Call

রক্ত যদি নিজের স্থানে প্রকাশ পায়, তাহলে রোজা ভাঙবে না। যদি নিজের স্থান থেকে গড়িয়ে অন্য স্থানে চলে যায় রক্তটা, তাহলে এটা প্রবাহিত রক্ত হিসেবে ধরা হবে, যার দরুন রোজা ভেঙে যাবে। যেহেতু এটা কোরআন নাজিলের মাস অতএব আপনি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন, আর এটাই উত্তম আমল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
amitomar

Call

na vange na tobe makrue hoy

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এই ভাই যে রক্তক্ষরণের কথা উল্লেখ করেছেন, এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলেমের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু বিশুদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে, এর মাধ্যমে সিয়াম নষ্ট হবে না। রক্তক্ষরণের কারণে কেউ কেউ বলেছেন, রক্তক্ষরণের কারণে সিয়াম নষ্ট হয় এবং তাঁরা এ বক্তব্যটুকু নিয়েছেন মূলত কাপিং বা সিঙ্গা বা চুষে নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে তাঁরা অনুমান করে হুকুম করেছেন সিয়াম নষ্ট হয়। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুস্পষ্ট বক্তব্য বা হাদিসের মাধ্যমে এভাবে আসেনি; বরং বক্তব্য যেটা, সেটা হচ্ছে কোনো কারণে রক্ত বের হয় বা ক্ষত বা আহত হয়, সে ক্ষেত্রে তাঁর সিয়াম নষ্ট হবে না; বরং তিনি সিয়াম কন্টিনিউ করতে পারবেন।




রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহ:

১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
২. স্ত্রী সহবাস করলে ।
৩. কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।
৪. ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
৫. নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
৬. জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
৭. ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।

৮. কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
৯. সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
১০. পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
১১. দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।

১২. ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
১৩. মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
১৪. রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
১৫. মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।

আর যদি রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে স্বামী-স্ত্রী সহবাস অথবা পানাহার করে তবে কাজা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। কাফফারার মাসআলা অভিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের থেকে জেনে নেবে।


রমজানে যে আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ

সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন এবং কুরআন নাজিলের মাস রমজান। মুমিন বান্দা সিয়াম সাধনায় দিনের বেলায় পানাহার ও নিষিদ্ধ কাজ-কর্ম থেকে বিরত থাকে। উদ্দেশ্য একটাই- আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। সুতরাং সারাদিন শুধুমাত্র উপবাস থাকলেই হবে না বরং রোজায় সফলতা লাভে বিশেষ কিছু আমলে মনোযোগী হওয়া জরুরি। যা বাস্তবায়ন বান্দার রোজা পালন স্বার্থক হবে। সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো-১. রমজানে অনেক রোজাদার নিজের আমলের প্রচার করে থাকেন। যা ঠিক নয়। এসব প্রচারণা অনেক সময় অহংকার ও গর্ববোধের জন্ম দেয়। এমনকি কোনো কোনো সময় নিজের আমলকে নষ্ট করে দেয়। সুতরাং আমল-ইবাদাতের ক্ষেত্রে আল্লাহর ভয় কামনা এবং নিজের আমলের শুকরগোজারী করা জরুরি।২. রমজানে মাসে ইফতারের সময় আজানের উত্তর দেয়া ‍গুরুত্বপূর্ণ আমল। যেহেতু সৎকর্মশীল বান্দাগণ অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজানে নেক আমলের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করে থাকে। তাই ইফতার পরবর্তী সময়ে আজানের উত্তর দেয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া একান্ত কর্তব্য।৩. তারাবিহ নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। তারাবিহ মানেই হচ্ছে ধীরস্থিরভাবে নামাজ আদায় করা। সুতরাং তারাবিহ নামাজের রুকু, সিজদা, তাশাহহুদসহ নামাজের অন্যান্য আমলে তাড়াহুড়ো করা।৪. অনেকেই খতম তারাবিতে দীর্ঘ সময় নামাজে না দাঁড়িয়ে রুকুর অপেক্ষায় বসে থাকে। যখনই ইমাম রুকুতে যায়, তখনই তাড়াহুড়ো করে রুকুতে শরিক হয়। এটা তাকওয়াবিরোধী। সুতরাং খতম তারাবিতে তিলাওয়াত শ্রবণও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। যা পরিহার করা উচিত নয়।৫. আমাদের সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত ইবাদাত হলো  ই’তিকাফ। গ্রামের মসজিদগুলোতে ইফতার-সেহরি খাওয়ানোর শর্তে লোকদেরকে ই’তিকাফে বসানো হয়। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমৃত্যু প্রতিবছর রমজানের শেষ দশকে ই’তিকাফে বসতেন। শবে কদরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত রমজানের শেষ দশকে নিহিত রয়েছে। যার অন্বেষন করা একান্ত জরুরি।৬. গরীব অসহায়দের মাঝে ফিতরা বিতরণ করা রমজানের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। বিশ্বনবি রমজানের শেষদিকে অসহায়দের মাঝে ফিতরা দানের নির্দেশ করেছেন। যাতে ঈদের আনন্দে গরীব-দুঃখীর মুখে হাসি ফুটে। কেননা এ ফিতরার ফলে রোজায় মানুষের অনর্থক কথা ও কাজের ভুল-ত্রুটির কাফফারা হয়ে যায়। সুতরাং ফিতরা আদায়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের রোজা ও ইবাদত-বন্দেগিকে সফল ও স্বার্থক করতে উপরোক্ত কাজগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হাত কেটে রক্ত বের করে না থাকেন তাহলে রোজা ভাঙবে না। আর রমজানে এসব আমল করতে পারেনঃ নামাজ আদায় তাহাজ্জুদের : রমজানে কিয়ামুল লাইল করার কথা আছে। কিয়ামুল লাইল শব্দের অর্থ রাতের নামাজ। তারাবির নামাজ যেমন কিয়ামুল লাইলের মধ্যে পড়ে, তেমনি শেষ রাতে তাহাজ্জুদও সালাতুল লাইলের অন্তর্ভুক্ত। কোরআন খতম ও তিলাওয়াত : রমজানে যেহেতু প্রতিটি ইবাদতের সাওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাই এ মাসে যথাসাধ্য বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। মহানবী (সা.) বলেছেন : ‘রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে...। ’ (আহমাদ : হাদিস ৬৬২৬) সদকা বা দান : প্রখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন, ‘মহানবী (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। আর রমজানে তাঁর বদান্যতা আরো বেড়ে যেত। ’ (মুসলিম : হাদিস ৩২০৮) ইতিকাফ : হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : ‘মহানবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। ’ (মুসলিম : হাদিস ১১৭১) রোজাদারদের ইফতার করানো : রোজাদারকে ইফতার করালে রোজাদারের মতো রোজার সাওয়াব পাওয়া যায়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজা পালনকারীকে (রোজাদারকে) ইফতার করাবে, সে রোজা পালনকারীর অনুরূপ সাওয়াব লাভ করবে। এতে রোজা পালনকারীর সাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না। ’ (আহমাদ : হাদিস ২২৩০২) তাওবা ও ইস্তেগফার করা : সর্বদা তাওবা করা ওয়াজিব, বিশেষ করে এ মাসে তো বটেই। এ মাসে তাওবার অনুকূল অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ ক্ষমা করাতে পারেনি, তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক। ’ (জামেউল উসুল : হাদিস ১৪১০) অধিক হারে নেক আমল করা : রমজান মাসে অধিক হারে নেক আমল করতে চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য একান্ত আবশ্যক, বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন রমজানের শেষ দশক এসে যেত, রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন রাত্রি জাগরণ করতেন, পরিবারবর্গকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দিতেন, লুঙ্গি শক্ত ও ভালো করে বেঁধে (প্রস্তুতি গ্রহণ) নিতেন। ’ (মুসলিম : হাদিস ১১৭৪) বেশি বেশি জিকির করা : আল্লাহ তাআলার জিকির এমন এক মজবুত রজ্জু, যা সৃষ্টিকে স্রষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে। তাঁর সান্নিধ্য লাভের পথ সুগম করে। মানুষকে উত্তম আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত করে। সরল ও সঠিক পথের ওপর অবিচল রাখে। এ কারণে আল্লাহ তাআলা মুসলিম ব্যক্তিকে দিবা-রাত্রি গোপনে- প্রকাশ্যে জিকির করার আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো এবং সকাল-বিকেল আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করো। (সুরা আহজাব, আয়াত : ৪১-৪২) একে অন্যকে কোরআন শোনানো : রমজান মাসে একজন অপরজনকে কোরআন শোনানো একটি উত্তম আমল। এটিকে দাওর বলা হয়। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, জিবরাইল (আ.) রমজানে প্রতিরাতে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন আর রাসুল (সা.) তাঁকে কোরআন শোনাতেন। (বুখারি : হাদিস ১৯০২) রোজা রাখা : ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি হলো রোজা। আর রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে রোজা পালন করে। ’ (সুরা বাকারা : আয়াত : ১৮৫) সাহরি খাওয়া : হাদিসে এসেছে, ‘সাহরি হলো বরকতময় খাবার। তাই কখনো সাহরি খাওয়া বাদ দিয়ো না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরি খেয়ে নাও। কেননা সাহরির খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তাআলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন। ’ (মুসনাদে আহমাদ : হাদিস ১১১০১) ইফতার করা : সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা বিরাট ফজিলতপূর্ণ আমল। এতে কোনো বিলম্ব না করা। কেননা হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রোজা পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কেননা পানি হলো বেশি পবিত্র। ’ (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ২৩৫৭) তারাবি পড়া : সালাতুত তারাবি পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। তারাবি পড়ার সময় তার হক আদায় করতে হবে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমজানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। ’ (বুখারি : হাদিস ২০০৯) কল্যাণকর কাজ বেশি বেশি করা : এ মাসে একটি ভালো কাজ অন্য মাসের চেয়ে অনেক বেশি উত্তম। সে জন্য যথাসম্ভব বেশি বেশি ভালো কাজ করতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন : ‘এ মাসের প্রতিরাতে একজন ঘোষণাকারী এই বলে আহ্বান করতে থাকে যে হে কল্যাণের অনুসন্ধানকারী, তুমি আরো অগ্রসর হও! হে অসৎ কাজের পথিক, তোমরা অন্যায় পথে চলা বন্ধ করো। (তুমি কি জানো?) এ মাসের প্রতিরাতে আল্লাহ তাআলা কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। ’ (তিরমিজি, হাদিস ৬৮৪) লাইলাতুল কদর তালাশ করা : রমজান মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল কোরআনের ঘোষণা, ‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ’ (সুরা কদর, আয়াত ৪) রাসুল (সা.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব পাওয়ার আশায় ইবাদত করবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। ’ (বুখারি : হাদিস ৩৫) তাকওয়া অর্জন করা : তাকওয়া এমন একটি গুণ, যা বান্দাকে আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং তাঁর আদেশ মানতে বাধ্য করে। আর রমজান মাস তাকওয়া নামক গুণটি অর্জন করার এক বিশেষ মৌসুম। কোরআনে এসেছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে করে তোমরা এর মাধ্যমে তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৩) ফিতরা দেওয়া : এ মাসে রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে ফিতরা দেওয়া আবশ্যক। ইবনে ওমর (রা.) বলেন : মহানবী (সা.) ঈদের সালাত আদায়ের আগে ফিতরাহ আদায় করার আদেশ দিয়েছেন। (বুখারি : হাদিস ১৫০৩)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ