ধর্মগ্রন্থ নাযিল করেছেন। ((((((((((অনেকে ভুল করেন এই ভেবে যে, ইসলাম ধর্মের প্রথম প্রচারক হলেন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। দিনের আলোর মতো সত‍্যিটা হলো এই যে, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর উম্মতেরা হলেন ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ প্রচারক। ইসলাম ধর্মের প্রথম প্রচারক হলেন প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ)। মহান আল্লাহ মানবজাতির হেদায়াতের জন‍্য এবং তাঁর দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণতা দেওয়ার জন‍্য সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-কে দুনিয়াতে পাঠান ও সর্বশেষ ইসলামী ধর্মগ্রন্থ কুরআন নাযিল করেন। সেজন্যই তো পৃথিবীতে আর কোনো নবী বা রাসূল আসবেন না, আর কোনো ইসলামী ধর্মগ্রন্থও আল্লাহ নাযিল করবেন না। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ৬১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে গোপনে ও ৬২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রকাশ‍্যে আল্লাহর প্রতিষ্ঠিত ও হযরত আদম (আঃ) প্রচারিত সেই ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটান। মাত্র ২৩ বৎসর হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ইসলাম প্রচার করেন, তারপর ইন্তেকাল করেন। এই ২৩ বৎসর সময়ে ইসলাম সারা বিশ্ব জয় করে নিয়েছে। আজও তাঁর উম্মতেরা পৃথিবীর বুকে সেই ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটিয়ে যাচ্ছেন))))))))))। ৫। পৃথিবীর প্রথম মানব এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী মুসলিম জাতি ছিলেন। তাই মুসলিমই হলো পৃথিবীর প্রথম জাতি। যারা ইসলাম প্রচার করে এবং ইসলামের অনুসরণ করে, তারাই হলো মুসলিম জাতি। যেহেতু হযরত আদম (আঃ) স্রষ্টা প্রতিষ্ঠিত ও স্রষ্টা মনোনীত একমাত্র ইসলাম ধর্মের প্রচার ও অনুসরণ করেছেন, সেহেতু তাঁরা মুসলিম জাতি ছিলেন। হযরত আদম (আঃ) এবং হযরত হাওয়া (আঃ)-এর ১৪০ জোড়া সন্তান হয় এবং একজন বেজোড় সন্তানও হয়। একমাত্র বেজোড় সন্তান হযরত শীস (আঃ) পরবর্তীতে নবী ও রাসূল হয়েছিলেন। তাঁর বংশ থেকেই ক্রমান্বয়ে সকল নবী-রাসূলগণ পৃথিবীতে এসেছেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, ইহুদি ইত্যাদি নামে অনেক প্রাচীন বা পুরনো জাতি রয়েছে। তবে মুসলিম জাতি হলো সবচেয়ে প্রাচীন, সবচেয়ে পুরনো, সর্বপ্রথম জাতি। ৬। পৃথিবীর প্রথম মানব এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী আরবি ভাষায় কথা বলতেন। তাই আরবিই হলো পৃথিবীর প্রথম ভাষা। মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ)-কে জান্নাতে সৃষ্টি করেন আর জান্নাতের ভাষা হলো আরবী। পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন আরবী ভাষায় লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত রেখেছেন এবং বিকৃতি এড়ানোর জন‍্য আরবিতেই তা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিল করেন। পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)' তাঁর আরশে আজীমে আরবিতে লিখে রেখেছেন। পৃথিবীতে যখন কোনো মানুষ ছিলো না, ভাষা ছিলো না, তখনও আল্লাহ ও ফেরেশতাগণের মধ‍্যে আরবি ভাষা বজায় ছিলো। আরবি ভাষার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হলেন স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা। যুগে যুগে পৃথিবীতে মানবজাতির দ্বারা বহু ভাষা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক প্রাচীন বা পুরনো ভাষা রয়েছে। তবে আরবিই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন, সবচেয়ে পুরনো, সর্বপ্রথম ভাষা। বিজ্ঞান বলে, পৃথিবীর প্রথম ভাষা সাংকেতিক ভাষা। কারণ, বিজ্ঞান পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) পর্যন্ত পৌছতে পারেনি। আর তাছাড়া বিজ্ঞান স্রষ্টা, নবী-রাসূল, ধর্মগ্রন্থ ও পরকালে বিশ্বাসী নয়। ৭। পৃথিবীর প্রথম মানব এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী সৌদিআরবে সর্বপ্রথম একসাথে বসবাস করা শুরু করেন। তাই সৌদিআরবই হলো পৃথিবীর প্রথম মানুষ বসবাসের জায়গা বা দেশ। নিষিদ্ধ গন্ধম ফল খাওয়ার ফলে মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাত থেকে হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ)-কে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন। হযরত আদম (আঃ)-কে শ্রীলঙ্কার সন্দ্বীপে আর হযরত হাওয়া (আঃ)-কে সৌদিআরবের জেদ্দায় পাঠিয়ে দেন। প্রায় সাড়ে ৩০০ বৎসর পর তাঁরা উভয়ে সৌদি আরবের 'আরাফাত' নামক ময়দানে পুনর্মিলিত হোন এবং সেখানেই তাঁরা বসবাস ও বংশবৃদ্ধি শুরু করেন। ফলে সৌদিআরবেই সর্বপ্রথম মানবসভ‍্যতা গড়ে উঠে। তাঁরা আল্লাহর শিখানো আরবি ভাষায় কথা বলতেন বলেই, আজও সৌদিআরবের ভাষা আরবি। পৃথিবীর প্রথম মানব, নবী ও রাসূল হযরত আদম (আঃ) সৌদিআরবে বসবাস করেছেন। অনুরূপ, পৃথিবীর শেষ নবী ও রাসূল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সৌদিআরবেই বসবাস করেছেন। হযরত আদম (আঃ)-এর উপর সর্বপ্রথম ১০খানা এবং তাঁর পুত্র হযরত শীস (আঃ)-এর উপর ৫০খানা আসমানী কিতাব আরবিতেই নাযিল হয়। অনুরূপ, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর সর্বশেষ পবিত্র কুরআন আরবিতেই নাযিল হয়। সুতরাং, পৃথিবীর প্রথম ইসলামী ধর্মগ্রন্থ এবং শেষ ইসলামী ধর্মগ্রন্থের ভাষা ছিলো আরবি। সকল ইসলামী ধর্মগ্রন্থ বিপথগামী ও পথভ্রষ্ট মানবজাতির দ্বারা বিকৃত হলেও পবিত্র কুরআন কখনো বিকৃত হবে না। কারণ, এর হেফাজতকারী মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই। ৮। পৃথিবীর প্রথম মানব এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী চাঁদ-সূর্যের উদয়-অস্তের মাধ্যমে দিন-রাত গণনা করতেন। এটা পৃথিবীর প্রথম সাল গণনার সিস্টেম। বর্তমানে পৃথিবীতে তিন ধরণের সাল গণনা প্রচলিত। খ্রিস্টাব্দ, বঙ্গাব্দ ও হিজরী। হযরত ঈসা (আঃ)-এর জন্মবৎসর থেকে পরিগণিত অব্দ বা সাল হলো খ্রিস্টাব্দ। রাত ১২ টাকে কেন্দ্র করে ইংরেজি সাল বা খ্রিস্টাব্দের দিন-রাত গণনা করা হয়। রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর কর্তৃক ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে বা ৯৬৩ হিজরিতে প্রবর্তিত সৌর অব্দ বা সাল হলো বঙ্গাব্দ। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকে কেন্দ্র করে বাংলা সাল বা বঙ্গাব্দের দিন-রাত গণনা করা হয়। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর মক্কা ছেড়ে মদিনায় যাত্রার দিন তথা ৬২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে পরিগণিত চান্দ্র অব্দ বা সাল হলো হিজরী। সূর্যাস্ত ও চন্দ্র উদয়কে কেন্দ্র করে আরবি সাল বা হিজরী সালের দিন-রাত গণনা করা হয়। যখন পৃথিবীতে খ্রিস্টাব্দ, বঙ্গাব্দ বা হিজরী নামকরণে কোনো সাল বা ক‍্যালেন্ডার ছিলো না, তখনো মানুষ চন্দ্র-সূর্যের উদয়-অস্তের মাধ্যমে দিন-রাত গণনা ও দিক ঠিক করতেন। ((((((((((যেহেতু হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ)-এর সময়ে খ্রিস্টাব্দ, বঙ্গাব্দ বা হিজরী ছিলো না। তাই ইসলাম ধর্ম কত সাল থেকে প্রচলিত হয়? প্রশ্নটি উদ্ভট শোনায়। প্রশ্নটি হবে ইসলাম ধর্ম কখন থেকে প্রচলিত হয়? উত্তরঃ পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী হযরত হাওয়া (আঃ)-এর সময় থেকে))))))))))। ৯। পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী হযরত হাওয়া (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল সৌদিআরবের মক্কায় সর্বপ্রথম কাবা ঘর নির্মাণ ও তাওয়াফ করেন। পরবর্তীতে অনেক নবী-রাসূল তা সংস্কার বা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। কাবা ঘর হলো পৃথিবীর প্রথম ঘর, মুসলিম জাতির প্রথম উপাসনালয়। আজও সেখানে কাবা ঘর বিদ‍্যমান রয়েছে এবং থাকবে। ১০। সৌদিআরবে বসবাসকালীন সময়ে হযরত আদম (আঃ)-এর উপর মহান আল্লাহ তায়ালা ১০খানা ছোট আসমানী কিতাব, সহীফা বা ইসলামী ধর্মগ্রন্থ নাযিল করেন। পৃথিবীর প্রথম মানব এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী সেসব ইসলামী ধর্মগ্রন্থ অনুসরণ করতেন এবং তাঁদের সন্তানদের মধ‍্যে সেসব ইসলামী ধর্মগ্রন্থের প্রচার ও প্রসার ঘটাতেন। পরবর্তীতে তাঁদের একমাত্র বেজোড় সন্তান হযরত শীস (আঃ)-এর উপর মহান আল্লাহ তায়ালা ৫০খানা ছোট আসমানী কিতাব, সহীফা বা ইসলামী ধর্মগ্রন্থ নাযিল করেন। মহান আল্লাহ তায়ালা ১২৪০০০ নবী, ৩১৫ জন রাসূল, ১০০খানা সহীফা বা ছোট আসমানী কিতাব এবং ৪খানা বড় আসমানী কিতাবের মাধ্যমে পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অবধি ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছেন এবং সর্বশেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর হাদীস, তাঁর উম্মত ও সর্বশেষ আসমানী কিতাব পবিত্র কুরআনের মাধ‍্যমে কিয়ামত অবধি এই ইসলাম ধর্মকে বলবৎ রাখবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম (আঃ) এবং প্রথম মানবী হজরত হাওয়া (আঃ)। পৃথিবীর প্রথম মানব এবং পৃথিবীর প্রথম মানবী স্রষ্টা প্রতিষ্ঠিত ও স্রষ্টা মনোনীত একমাত্র ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তাই ইসলামই হলো পৃথিবীর প্রথম ধর্ম, সবচেয়ে প্রাচীন, সবচেয়ে পুরনো, সবচেয়ে আদি ধর্ম। পক্ষান্তরে, বাকি সব ধর্ম যেমনঃ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, ইহুদি ইত্যাদি প্রাচীন বা পুরনো হলেও প্রথম নয়। মহান আল্লাহ প্রতিষ্ঠিত ইসলাম পৃথিবীর একেবারে শুরুতে এসেছে। আর পৃথিবীতে ইসলাম আসার হাজার হাজার বৎসর পরে, বাকি সব ধর্ম পথভ্রষ্ট বিভিন্ন জাতির দ্বারা যুগে যুগে সৃষ্টি হয়েছে। ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হলেন স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা। সুতরাং ইসলাম ধর্ম হলো মানবজাতির একমাত্র ধর্ম। বহু নবী রাসুল এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং এক আল্লাহর দাওয়াত দিয়েছেন।এবং তারা পেরিত হয়েছিলেন সময় ও যুগ ভেদে। ইসলাম শুধু মাএ আমাদের নবী হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর যুগ থেকে আসে নি।তার মতো অনেক নবী একইভাবে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে এই দুনিয়ায় এসেছেন। একজন নবী আসার পর পূর্বের নবীর যুগ শেষ হয়।এই ভাবে দুই লক্ষ মতান্তরে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর আল্লাহ তায়ালা এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। অনেক হিন্দুধর্মের ভাই মনে করে যে,আমাদের নবী হজরত মুহাম্মাদ সাঃ এর থেকে ইসলাম ধর্ম শুরু।এই ধারন সম্পূর্ণ ভুল। সৃস্টির আদি থেকে ইসলাম ধর্ম বিদ্যমান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলাম ধর্ম মহানবি হযরত মুহম্মদ সাল্লালাহু আলাইহিস সালামের সময় থেকেই  প্রচলিত হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ