বাংলাদেশ ভারত শ্র ীলংকা আরও এরকম মোট আটটা দেশ নিয়ে আঞ্চলিক আবহাওয়া কমিটি গঠিত।এই কমিটির সদস্যরা ঝড়ের বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করে।তার মধ্যে যে নাম ভোট বেশি পায় তার নাম দেওয়া হয়।ঘূর্ণীঝড় ফণীর আগে মোরা হয়েছিল।মোরার আগের ঝড়ের নাম মহশীন।এটি শ্রীলংকার দেওয়া নাম ছিল।২০১৩ সালের মে মাসের শুরুর দিকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণাংশে নিম্নচাপজনিত কারণে উৎপত্তি ঘটে মহাসেনের। কার্যত স্থির থাকলেও ১০ মে তারিখে ঘণিভূত অবস্থায় চলে যায়। পরবর্তীতে এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে মৌসুমের প্রথম নামাঙ্কিত ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপান্তরিত হয়। ১৪ মে এটি উত্তর-পূর্বাংশের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কার্যত জনজীবন অচল হয়ে পড়ে।
র্ণিঝড়ের নামকরন কিভাবে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি বিভিন্ন ঝড়ের নামকরণ করে থাকেন। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে মূলত এই সংস্থার আট দেশ। সেই আট দেশ হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান। এসব দেশের প্রস্তাব অনুসারে একটি তালিকা থেকে একটির পর একটি ঝড়ের নামকরণ করা হয়। যেমন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'তিতলি'র নামকরণ করেছে পাকিস্তান। 'তিতলি' শব্দের অর্থ প্রজাপতি। এরপরের ঝড়টির নাম হবে গাজা। এ নামটি প্রস্তাব করেছে থাইল্যান্ড। এ ছাড়া এ অঞ্চলের জন্য আরও ৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ইতোমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে একেকটি ঝড়ের নামকরণ করা হবে। গাজার পর আসবে ফেতাই। এ নামটি শ্রীলঙ্কার দেয়া। এরপরের ঝড়ের নামগুলো হবে- ফানি (বাংলাদেশ), ভায়ু (ভারত), হিকা (মালদ্বীপ), কিয়ার (মিয়ানমার), মহা (ওমান), বুলবুল (পাকিস্তান), পাবান (থাইল্যান্ড), আম্ফান (শ্রীলঙ্কা)।