মনেকরুন, কেউ যদি আরবি অক্ষর ভুলে যায় এবং সে যদি কুরঅানের বাংলায় অনুবাদ পড়ে! তাহলে, সে কি আরবির সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বিত্র কোরআন হচ্ছে মুসলমানদের জীবনচলার সংবিধান। এর ওপরই ইসলামের ভিত্তি। কোরআনের আদেশ-নিষেধ মেনেই একজন মুমিনকে প্রতিটি মুহূর্ত কাটাতে হয়। কোরআন নিছক একটি গ্রন্থ নয়, এর মধ্যে নিহিত আছে বিশাল জ্ঞানভাণ্ডার, অগণিত নীতিমালা ও জীবন চলার অফুরন্ত পাথেয়।

যেহেতু এই কোরআন আরবি ভাষায় তাই বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য তার মর্মার্থ বোঝা জরুরি। এমনিতে কোরআন তেলাওয়াত করলে সওয়াব অবশ্যই হবে, কিন্তু তা বুঝে পড়লে সওয়াব আরও বেশি হবে। নামাজ পড়ার সময় আমরা দাঁড়িয়ে ইমামের তেলাওয়াত শুনি। যারা অর্থ জানি না তারা আল্লাহর মধুর এই বাণীকে পুরোপুরি হৃদয়াঙ্গম করতে পারি না। সাহাবায়ে কেরাম নামাজের মধ্যে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতেন তবুও তাদের মজা শেষ হতো না। এর অন্যতম কারণ হলো তারা কোরআন বুঝতেন। সাহাবায়ে কেরামের মতো নামাজে সেই মজা পেতে হলে আমাদেরও অবশ্যই কোরআন বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বারবার বলেছেন, ‘আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য। অতএব, কোনো চিন্তাশীল আছে কি?’ জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানদের কোরআনের ওপর ভাবনা-চিন্তা করার কথা বলা হয়েছে। যেহেতু কোরআন ভিন্ন ভাষায় অবতীর্ণ এ জন্য আমাদের সমাজে বেশিরভাগ মানুষই কোরআনের মর্মার্থ বোঝেন না। ফলে অগাধ জ্ঞানের ভাণ্ডার এই কোরআনের অনেক কিছু আমাদের কাছে অজানা থেকে যাচ্ছে।

যারা বুঝে কোরআন পড়েন আর যারা না বুঝে পড়েন নিশ্চয় উভয়ের মনোযোগ সমান হয় না। ওলামায়ে কেরাম যারা কোরআনের মর্মার্থ জানেন তারা তেলাওয়াতে বিশেষ মজা আস্বাদন করেন। কোরআন বোঝার জন্য আরবি ভাষা ও ব্যাকরণ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে। নিছক বাংলা অর্থ দেখে পড়লে কোরআনের অনেক মর্মার্থ বুঝে আসবে না। যারা কোরআনের মর্মার্থ জানেন তাদের উচিত অন্যদেরও তা শেখানোর ব্যবস্থা করা।

তবে অর্থ না বুঝে কোরআন পড়লে কোনো সওয়াব হবে না এই ধারণা পোষণ করা ঠিক নয়। কোরআন তেলাওয়াত স্বতন্ত্র ইবাদত। এর জন্য সওয়াব অবশ্যই পাওয়া যাবে। আর অর্থ বোঝার জন্য আলাদা সওয়াব

সংগৃহীতঃ ভোরের কাগজ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কুরঅান আরবিতে না পড়ে শুধু বাংলায় অনুবাদ পড়লে তাতে সমান সাওয়াব পাওয়া যাবে না। কেবলমাত্র কোন ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব তথা কুরআন মাজীদ এর একটি বর্ণ পাঠ করবে, তার একটি নেকী হবে। আর একটি নেকী দশটি নেকীর সমান হবে। আরবিতে কুরআনের একটি অক্ষর পাঠকারী ব্যক্তির সাওয়াব প্রসঙ্গেঃ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার কিতাবের একটি হরফ যে ব্যক্তি পাঠ করবে তার জন্য এর সাওয়াব আছে। আর সাওয়াব হয় তার দশ গুণ হিসেবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ। (সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯১০ হাদিসের মানঃ সহিহ) জনাব! কেউ যদি আরবি অক্ষর ভুলে যায় এবং সে যদি কুরঅানের বাংলায় অনুবাদ পড়ে! তাহলে, সে আরবির সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ