শুধুমাত্র শিক্ষাই যদি পারে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে, তাহলে শিক্ষিত লোকেরাও কেনো দুর্নীতি করে? শুধু শিক্ষা নয়, বরং সুশিক্ষার পাশাপাশি কঠোর আইন ও আইনের কঠোর প্রয়োগই পারে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে। জাতিকে শুধু শিক্ষিত নয়, বরং সুশিক্ষিত হতে হবে। কেননা, সুশিক্ষিত জাতি কখনো দুর্নীতি না করলেও কুশিক্ষিত জাতি ঠিকই দুর্নীতি করে। আবার যেখানে কঠোর আইন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ নেই, সেখানে দুর্নীতির মাত্রা অনেক বেশি। যেমনঃ বাংলাদেশে কঠোর আইন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ না থাকায়, এখানে দুর্নীতির পরিমাণ অনেক বেশি। এমনকি দুর্নীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বে ১ম অবস্থানে রয়েছে, এর কারণঃ এদেশে শিক্ষা আছে, কিন্তু সুশিক্ষা নেই। এদেশে আইন আছে, কিন্তু আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। আইনের শাসনের দিক দিয়ে বাংলাদেশে বিশ্বে ১০২টা দেশের মধ্যে পিছিয়ে ৯৩তম অবস্থানে রয়েছে। যেই দেশে সর্বত্র ধর্মীয় শিক্ষা নেই, সর্বত্র সুশিক্ষা নেই, সর্বত্র আইনের শাসন নেই, সেই দেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে সেটাই স্বাভাবিক। অতএব, শুধুমাত্র শিক্ষা বা লেখাপড়া নয়, বরং সুশিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, কঠোর আইন ও আইনের কঠোর প্রয়োগই পারে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে। আইনের শাসন তথা কঠোর আইন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ থাকলে শুধুমাত্র দুর্নীতি নয়, সকল অপরাধেরই মূলোৎপাটন করা সম্ভব। ধন্যবাদ।
আপনি কী শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যটি শুনেছিলে-তিনি বক্তব্যে বলেছিলেন "আমিও ঘুষ খাই মন্ত্রীও ঘুষ খান।সহনীয় পর্যায়ে খান"।আপনারা জানেন ঘুষ খাওয়া অবৈধ -মানুষের উপর জুলুম-মানবতার সাংঘর্সিক।এবং অনৈতিক কাজ । যদি শিক্ষাই যদি দুর্নীতী মুক্ত করতে পারলে এসব অনৈতিক বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর মুখে প্রকাশ হতো না। আজকের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে ভর্তির আগে গাজা-মদ,ব্যাভিচার,সন্ত্রাস হয়না বরং স্কুল কলেজে পড়ার পরে এসব নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।