ফুলতলিরা যদি তারা সুন্নি হয়, তাহলে তারা ক্বিয়াম, জানাযা নামাযের পর দো'য়া,  ঈদে মিলাদুননবী (স) ইত্যাদি এসব করে কেন? আমার জানামতে সুন্নি তথা হানাফি, শাফেয়ী, মালেকি ও হাম্বলি মাযহাবে এসব নেই নাকি আদৌ আছে নাকি? তবে, আমি শিওর যে হানাফি মাযহাবে এমন নেই।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

উপরের সবগুলো জায়েজ কাজ। এসব বিষয়ে যারা নাজায়েজ বলে তাদের উচিত জায়েজ পক্ষের আলিমদের সাথে আলোচনায় বসা। অন্যথায় লোক বিভ্রান্ত হবে। আর জটিল কোন প্রশ্ন মুফতির কাছে গিয়ে করুন।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আরে ব্যাটা, উপরোক্ত কাজ যারা করে তারাই তো আসল সুন্নি। যারা করেনা তারা সুন্নি নামধারী শয়তান। অর্থ্যাৎ, তারা সুন্নির নাম ধরে মানুষের ঈমান নষ্ট করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে, হানাফী মাজহাবে জানাযা নামাজের পরে দোয়া করার বিষয়টি উল্লেখ নেই?

এটা আপনার ভুল ধারণা। সব মাজহাবেই এ আমলটি বিদ্যমান৷ কেননা, স্বয়ং রাসূল (সঃ) জানাযার পরে দোয়া করতে উৎসাহিত করেছেন।

“হযরত ওসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সঃ) মৃতের দাফন শেষ করে সেখানে দাঁড়িয়ে বলতেনঃ তোমাদের এই ভাইয়ের জন্য তোমরা দোয়া করো এবং সে যেন প্রতিষ্ঠিত থাকে সেজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর। কেননা তাকে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩২২১)

ক্বিয়াম যে সুন্নীয়তের মধ্যে নেই, এটাও আপনার ভুল ধারণা। ক্বিয়াম করা যায়েজ। কেননা, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন - “হে মুমিনগণ, তোমাদেরকে যখন বলা হয়, মজলিসে স্থান করে দাও, তখন তোমরা স্থান করে দেবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য স্থান করে দেবেন। আর যখন তোমাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা দাড়িয়ে যাও’, তখন তোমরা দাড়িয়ে যাবে। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত।” (সুরা মুজাদালাহ, আয়াত নং ১১)

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করাও জায়েয। “হযরত আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূল (সঃ)-এর দরবারে আরজ করা হলো তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কেন? উত্তরে নবীজি ইরশাদ করেন, এই দিনে আমি জন্মগ্রহন করেছি, এই দিনেই আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয়।” (বুলুগুল মারাম, হাদীস নং ৬৮০) তাহলে জন্মদিন উপলক্ষে স্বয়ং রাসূল (সঃ) নিজে রোজা রেখেছেন। এর থেকে কি প্রতীয়মান হয় না যে, রাসূলের জন্মদিন পালন করা জায়েয?

আরো মজার ব্যপার হলোঃ আবু লাহাব একজন কাফের হওয়ার পরও নবীজী (স)-এর জন্মের দিন খুশি হয়ে সে তার সংবাদ দাতা দাসী সুয়াইবাকে আযাদ করে দেওয়ার কারণে পরকালে কঠিন আযাবের ভিতরেও প্রতি সোমবার তার আযাব হালকা করে দেওয়া হয়।

জনাব! সর্বোপরি - যারা জানাযার নামাজের পরে দোয়া করে, ক্বিয়াম করে, এবং ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে, এরাই প্রকৃতপক্ষে সুন্নীয়তের ওপর রয়েছে।     

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ