আমার জানা মতে পেনিস কখনই একেবারে সোজা হয়না । একটু বাকা থাকেই । প্রায় ৩১ শতাংশ পুরুষেরই লিঙ্গ ডানে অথবা বামে কিছুটা বাঁকানো থাকে।লিঙ্গ বাঁকা হওয়াটা কোন সমস্যা নয় এবং এর ফলে শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না। স্বাভাবিকের মতই যৌনমিলন পরিচালনা করা সম্ভব। তাই, আপনি যা করেছেন, সেটা করা উচিত নয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু টিপস দিতে পারি : ১) উপুড় হয়ে ঘুমাবেন না ২) টাইট আন্ডারওয়্যার পড়লে লিঙ্গ কে একটু পর পর বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দিবেন। তবে সমস্যাটি আপনার যদি অনেক বেশি থাকে অর্থাৎ লিঙ্গ যদি অনেক বেশি বাঁকানো থাকে তাহলে শারীরিক মিলনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি অস্বাভাবিকত্বের লক্ষণ। এমতাবস্থায় বিলম্ব না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউরলজিস্ট এর পরামর্শ নিন।
বেশির ভাগ পুরুষের লিঙ্গ কিছুটা বাঁকা থাকে কিংবা একপাশে হেলে থাকে। এটা সস্বাভাবিক। তবে উত্থিত অবস্থায় অস্বাভাবিক বেঁকে থাকাটা রোগের লক্ষন। প্রতি ১ লাখ পুরুষের মধ্যে প্রায় ৪০০জনের লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় বেঁকে যায়। চিকিৎসক সমাজ ও অবস্থাটির নাম দিয়েছেন পেরোনি’জ ডিজিজ। কখনো কখনো একে ফাইব্রাস কেভারোসাইটিস বলা হয়। চিকিৎসা---- সার্জারিঃ যেহেতু পেরোনি’জ ডিজিজ একেকজনের ক্ষেত্রে একক রকম হয়, তাই এর চিকিৎসাও অনেক ধরনের। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে কোনো চিকিৎসা ছাড়া এ রোগ একদু’বছরের মধ্যে ভালো হয়। এমনকি স্কারটিস্যু চলে যেতে পারে। আবার দুঃখজনক ব্যাপার হলো শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ পুরুষের এ সময়ে কোনো পরিবর্তন দেখা দেয় না এবং অন্য ৪০ ভাগ পুরুষের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে সার্জারি হলোযুক্তিযুক্ত চিকিৎসা, যদিও অনেক চিকিৎসা, যদিও অনেক চিকিৎসক অপারেশনের আগে কমপক্ষে এক থেকে দু’বছরঅপেক্ষা করার কথা বলেন। অপেক্ষার এ সময়টুকুতেই অধিকাংশ রোগী প্রথমে অন্য চিকিৎসার মাধ্যমে রোগমুক্তির চেষ্টা করেন, অবশ্য পরে অপারেশনের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে দু’ধরনের সার্জারি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একটি হলো নেসবিট পদ্ধতি। পেরোনি’জ ডিজিজে এ অপারেশনটি সবচেয়ে বেশি করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে লিঙ্গ সচরাচর এক থেকে দু’ইঞ্চি ছোট হয়ে যায়। অন্য আরেকটি পদ্ধতিতে স্কার টিস্যুর জায়গা গ্রাফটেড টিস্যু লাগানো হয়, তবে অনেক ক্ষেত্রে আংশিক বা সম্পূর্ণ পুরুষত্বহীনতা ঘটতে পারে। ট্রাকশন ডিভাইসঃ পেরোনি’জ ডিজিজের আধুনিক চিকিৎসা হিসেবে বর্তমানে এক ধরনের ট্রাকশন ডিভাইS পাওয়া যায়। এটি স্কার টিস্যুর কাঠিন্যকে ঠিক করে দেয় এবং লিঙ্গকে সোজা করে। ট্রাকশন ডিভাইস চিকিৎসার সুবিধা হলো এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এবং এটি ঘরে বসেই নেয়া যেতে পারে