- ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর মধ্যে পার্থক্য দিন???5 টির বেশি ও পয়েন্ট আকারে দিলে খুবই ভাল হই,,,,
-
"অভিস্রবণও এক প্রকার ব্যাপন"ব্যাখ্যা করো??একটু বড় করে দিবেন।।।
*ব্যাপন একটি ভৌত প্রক্রিয়া, অভিস্রবণ ভৌত হলেও এর পেছনে জৈবিক নিয়ন্ত্রণ কাজ করে। *ব্যাপনে পর্দার প্রয়োজন হয় না, অভিস্রবণে পর্দার প্রয়োজন হয়। *যে প্রক্রিয়ায় কোন পদার্থ তার বেশি ঘনত্বের অঞ্চল হতে কম ঘনত্বের অঞ্চলের দিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সঞ্চালিত হয়, তাকে ব্যাপন বলে।একই দ্রাবক বিশিষ্ট দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক থাকলে যে ভৌত প্রক্রিয়ায় দ্রাবক তার নিজের অধিক ঘনত্ব থেকে কম ঘনত্বের দিকে ব্যাপিত হয় তাকে অভিস্রবণ বলে। *ব্যাপন ক্রিয়ার দ্বারা কোষে অক্সিজেন প্রবেশ করে।অভিস্রবণের মাধ্যমে উদ্ভিদ এককোষী মূলরোম দিয়ে মাটি থেকে পানি শোষণ করতে পারে। *অভিস্রবণ ফুলের পাঁপড়ি বন্ধ বা খুলতে পারে।প্রাণীদের শ্বসনের সময় অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের আদান-প্রদান ও রক্ত থেকে খাদ্য, অক্সিজেন প্রভৃতির লসিকায় বহন ও লসিকা থেকে কোষে পরিবহন করা ব্যাপন দ্বারা সম্পন্ন হয়। @@অভিস্রবণ এক প্রকার ব্যাপন। এতে তরল পদার্থের ব্যাপন ঘটে। পাতলা দ্রবণে দ্রাবক তরল বেশি থাকে এবং ঘন দ্রবণে দ্রাবক তরল কম থাকে। অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পাতলা দ্রবণে থাকা অতিরিক্ত তরল ঘন দ্রবনের দিকে ব্যাপৃত হয়। এই ব্যাপনকেই বিশেষ রূপে অভিস্রবণ বলা হয়।
ব্যাপন আর অভিস্রবনের মধ্যে প্রধান যে বিষয়ের পার্থক্য সেটা হচ্ছে পর্দা বা ঝিল্লি । পর্দা তিন প্রকার । তার মধ্যে এক প্রকার হচ্ছে অর্ধভেদ্য পর্দা । # ব্যাপনের ক্ষেত্রে কোনো পর্দার প্রয়োজন নাই অপর দিকে অভিস্রবন এর ক্ষেত্রে অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন । # অভিস্রবন কেবলমাত্র তরল পদার্থের ক্ষেত্রে ঘটে অপর দিকে ব্যাপন তরল-তরল বা গ্যাস-গ্যাসের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে । # ব্যাপনের ক্ষেত্রে গ্যাসের অনুগুলো বেশি ঘনত্বের দিক থেকে কম ঘনত্বের দিকে যাবে অপরদিকে দ্রাবক কম ঘনত্বের দ্রবন থেকে পর্দা ভেদ করে অধিক ঘনত্বের দ্রবনের দিকে ব্যাপিত হবে । অভিস্রবন প্রক্রিয়ার দ্রাবক অর্ধভেদ্য পর্দা ভেদ করবে কিন্তু দ্রাব পর্দা ভেদ করবে না । দ্রাবক হচ্ছে পানি ।