তাহাজ্জুদ নামায হচ্ছে একটি নফল ইবাদত তবে নফল ইবাদতের মধ্যে এটি অন্যতম একটি ইবাদত। তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ম হচ্ছে সাভাবিক নামাযের মত-ই দুই রাকাত করে করে এই নামায আদায় করা। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর, অন্য যে কোন সুরা মিলানো এভাবেই নামায আদায় করতে হবে। তাহাজ্জুদ নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সুরা নেই যে কোন সুরা দিয়েই এই নামায আদায় করা যাবে। তবে যদি বড় সুরা বা আয়াত মুখস্হ থাকে তবে, সেগুলো দিয়ে পড়াই উত্তম। কারন রাসুল (সাঃ) সব সময় বড় সুরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতেন। যাই হোক, বড় সুরা মুখস্হ না থাকলেও ছোট যে কোন সুরা দিয়েই নামায আদায় করা যাবে। তাহাজ্জুদ নামায সর্ব নিম্ন দুই রাকাত। আর সর্বোচ্চ আট রাকাত পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের আট রাকাত নামায আদায় করার পরে, বিতর ৩ রাকাত নামায পড়া। বেশিরভাগ সময় রাসুল (সাঃ) তাহাজ্জুদের নামায আট রাকাত পরতেন এবং এর পর বিতরের নামায পরে মোট এগার রাকাত পূর্ণ করতেন। তাহাজ্জুদ নামায একাকি-ই পড়তে হয়। একা পড়ার সময় তেলোয়াত উচ্চস্বরে পড়তে হবে না মনে মনে পড়তে হবে। আর ওয়াক্তের ফরয নামায মসজিদে গিয়ে যদি জামাত না পান তাহলে একা একা মসজিদের ভিতর নামায পড়ার সময় ইকামাত দিতে হবে না। কেননা কারণবশতঃ একা নামায পড়তে হলে একা নামাযীর জন্য ইকামত দেওয়া জরুরী নয়। যেমন জেহরী নামায সশব্দে কিরাআত পড়াও জরুরী নয়। এ শুধু জামাআতের নামাযের ক্ষেত্রে জরুরী। (ইবনে জিবরীন) আর একা নামাযীর জন্য উচ্চস্বরে তেলায়াত করতে হবে না, মনে পড়লেই নামায হবে।