শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ফরজ নামাজের পর নির্দিষ্ট কোনো দুআ নেই ,কিন্তু ফরজ নামাজের পর কিছু সুরা/দুআ/জিকির করে অতপর রবের নিকট হাত তুলে দোআ করতে বলা হয়েছে, আপনি আপনার পছন্দ মতো যে কোনো দুআ বা জিকির করতে পারেন।  প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পরতে পারেন 

আবু উমামাহ রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

  مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُولِ الْجَنَّةِ إِلَّا أَنْ يَمُوتَ

যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ব্যতিত আর কোন বাঁধা থাকবে না। (নাসায়ী ৯৪৪৮ তাবারানী ৭৮৩২)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি চাইলে  ফরয নামাজের পর দোয়া পড়তে পারেন।বর্ণিত হাদিসের প্রেক্ষিতে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর নিম্নবর্ণিত দোয়াসমূহ পাঠ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ইসলামি স্কলাররা।


 এক. أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। এ বাক্যটি তিন বার পাঠ করতে হয়। -সহিহ মুসলিম: ১৩৬২ 

দুই. اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়াজাল জালালি ওয়াল ইকরাম। অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার গুণবাচক নাম সালাম। তুমি শান্তিদাতা। তুমি কল্যাণময়। তুমি সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। ‍উল্লেখিত দোয়াটি এক বার পাঠ করতে হয়। -মুসলিম শরিফ: ১৩৬২

 তিন. لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ اَللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। আল্লাহুম্মা লা-মানিয়া লিমা আতাইতা। ওয়া-লা মুতিয়া লিমা মানা’তা ওয়ালা ইয়ানফাউ জাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু। অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক। তার কোনো শরিক নেই। সার্বভৌমত্বের মালিক তিনি। সকল প্রশংসা তার। তিনি সব কিছুর ওপর সামর্থ্যবান। আপনি দিলে কেউ বাঁধা দিতে পারে না। আপনি না দিলে কেউ দিতে পারে না, কেউ উপকার করতে পারে না। এ দোয়াটি একবার পাঠ করতে হয়। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম 

চার. لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ ‍ উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু। ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাউলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। ওয়া লা না’বুদু ইল্লা ইয়্যাহু। লাহুন নি’মাতু ওয়া লাহুল ফাজলু। ওয়া লাহুস সানাউল হাসানু। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসিনা লাহুদ দ্বীনা। ওয়া লাউ কারিহাল কাফিরূন। অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক। তার কোনো শরিক নেই। সার্বভৌমত্বের মালিক তিনি। সকল প্রশংসা তার। তিনি সবকিছুর ওপর সামর্থ্যবান। নেক কাজের তওফিক দান করার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতীত আর কারো নেই। গুনাহ থেকে বিরত রাখার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতীত আর কারো নেই। আল্লাহ ব্যতীত আর কারো ইবাদত আমি করি না। প্রাচুর্য দেওয়ার ও অনুগ্রহ করার ক্ষমতা তার। সকল প্রশংসা ও সৌন্দর্য তার। আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা একনিষ্ঠ ভাবে তার দ্বীন মেনে চলি। যদিও অবিশ্বাসীরা তাতে অসন্তুষ্ট হয়। এই দোয়াটিও এক বার পাঠ করার কথা বলা হয়েছে। -সহিহ মুসলিম: ১৩৭১

 পাঁচ. প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের পর সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার ও আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পাঠ করা। -সহিহ মুসলিম: ১৩৭৭ অথবা সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার। এর পর ১ বার لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু। ওয়ালাহুল হামদু। ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক। তার কোনো শরিক নেই। সার্বভৌমত্বের মালিক তিনি। সকল প্রশংসা তার। তিনি সবকিছুর ওপর সামর্থ্যবান। -সহিহ মুসলিম: ১৩৮০

 ছয়. اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْجُبْنِ وَأَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল জুবনি। ওয়া আউযু বিকা আন আরুদ্দা ইলা আরজালিল উমুরি। আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া। আউজু বিকা মিন আজাবিল কাবরি। অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ভীরুতা থেকে আশ্রয় চাই। বার্ধক্যজনিত অক্ষমতা থেকে আশ্রয় চাই। দুনিয়ার ফেতনা থেকে আশ্রয় চাই। কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই। বর্ণিত দোয়াটিও এক বার পাঠ করতে হয়। -সহিহ বোখারি: ২৮২২ 

সাত. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস এক বার করে তেলাওয়াত করা। -সুনানে আবু দাউদ: ১২২৫ 

আট. اَللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শোকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা। অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জিকির করার সুযোগ দাও। তোমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ দাও। সুন্দরভাবে তোমার ইবাদতের সুযোগ দাও। এই দোয়াটিও এক বার করে পাঠ করতে হয়। -সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৪
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ