Call

দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য উপযুক্ত। এদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, এরা তা থেকে পবিত্র। এদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। এ আয়াতে একটি নীতিগত কথা বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানবচরিত্রে স্বাভাবিকভাবে যোগসূত্র রেখেছেন। দুশ্চরিত্রা, ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষের প্রতি এবং দুশ্চরিত্র ও ব্যভিচারী পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এমনিভাবে সচ্চরিত্রা নারীদের আগ্রহ সচ্চরিত্র পুরুষদের প্রতি এবং সচ্চরিত্র পুরুষদের আগ্রহ সচ্চরিত্রা নারীদের প্রতি হয়ে থাকে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ আগ্রহ অনুযায়ী জীবনসঙ্গী খোঁজ করে নেয় এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সে সেরূপই পায়। মুনাফিকরা যখন আয়িশাহ (রাঃ) কে মিথ্যা অপবাদ দিল তখন আল্লাহ তাআলা অভিযোগ থেকে মুক্ত করার জন্য সুরা নুরের ২৬ নাম্বার আয়াতটি নাযিল করেন। উক্ত আয়াতে মূলত বলা হচ্ছে যে, নাবী রাসূলগণ যেমন সৎ ও পূতঃপবিত্র, তাদের স্ত্রীগণও কখনো অসৎ হতে পারে না। সুতরাং তাদের স্ত্রীগণও সৎ ও সতী-সাধ্বী। আর অসৎ স্ত্রীগণ তো অসৎ লোকদের জন্য, কোন সৎ লোকদের জন্য অসৎ স্ত্রী নয়। তবে কোন পুরুষ যদি আল্লাহর কাছে তওবা করে তাহলে সে পুত-প্রবিত্র মেয়েও বিয়ে করতে পারবে।(Sabirul Islam)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার ধারনা কেউ যিনা করলে তার স্ত্রী-ও যিনাকারী হবে। অর্থাৎ আপনি ব্যাভিচার করলে আপনার স্ত্রী-ও ব্যাভিচারী হবে এমন ধারনা সঠিক নয়। সাধারণতঃ ব্যভিচারী ব্যক্তি বিবাহের জন্য নিজের মত ব্যভিচারিণীকেই পছন্দ করে থাকে। তারা এদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। প্রত্যেকেই নিজ নিজ আগ্রহ অনুযায়ী জীবনসঙ্গী খোঁজ করে নেয় এবং সে সেরূপই পায়। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ব্যভিচারী বিয়ে করে না ব্যভিচারিণী বা মুশরিকা নারী ছাড়া। আর ব্যভিচারিণী তাকে বিয়ে করে না ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষ ছাড়া, মুমিনদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। (আন নুরঃ ৩) এ আয়াতের ব্যাপারে তাফসীরে অনেক মত পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেছেনঃ অধিক সময় এ রকমই হয়ে থাকে তাই এ রকম বলা হয়েছে। আয়াতের অর্থ হল সাধারণতঃ ব্যভিচারী ব্যক্তি বিবাহের জন্য নিজের মত ব্যভিচারিণীকেই পছন্দ করে থাকে। সে জন্য দেখা যায় অধিকাংশ ব্যভিচারী নারী-পুরুষ তাদেরই অনুরূপ ব্যভিচারী নারী-পুরুষের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক করে থাকে বা করতে পছন্দ করে। মূলত এ কথার দ্বারা উদ্দেশ্য হল মুমিনদেরকে সতর্ক করা যে, ব্যভিচার যেমন একটি জঘন্যতম কাজ ও মহাপাপ, তেমনি ব্যভিচারী ব্যক্তির সাথে বিবাহ ও দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক গড়াও অবৈধ। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেনঃ দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য। লোকেরা যা বলে তার সাথে তারা সম্পর্কহীন; তাদের জন্য আছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। (আন নুরঃ ২৬) এ আয়াতে একটি নীতিগত কথা বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা মানবচরিত্রে স্বাভাবিকভাবে যোগসূত্র রেখেছেন। দুশ্চরিত্রা, ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষের প্রতি এবং দুশ্চরিত্র ও ব্যভিচারী পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এমনিভাবে সচ্চরিত্রা নারীদের আগ্রহ সচ্চরিত্র পুরুষদের প্রতি এবং সচ্চরিত্র পুরুষদের আগ্রহ সচ্চরিত্রা নারীদের প্রতি হয়ে থাকে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ আগ্রহ অনুযায়ী জীবনসঙ্গী খোঁজ করে নেয় এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সে সেরূপই পায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ