সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ খাদ্যের এসব পুষ্টি উপাদানের কারণেই আমরা রোগ প্রতিরোধ করতে পারি, শারীরিক বৃদ্ধি পরিপূর্ণভাবে হয়। ভিটামিন এ এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা প্রয়োজন হয় খুবই সামান্য পরিমাণে তবে এর উপকারিতা প্রচুর। শরীরের বৃদ্ধি ও পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য ভিটামিন এ খুবই জরুরি। ভিটামিন এ-এর অভাবে অন্ধত্ব, মুখ গহবর, গলবিল, শ্বাসনালীর ক্যান্সার ও ত্বকের রোগ হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ না পেলে যকৃত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এমন কি গর্ভের শিশু বিকলাঙ্গ পর্যন্ত হতে পারে। এ বিষয়ে প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ শামীমা আখতার জলি বলেন, "একজন নবজাতক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেরই ভিটামিন প্রতিদিন গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ভিটামিন এ-এর দৈনিক চাহিদা হলো ৯০০ আইইউ এবং একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর দৈনিক চাহিদা হলো ৭০০ আইইউ। ভিটামিন এ না গ্রহণ করলে যেমন শরীর ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তেমনি অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করলে শরীরে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করলে বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে, চুল পড়ে যেতে পারে, ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।" আমাদের দৈনন্দিন খাবারেই পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ। আসুন জেনে নিই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কিছু খাবারের কথা -

image

গাজর :

কমলা রঙের গাজর কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি তরকারি হিসেবে রান্না করে, সালাদ হিসেবে অথবা হালুয়া তৈরি করে খাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা গাজরে রয়েছে ৮৩৫ আইইউ ভিটামিন এ।

কড লিভার অয়েল :

কড মাছের যকৃত থেকে তৈরি এই তেল মূলত ওষুধ হিসেবেই গণ্য করা হয়। ভিটামিন এ ক্যাপসুলে অথবা তেল হিসেবে পাওয়া যায় কড লিভার অয়েল। প্রতি ১০০ গ্রাম কড লিভার অয়েলে রয়েছে ৩০০০০ আইইউ ভিটামিন এ।

কলিজা :

যেকোনো প্রাণীর কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর কলিজায় রয়েছে ৬৫০০ আইইউ ভিটামিন এ।

মিষ্টি আলু :

মিষ্টি আলুকে আমাদের দেশে ঠাট্টা করে ডাকা হয় গরিবের খাবার! নানা গুণে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি আলু। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি আলুতে রয়েছে ৭০৯ আইইউ ভিটামিন এ।

image

মাখন :

সকালের নাস্তায় রুটির সাথে অথবা বিভিন্ন খাবার তৈরিতে মাখনের ব্যবহার করা হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম মাখনে রয়েছে ৬৮৪ আইইউ ভিটামিন এ।

পালং শাক :

ভিটামিন ও খনিজের উত্‍স হিসেবে পালং শাক অতুলনীয়। প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে রয়েছে ৪৬৯ আইইউ ভিটামিন এ।

মিষ্টি কুমড়া :

আমাদের অতি পরিচিত মিষ্টি কুমড়া হলো ভিটামিন এ-এর সহজলভ্য উত্‍সগুলোর মধ্যে একটি। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় ৪২৬ রয়েছে আইইউ ভিটামিন এ।

image

ডিম :

মুরগি, হাঁস, কোয়েল পাখিসহ অন্যান্য অনেক পাখির ডিম আমরা খেয়ে থাকি। ডিমকে ভিটামিনের আধার বললেও ভুল বলা হবে না। প্রতি ১০০ গ্রাম সেদ্ধ ডিমে রয়েছে ১৪৯ আইইউ ভিটামিন এ।

আম :

আমকে বলা হয় ফলের রাজা। স্বাদে ও গুণে সমৃদ্ধ এই ফলটির প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ৫৪ আইইউ ভিটামিন এ।

পেঁপে :

পেঁপে আমাদের দেশে অত্যন্ত সহজলভ্য একটি ফল। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে রয়েছে ৪৭ আইইউ ভিটামিন এ।

image

টমেটো :

টমেটো মূলত শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে প্রায় সারা বছরই বাজারে টমেটো পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে রয়েছে ৪২ আইইউ ভিটামিন এ।

দুধ :

দুধ হলো এমন একটি খাবার যাতে সব ধরনের পুষ্টিগুণ উপস্থিত রয়েছে। এ কারণেই একে সুষম খাবার বলা হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর দুধে রয়েছে ২৮ আইইউ ভিটামিন এ।সূত্রঃপ্রিয়ডটকম

Talk Doctor Online in Bissoy App

সব ধরনের শাকসবজি, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য,ছোটমাছ,কলিজা,ঢেকিছাটা চাল ইত্যাদি থেকে সব ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়

Talk Doctor Online in Bissoy App