যথাযথ ব্যাখ্যা অথবা রেফারেন্স সহ উত্তর চাই।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

ইসলামী পরিভাষায় সাবান মাসের

মধ্যরজনি বা ১৫ তারিখের

রাতকে বলা হয় ‘শবে বরাত’

বা ‘লাইলাতুল মুবারক’ অর্থাৎ বরকতময়

রাত্রি।

তাহলে একটা ক্লু পাওয়া গেল বরাত

বা বরকতময় রাত্রি অবশ্যই আছে।

আমাদের জানতে হবে এই বরকতময়

রাত্রি কোনটি? শবে বরাত

নাকি অন্য কিছু?

আমাদের আজকের

উত্তরদাতা হলো আল কুরআন। কুরআন

আগেই বলছে ‘যালিকাল কিতাব্য

লা রইবা ফিহ…’(সুরা বাকারাহ ২),

অর্থ ‘এটি হলো সেই কিতাব

যাতে কোন সন্দেহ নেই’।

‘এটি হলো সুস্পষ্ট

বর্ননাকারি কিতাব’ (সুরা দুখান ০২)।

সুতরাং কুরআনে গোঁজামিল নেই।

যা আছে সব সরাসরি আছে।

সুতরাং কুরআনকে জিজ্ঞেস

করা হলো ‘হে সুস্পষ্ট

বর্ননাকারি কিতাব, বলো বরকতময়

রাত্রির আলাদা বিশিষ্ট কি?’

কুরআন তার বুক

চিরে দেখিয়ে দিলো, ‘

আমি(আল্লাহ্) এক বরকতময়

রাত্রিতে এটি (কুরআন) নাজিল

করেছি, আমি তোমাদের সতর্ক

করতে চেয়েছিলাম…’। (সুরা দুখান,

০৩)।

আমাদের সমাজের আলেম ওলামাগণ

শবে বরাতে পক্ষে ওয়াজ করার সময়

প্রথমেই এই আয়াতের শেষ অংশ পাঠ

করে বলে ‘এই দেখুন শবে বরাত

বা বরকতময় রাতের

কথা কুরআনে আছে’।

কি সুন্দর ভণ্ডামি!! কুরআনের

আয়াতকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বাঁকা কর

অর্ধেকটা শুনিয়ে দেয় আর

সাথে সাথে মুসল্লিরা বলে ওঠে ‘স

অথচ তারা পুরোটা পড়ে শোনায়

না বা মুসল্লিরা অর্থ বোঝেনা।

এখানে উল্লেখ

করা আছে ‘ইন্না আংজালনা হুম’ যার

অর্থ ‘নিশ্চয় আমি ইহা নাজিল

করেছি’।

কবে নাজিল করেছেন আল্লাহ্?

পরেই আবার সুন্দর করে বলা আছে ‘হুম

লাইলাতুল মুবারকা’ অর্থ ‘বরকতময়

রাত্রিতে’।

তাহলে উপরের

আয়াতে আমরা নিশ্চিত যে বরকতময়

রাতেই কুরআন নাজিল হয়েছে। এখন

আবার প্রশ্ন করলাম ‘হে সন্দেহাতীত

সত্য কিতাব, বলো কুরআন নাজিলের

মাস কোনটা?’

আবারও কুরআন দেখিয়ে দিলো,

‘রমযানের মাস, এ মাসেই কুরআন

নাযিল

করা হয়েছে।’ (সুরা বাকারাহ, ১৮৫)।

সুতরাং বরতময় রাত্রিটি অবশ্যই

রমজান মাসে (যদি আপনি কুরআন

বিশ্বাস করেন তবে এটাও মানবেন)।

অথচ তথাকথিত বরকতময় রাত

বা শবে বরাত হলো সাবান মাসের

১৫ তারিখ! তাহলে এটা সেই বরকতময়

রাত নয় যার

কথা কুরআনে বলা হয়েছে।

তাহলে বরকতময় রাত্রি কোথায়?

এবার প্রশ্ন করার আগেই কুরআন

নিজে থেকেই

বলছে ‘ইন্না আংজালনা হুফি লাইলা

কদর’ অর্থ ‘নিশ্চয় আমি ইহা নাজিল

করেছি লাইলাতুল কদর বা কদরের

রাত্রিতে’। (সুরা কদর, ০১)।

সুতরাং কুরআন সমীকরণে,

কুরআন নাজিল হয়েছে বরকতময়

রাত্রিতে…[সুরা দুখান ৩]……[১]

কুরআন নাজিল হয়েছে লাইলাতুল

কদরে…[সুরা কদর ০১]……[২]

সুতরাং ১ ও ২ হতে পাই, লাইলাতুল

কদরই হলো একমাত্র ও কেবল একমাত্র

বরকতময় রাত্রি। এছাড়া আর কোন

শবে বরাত ফরাত নাই। যেহুতু কুরআন

বলছে নাই সুতরাং সহিহ হাদিসেও

নাই কারন সহিহ হাদিস কুরআনের

বিপক্ষে যায়না।

যারা বাপদাদার দেখানো পথের

পূজা করেনা, যারা আল্লাহকে ভয়

করে কুরআনের কাছে মাথা নত

করে দেয় সেইসব মুমিনদের জন্য এটুকু

দৃষ্টান্তই যথেষ্ট

যে ইসলামে আলাদা কোন

শবে বরাতের স্থান নেই।

এক্ষেত্রে আর কোন

যুক্তি দিতে হবে বলে মনে করিনা।

অবশ্য

যারা সত্যটা মানতে দ্বিধা করে ত

নয়। তারা হিন্দু পরিবারে জন্ম

নিলে কট্টোর হিন্দুই হতো,

তারা সত্যটা খুঁজেও দেখেনা। কুরআন

কোথাও

বলেনি ‘আমাকে না যাচাই করেই

বিশ্বাস করো’ বরং বারবার

বলেছে ‘যাচাই করো, চিন্তা করো,

উপলব্ধি করো, প্রচার করো।’ আল্লাহ্

যুক্তি দিয়ে কথা বলতে বলেছে (সুর

১৮) তাই যুক্তি দিয়েই প্রমান করা হল

যে শবে বরাত একটি বিদআত

এবং কুফরি। কারন আল্লাহ্

যেখানে বলছে রমজান মাসে কুরআন

নাজিল করেছেন এবং সেটাই

বরকতময় রাত সেখানে নিজেদের

তৈরি বানোয়াট রাতকে বরকতময়

রাত ঘোষনা করাটা আল্লাহ্র

সাথে মশকরা করা ছাড়া আর কিছুই

নয়। আর আল্লাহ্র বাণীকে অস্বীকার

করাই

কুফরি এবং সে সঙ্গে সঙ্গে কাফির

হয়ে যায়। আল্লাহ্ আমাদের

রক্ষা করুন।

এবার আসুন দেখি আমাদের

সমাজে প্রচলিত শবে বরাত মানক

বিদআতটির ভণ্ডামি।

ভণ্ডদের ফতোয়ামতে শবে বরাত

একটি পুন্যের রাত বা বরকতময় রাত।

অনেক ওলামায়ে কেরামগন বিশ্বাস

করেন যে, এই রাত্রিতে মানুষের

ভাগ্য লিখা বা বন্টন করা হয়। অথচ

আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করছেন ‘এটা ছিল

সেই রাত যে রাতে আমার

নির্দেশে প্রতিটি বিষয়ে বিজ্ঞো

ফায়সালা দেয়া হয়ে থাকে৷’ (সুরা দু

০৪)। সুতরাং ভাগ্য বন্টন করা হয় কেবল

লাইলাতুল কদরেই, শবে বরাতে নয়।

তাই এইধরনের আকিদাহ

তে বিশ্বাসীরা কাফির

হয়ে যাবে।

এ রাতে মানুষ আল্লাহকে খুশি করার

জন্য সারারাত নফল নামাজ আদায়

করে। হাজার রাকাতের নামাজ

খ্যাত সালাতুল মুবারক আদায় করে,

অথচ এই সালাতের কোন দলিল নেই

এটা ভুয়া এবং বিদআত। কোন সহিহ

হাদিসে এটা নেই।

বিতর নামাজের আগে এগুলো আদায়

করে এরপর একটি বিদআতি মিলাদ ও

সম্মিলিত মুনাজাত করা হয়। অনেক

অঞ্চলে শিন্নি, মিষ্টি, জিলিপি ও

বিরিয়ানি বন্টন করা হয়।

আসলে ভাগ্য বন্টনের

নামে বিরিয়ানি বণ্টন চলছে।

অনেক

অঞ্চলে বিধবা মেয়েরা বিশ্বাস

করে এ রাতে তাদের স্বামীর রুহু

ঘরে ফিরে আসে। পীরেরা তাদের

মুরিদদের বিধবা স্ত্রীদের ভোগ

করার জন্য বলে ‘আমার উপর তোমার

স্বামীর রুহু

এসেছে সুতরাং তাকে বাঁধা দিওন

এভাবে শবে বরাতে পীরেরা ফ্রি স

করতে পারে।

আবার অনেক

অঞ্চলে দোয়া পড়িয়ে লাখ লাখ

টাকা আয় করে এইসব ভণ্ড হুজুরেরা।

কিন্তু ইসলামে টাকার

বিনিময়ে কুরআন পাঠ এবং তাফসীর

দেওয়া হারাম। এরা জান্নাত

তো দুরের কথা জান্নাতের খুশবুও

পাবেনা।

এবার আসুন রুটি ও হালুয়ার

ভণ্ডামি পেশ করি।

শবে বরাতে বাড়িতে বাড়িতে হা

রুটি তৈরি করে খাওয়া হয়। কারন

জানতে চাইলে তারা বলে ‘উহুদের

যুদ্ধে রাসুল সাঃ এর দাঁত শহিদ

হওয়াতে তিনি শক্ত গোসত

রুটি খেতে পারেন নি তাই

হালুয়া রুটি খেয়েছিলেন।’

বাহবা কত সুন্দর ভণ্ডামি। কিন্তু

শয়তানের বুদ্ধি মুমিনের চেয়ে উত্তম

নয়। উহুদের যুদ্ধ হয়েছিল কবে?

উহুদের যুদ্ধ হয়েছিল শাউয়াল মাসের

১১ তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১১

টায়। আর শবে বরাত পালিত হয়

শাবান মাসের ১৫ তারিখ। কত সুন্দর

যুক্তি বিদআতের! শাউয়াল

মাসে দাঁত শহিদ হয়ে রাসুল

সাঃ রুটি খেয়েছিলান শাবান

মাসে??এটা কি মেনে নেওয়ার মত কোন যুক্তি?রুটি হালুয়া আরেকটি বিদআত।হ্যাঁ আপনি খাওয়ার জন্য তৈরি করুন,প্রতিবেশীদের বণ্টন করুন, গরীব দুঃখীদের বণ্টন করুন এতে সওয়াব আছে কিন্তু শবে বরাতের উদ্দেশে তা পালিন

করে হালুয়া রুটি খাওয়া সম্পুর্ন বিদআত ও কুফরি।

তাই সাবধান! মুসলিম ভাইয়েরা,জেনে শুনে কুরআন ও হাদিস

বিরোধি বিদাতে লিপ্তি হবেন

না। শবে বরাত কোন ইসলামিক রাত না, এটি আর দশটা সাধারণ রাতের মতই। আর এই রাতের জন্য আলাদা কোন নামাজ নেই, পীরের বাচ্চারা এই নামাজেও বিদআত এনেছে। খবরদার তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে নিজের ঈমান নষ্ট করবেন না।

সুত্র:এখানে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Rubidium

Call

শবে বরাত পালন বিদআত নয়।তবে এই উপলক্ষ্যে আলোকসজ্জা করা রুটি হালুয়া করা মিলাদ মাহফিল করা এসব করা যাবেনা।আপনি নফল ইবাদত ও কোরআন তিলাওয়াত করবেন।হযরত সায়্যিদুনা আলীয়্যুন মুরতাদ্বা রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্নিত, নবী করিম রঊফুর রহিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহান বানী, যখন শাবানের ১৫তম রাতের আগমন ঘটে তখন তাতে কিয়াম (ইবাদত) করো আর দিনে রোযা রাখো । নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা সূর্যাস্তের পর থেকে প্রথম আসমানে বিশেষ তাজাল্লী বর্ষন করেন, এবং ইরশাদ করেনঃ কেউ আছ কি আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কারী? তাকে আমি ক্ষমা করে দিব ! কেউ আছ কি জীবিকা প্রার্থনাকারী? তাকে আমি জীবিকা দান করব ! কেউ কি আছ মুসিবতগ্রস্ত? তাকে আমি মুক্ত প্রদান করব! কেউ এমন আছ কি! কেউ এমন আছ কি! এভাবে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ পাক তার বান্দাদেরকে ডাকতে থাকবেন 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

শবে বরাত বিদআত নয়। তবে দিনটি উপলক্ষে কিছু কুসংস্কার ও বিদআত চালু আছে। তম্মধ্যে অন্যতম বিদআত হল হালুয়া-রুটি তৈরী করার এক মহা ধুমধাম। যা নিঃসন্দেহে একটি কুসংস্কার ও বিদআত। তাই, এটি বর্জন করা উচিৎ। সেই সাথে বিভিন্ন কবরস্থানে বা মসজিদে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করাও অপচয়ের গুনাহসহ মস্তবড় একটি বিদআত। এ রাতে বিশেষ ভাবে কবর যিয়ারত করা। রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ী, মসজিদ-মাদরাসা ইত্যাদি আলোক সজ্জা করা। এ রাতে মৃতদের আত্মা দুনিয়াতে পূণরাগমনের বিশ্বাস করা ( আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ﻭَ ﻣِﻦْ ﻭَﺭَﺍﺋِﻬِﻢْ ﺑَﺮْﺯَﺥٌ ﺇِﻟَﻰ ﻳَﻮْﻡٍ ﻳُﺒْﻌَﺜُﻮْﻥَ “ওদের (মৃতদের) পিছনে রয়েছে অন্তরায়, তারা সেখানে কিয়ামত দিবস অবদি অবস্থান করবে। (সূরা মুমেনূনঃ ১০০)। এরাত্রে মানুষের ভাগ্য লিখা হয় বলে ধারণাঃ তাদের এধারণাটিও ঠিক নয়। এ কথার পিছনে কুরআন হাদীছের কোন দলীল নেই। সহীহ হাদীছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ ﺍﻟْﺨَﻠَﺎﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ “আসমান-জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ তায়ালা স্বীয় মাখলুকের তাকদীর লিখে রেখেছেন। (সহীহ মুসলিম) এ রাতে কি কি ইবাদত পালন বাধ্যতামূলক তার কোন দলিল নেই, এটি বিদআত। এ রাতে নিজ ইচ্ছায় যেকোন ইবাদত করা যাবে। সারারাত্রি জাগরণ করে ইবাদত-বন্দেগীর চাইতে শুধু মসজিদে-মসজিদে ঘোরাঘুরি করা আর রাস্তায়-রাস্তায় গল্প-গুজবে মশগুল থাকা এই রাত্রির মর্যাদা পরিপন্থি কাজ। বরং, এই রাত্রিতে মসজিদে সমবেত না হয়ে বাড়িতে একাকী ইবাদত করাই উত্তম। মসজিদে তো দৈনিক পাঁচবার নামাযের ইবাদত হচ্ছেই। নিজেদের বাসা-বাড়িকেও ইবাদতের গৃহ হিসেবে গড়ে তোলা উচিত। তাছাড়াও সকল নফল ইবাদত মসজিদের চাইতে বাড়িতে পালন করাই উত্তম। সারারাত নফল ইবাদত পালন করে যদি ফজরের নামায কাযা হয়ে যায়, এর চাইতে দূর্ভাগ্য আর কি হতে পারে? যদি কারো জীবনে কাযা নামায থেকে থাকে, তাহলে নফল নামায পড়ার চাইতে বিগত জীবনের কাযা নামায আদায় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ এবং জরুরী। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন--"অর্ধ শাবানের রাতে [শবে বরাতে] আল্লাহ তাআলা তাঁর সমস্ত মাখলুকের প্রতি মনযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন।" (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬৬৫, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭৫৪, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদীস নং-১৭০২) তবে আল-কুরআনের কোথাও এর কোন উল্লেখ নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

#শবেবরাত_সহীহ_হাদীস_দ্বারা প্রমাণিত

#মুফতি_আব্দুল_মালেক_সাহেব।


শবেবরাত এবং এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা নির্ভরযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তাই রাসুল সা. ও সাহাবা-তাবেয়ীনের যুগ থেকে অদ্যবধি এ রাতে বিশেষভাবে নফল ইবাদত ধারাবাহিকতার সাথে চলে আসছে।

ইদানিং এক শ্রেণির লোক বাংলায় হাদীস পড়া ছাড়া যাদের কুরআন-হাদীসের আবশ্যিক কোনো জ্ঞান নেই। তারা নিজেদের অতিগবেষণার মাধ্যমে ইসলামের সুপ্রমাণিত বিষয়গুলোকে জনসাধারণের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।

তারা বলছে শবে বরাতের হাদীসগুলো সহীহ নয়, এ রাতে ইবাদত করা বিদআত, ইত্যাদি।

অথচ শবেবরাত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হওয়ার পরও বিদআত বলাটা হাদীস সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক। আর জেনে এমনটি বলে থাকলে রাসূল সাঃ এর হাদীস অস্বিকারের মতো মারাত্মক অপরাধে অপরাধী সে ব্যক্তি। রাসূল সাঃ এর হাদীসের প্রতি বিদ্বেষী হওয়া ছাড়া হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এ ফযীলতপূর্ণ রাতকে কেউ অস্বিকার করতে পারে না।


নিম্নে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করা হল-


عن علي بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا نهارها . فإن الله ينزل فيها لغروب الشمس إلى سماء الدنيا . فيقول ألا من مستغفر لي فأغفر له ألا من مسترزق فأرزقه ألا مبتلى فأعافيه ألا كذا ألا كذا حتى يطلع الفجر )

হযরত আলী বিন আবু তালীব রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন শাবান মাসের অর্ধেকের রজনী আসে [শবে বরাত] তখন তোমরা রাতে নামায পড়, আর দিনের বেলা রোযা রাখ। নিশ্চয় আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডুবার সাথে সাথে পৃথিবীর আসমানে এসে বলেন-কোন গোনাহ ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি আমার কাছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোন রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দিব। কোন বিপদগ্রস্থ মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফযর পর্যন্ত। {সূনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৮৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৮২২, }


عن عائشة : قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله ؟ قلت يا رسول الله إني ظننت أنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله عز و جل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا فيفغر لأكثر من عدد شعر غنم كلب

অনুবাদ-হযরত আয়শা রাঃ বলেন-এক রাতে রাসূল সাঃ কে না পেয়ে খুজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে [মদীনারত কবরস্থান] গিয়ে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন-কি ব্যাপার আয়শা? [তুমি যে তালাশে বের হলে?] তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর কোন অবিচার করবেন? [তোমার পাওনা রাতে অন্য কোন বিবির ঘরে গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন?] হযরত আয়শা রাঃ বললেন- আমার ধারণা হয়েছিল আপনি অন্য কোন বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসূল সাঃ তখন বললেন-যখন শাবান মাসের ১৫ই রাত আসে অর্থাৎ যখন শবে বরাত হয়, তখন আল্লাহ পাক এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়ে বেশী সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৭৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬০২৮, মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-১৫০৯}


عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن

অনুবাদ-হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-অর্ধ শাবানের রাতে [শবে বরাতে]আল্লাহ তাআলা তাঁর সমস্ত মাখলুকের প্রতি মনযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬৬৫, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭৫৪, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদীস নং-১৭০২, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৭৭৬, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-২১৫, সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং-১৩৯০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২০৩, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২০৪}

বিষয়টি তাদের ঘরানা এককজন আলেমের বক্তব্য দিয়েি প্রমান করছি।

গায়রে মুকাল্লিদদের ইমাম শায়েখ আলবানী রহঃ তার সিলসিলাতুস সাহিহাহর ৩ নং খন্ডের ১৩৫ নং পৃষ্ঠায় বলেন। “এই হাদিসটি সহীহ” এটি সাহাবাদের এক জামাত বর্ণনা করেছেন বিভিন্ন সূত্রে যার একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে। তাদের মাঝে রয়েছেন # মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ # আবু সা’লাবা রাঃ # আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ # আবু মুসা আশয়ারী রাঃ # আবু হুরায়রা রাঃ # আবু বকর সিদ্দীক রাঃ # আউফ বিন মালিক রাঃ # আয়েশা রাঃ প্রমুখ সাহাবাগণ।


উপরে বর্ণিত সবক’টি বর্ণনাকারীর হাদিস তিনি তার কিতাবে আনার মাধ্যমে সুদীর্ঘ আলোচনার পর শেষে তিনি বলেন-


و جملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريب و الصحة تثبت بأقل منها

عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشأن في هذا الحديث

অর্থাৎ সারকথা হলো, এই যে, নিশ্চয় এই হাদিসটি এই সকল সূত্র পরম্পরা দ্বারা সহীহ, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর সহীহ হওয়া এর থেকে কম সংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায়, যতক্ষণ না মারাত্মক কোন দুর্বলতামুক্ত থাকে, যেমন এই হাদিসটি হয়েছে।


আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝা এবং আমল করার তাোফীক দান করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mr Rasel

Call

না, বিদায়াত না এসব কে বিদায়াত বলে কাফের রা চাপা দিতে চায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ