আপনাকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন।কিন্তু এর জন্য আপনাকে অবশ্যই কাফফারা দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে নিচে দিলাম ~~~ হাদিসের মধ্যে কসম সম্পর্কে বলা আছে। সেটা হলো গায়রুল্লাহর নামে কসম করা শিরক। হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করো না।’ আরো এসেছে, ‘যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নাম বাদ দিয়ে গায়রুল্লাহর নামে হলফ করল, কসম করল, সে শিরক করল।’ এ জন্য গায়রুল্লাহর নামে কসম করা সম্পূর্ণরূপে শিরক। কিন্তু কোরআনে কারিমকে স্পর্শ করে, কোরআনে কারিমের নামে যদি কেউ কসম করে থাকে, তাহলে সেটি শিরক হবে না। যেহেতু কোরআন আল্লাহর কালাম। কোরআন সম্পর্কে তিনটি আকিদা হলো সুন্নতে জামাতের অপরিহার্য। তার মধ্যে একটি হলো এটি আল্লাহর কালাম, তা বিশ্বাস করতে হবে। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কালাম যেগুলো সেগুলো সেফাতুল্লাহি সুবাহানতায়ালা, আল্লাহর গুণ। সুতরাং যেমনিভাবে আপনি ‘আর রাহমান’ এই নাম দিয়ে কসম করতে পারেন, তেমনিভাবে কোরআনে কারিমের নামে আপনি কসম করতে পারবেন। কিন্তু এই কসম যদি কেউ করে থাকেন, অবশ্যই তাঁকে এই কসম রক্ষা করতে হবে। আর কসম ভঙ্গ করলে তাঁকে ‘কাফ্ফারাতুল কসম’ বা ‘কাফ্ফারাতুল ইয়ামিন’, অর্থাৎ কসমের যে কাফ্ফারা আছে, তাঁকে সেটি আদায় করতে হবে। যেহেতু কসম কোরআনে কারিমের হরমতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কাফ্ফারাটা হলো: সে বিষয়ে কোরআনের মধ্যে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘এই কাফ্ফারা হচ্ছে ১০ জন মিসকিনকে, তোমরা যা খাও সেই খাবারের আয়োজন করবে একবেলা অথবা তাদের পোশাক দেওয়ার ব্যবস্থা করবে অথবা গোলাম আজাদ করবে। আর যদি এর কোনো একটি করতে সে সক্ষম না হয়, তাহলে তিন দিন একাধারে সিয়াম পালন করবে। (সংগৃহীত )