আমার নানুর মায়ের চাচাতো ভাইয়ের নাতনীর সাথে আমার বিয়ে জায়েজ হবে কিনা? যিনি সহিহ ভাবে উত্তর দিতে পারবেন শুধু তিনি উত্তর দিবেন । রেফারেন্স দিবেন যদি সম্ভব হয়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাগন,কন্যাগন,ভগ্নিগন ফুফুগন,খালাগন,ভাইয়ের কন্যাগন,ওভগ্নির কন্যাগন এবং তোমাদের সেই মাতৃগন যারা তোমাদের দুগ্ধ পান করিয়েছেন ও তোমাদের দুগ্ধ পান সম্পর্বিয় ভগ্নিগন এবং তোমাদের স্ত্রীগনের মাতৃগন(শাশুড়ী) তোমাদের  স্ত্রীগনের কন্যাগন যারা তোমার প্রতিপালনে রয়েছে এরুপ স্ত্রীগন থেকে যাদের সাথে তোমরা সহবাস করেছো, আর যদি সহবাস না করো তাহলে কোনো গুনা নেই। তোমাদের উপরে হারাম করা হয়েছে ঔরসজাত পুত্রগনের স্ত্রী( ছেলের বউ)এবং দুই ভগ্নিকে একত্রে বিবাহ করা হরাম। (সূরা নিসা), আয়াত ২৩ উপরোক্ত মহিলারা ব্যতিত অন্য মহিলাদের বিবাহ করা জায়েয আছে।আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়েছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

আপনার নানুর মায়ের চাচাতো ভাইয়ের নাতনিকে বিবাহ করা ইসলামী শরীয়ত সম্মত এবং এতে শরীয়তের নিষেধাজ্ঞার কোন বিষয় নেই।


ইসলামী শরীয়তের আলোকে ১৪ ক্যাটাগরির মহিলাদের বিয়ে করা হারাম। আর এই ১৪ জন বা ক্যাটাগরির মহিলা ব্যতীত সকলকে বিয়ে করা ইসলামী শরীয়ত সম্মত। তবে একসাথে ৪ এর বেশি না।




যে সকল মহিলাদের বিয়ে করা হরাম দেখা করা জায়েজ: 




  1. আপন মা>নানী>দাদী>... 
  2. নিজের মেয়ে>মেয়ের মেয়ে/ছেলের মেয়ে (নাতনী)
  3. আপন বোন 
  4. আপন চাচী/ফুফু 
  5. আপন খালা 
  6. আপন ভাইয়ের কন্যা (ভাতিজী) 
  7. আপন বোনের কন্যা (ভাগনী) 
  8. দুগ্ধ সম্পর্কের মা (দুধ মা) 
  9. দুগ্ধ সম্পর্কের বোন (দুধ বোন) 
  10. স্ত্রীদের মা (শাশুড়ি) 
  11. স্ত্রীদের যদি পূর্ববর্তী/পরবর্তী স্বামীর কন্যা থাকে। 
  12. স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের পূর্বেই যদি ত্বালাক হয়ে যায় তবে, তাদের পূর্ববর্তী কন্যা বিবাহ করা জায়েজ। 
  13. ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রী /পুত্রবধূ 
  14. একসাথে দুই বোনকে বিয়ে করা।(তবে আগে/পরে হলে জায়েজ) 



৪: আন-নিসা:আয়াত: ২৩ 

حُرِّمَتْ عَلَیْكُمْ اُمَّهٰتُكُمْ وَ بَنٰتُكُمْ وَ اَخَوٰتُكُمْ وَ عَمّٰتُكُمْ وَ خٰلٰتُكُمْ وَ بَنٰتُ الْاَخِ وَ بَنٰتُ الْاُخْتِ وَ اُمَّهٰتُكُمُ الّٰتِیْۤ اَرْضَعْنَكُمْ وَ اَخَوٰتُكُمْ مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَ اُمَّهٰتُ نِسَآئِكُمْ وَ رَبَآئِبُكُمُ الّٰتِیْ فِیْ حُجُوْرِكُمْ مِّنْ نِّسَآئِكُمُ الّٰتِیْ دَخَلْتُمْ بِهِنَّ١٘ فَاِنْ لَّمْ تَكُوْنُوْا دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیْكُمْ١٘ وَ حَلَآئِلُ اَبْنَآئِكُمُ الَّذِیْنَ مِنْ اَصْلَابِكُمْ١ۙ وَ اَنْ تَجْمَعُوْا بَیْنَ الْاُخْتَیْنِ اِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِیْمًاۙ


হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, কন্যা, বোন, ফুফু, খালা, ভাতিজি, ভাগিনী ও তোমাদের সেই সমস্ত মাকে যারা তোমাদেরকে দুধ পান করিয়েছে এবং তোমাদের দুধ বোন তোমাদের স্ত্রীদের মা ও তোমাদের স্ত্রীদের মেয়েদেরকে যারা তোমাদের কোলে মানুষ হয়েছে, -সেই সমস্ত স্ত্রীদের মেয়েদেরকে যাদের সাথে তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অন্যথায় যদি (শুধুমাত্র বিয়ে হয় এবং) স্বামী -স্ত্রীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে (তাদেরকে বাদ দিয়ে তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে করলে) তোমাদের কোন জবাবদিহি করতে হবে না,-এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকেও। আর দুই বোনকে একসাথে বিয়ে করাও তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। তবে যা প্রথমে হয়ে গেছে তা হয়ে গেছে। আল্লাহ‌ ক্ষমাশীল ও করুণাময়



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ