শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বাদশাহ ফয়সাল ১৯৭৫  সালের ২৫শে মার্চ ইন্তেকাল করেন।

ইন্তেকালের ধরণঃ ১৯৭৫ সালের ২৫ মার্চ বাদশাহ ফয়সালের উপর তার সৎ ভাইয়ের ছেলে ফয়সাল বিন মুসাইদ গুলি চালায়। হামলাকারী এর অল্পকাল আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরে। মজলিসে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শাসকের সাথে নাগরিকদের সাক্ষাত ও আবেদন জানানোর সুযোগ থাকে। ওয়েটিং রুমে ফয়সাল কুয়েতি প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলছিলেন। তারাও ফয়সালের সাথে দেখা করার অপেক্ষায় ছিল।

এ সময় হামলাকারী তার দিকে এগিয়ে এসে গুলি চালায়। প্রথম গুলি তার চিবুকে লাগে ও দ্বিতীয় গুলি তার কান ঘেষে চলে যায়। একজন রক্ষী তার খাপবদ্ধ তলোয়ার দিয়ে হামলাকারীকে আঘাত করে। হামলাকারীকে হত্যা না করার জন্য তেলমন্ত্রী আহমেদ জাকি ইয়েমেনি বারবার চিৎকার করতে থাকেন।

বাদশাহ ফয়সালকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময় তিনি বেঁচে ছিলেন। হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হলেও তা ব্যর্থ হয় এবং ফয়সাল অল্পসময় পর মারা যান। হামলার আগে ও পরে হামলাকারী শান্ত ছিল বলে জানা যায়। হত্যার পর তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়।

ভাই খালিদ বিন মুসাইদের হত্যার বদলা নেয়ার জন্য ফয়সাল বিন মুসাইদ এই কাজ করেছেন বলে একটি মত রয়েছে। বাদশাহ ফয়সাল দেশে আধুনিক সংস্কার করছিলেন। এসবের ফলে অনেকেই তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। প্রিন্স খালিদ বিন মুসাইদ তাদের অন্যতম। টেলিভিশন ভবনে হামলা করার সময় নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে তিনি মারা যান।

প্রিন্স ফয়সাল বিন মুসাইদকে হামলার পরপর গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে মস্তিস্কবিকৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে বিচারে সৌদি চিকিৎসকদের একটি প্যানেল তাকে সুস্থ ঘোষণা করে। বিচারে তার মৃত্যুদন্ড হয় এবং রাজধানী রিয়াদে প্রকাশ্যে তার শিরশ্ছেদ করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৮ জুন এই দন্ড কার্যকর করা হয়। এসময় হাজারের বেশি জনতা উপস্থিত ছিল।

মৃত্যুর পরের দিন ২৬শে মার্চ সৌদি বাদশাহ ফয়সালের লাশ রিয়াদের আল আউদ নামক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় তার উত্তরসূরি ও ভাই খালিদ বিন আবদুল আজিজ কেঁদে ফেলেছিলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ