প্রিয় বোন আপনাকে বলি শুনুন, গুনাহের ক্ষমা আছে। মহান আল্লাহতালা পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। আপনি যদি গুনাহ করেই থাকেন তবে নিজের ভুল মন থেকে স্বীকার করে গভীর মন থেকে আল্লাহতালার কাছে তওবা করুন এবং ইবাদত করুন। আপনি গুনাহ করে থাকলে ইনশাল্লাহ তা মাফ করবেন মহান দয়াময় ও শ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল আল্লাহ। আমার উত্তরে কোন প্রকার ভুল থাকলে ক্ষম করবেন এবং আমাকেউ জানিয়ে দিবেন আশারাখি। ধন্যবাদ।
বোন অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের পূর্বে যৌন সহবাসের মতো জঘন্য অপরাধ আর অন্যটি নেই। ইসলামের দৃষ্টিতে এর শাস্তি অত্যন্ত কঠিন। 70 ঘা বেত্রাঘাত। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এমনটা করার কোন সুযোগ নেই এবং আপনি নিজের ভুল নিজে বুঝতে পেরেছেন সেহেতু আপনার এখন একমাত্র করনীয় হল কায়মনোবাক্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে নিজের অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হওয়া। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তাওবা করা। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তওবা করার অর্থ হলো মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সম্পূর্ণ ভাবে নিজের ভুলের স্বীকৃতি প্রদান করা, নিজের ভুলের স্বীকৃতি প্রদান করার পর নিজের কৃত অপরাধ সম্পর্কে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, ক্ষমা প্রার্থনার পাওয়ার মহান আল্লাহর কাছে এই ওয়াদাবদ্ধ হওয়া জীবনে কোন পরিস্থিতিতেই পুনরায় এই গুনাহ এর সঙ্গে জড়িত হবো না।
আপনারা দুইজন যিনা করার মাধ্যমে নিকৃষ্টতম গুনাহর কাজে লিপ্ত হয়েছেন। আপনার অনুতপ্ত হয়ে এ গুনাহ থেকে তওবা করা এবং এর থেকে ফিরে আসার অটল সিদ্ধান্ত নেয়া অনিবার্য। ব্যভিচার কবিরা গুনাহ যে গুনাহকারীর জন্য আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন শাস্তি ঘোষণা করেছেন। যদি এই গুনাহকারী বিবাহিত হয় তাহলে তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হবে। আর যদি অবিবাহিত হয় তাহলে তাকে ১০০ বেত্রাঘাত করা হবে। প্রশ্নের মূল কথা হচ্ছেঃ বিয়ের আগে কিশোরী বয়সে কোন ছেলের সঙ্গে সঙ্গম করলে তারপর সেই ভুল বুঝতে পারলে আল্লাহ মাফ করে দিবেন। তবে উপরিউক্ত গুনাহের জন্য উলামা সম্প্রদায়ের উক্তি এই যে, প্রত্যেক পাপ থেকে তওবা করা ওয়াজিব তথা অবশ্য- কর্তব্য। তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। ১। পাপ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। ২। পাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। ৩। ঐ পাপ আগামীতে দ্বিতীয়বার না করার দৃঢ় সঙ্কল্প করতে হবে। সুতরাং যদি এর মধ্যে একটি শর্তও লুপ্ত হয়, তাহলে সেই তওবা বিশুদ্ধ হবে না। তওবা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে এবং এ ব্যাপারে উম্মতের ঐকমত্যও বিদ্যমান। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূরঃ ৩১ আয়াত) অর্থাৎ তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের নিকট (পাপের জন্য) ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর। (সূরা হূদঃ ৩) তিনি আরো বলেছেন, অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর বিশুদ্ধ তওবা। (সূরা তাহরীমঃ ৮) জনাব! তওবার মধ্যে অটল না থাকতে পারলে খাস দিলে পুনরায় তাওবা করতে হয়। তাই আপনি তওবা ইস্তেগফার করুন! আর এটাই হচ্ছে মুক্তির পথ।