শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

প্রাচীন গৌড়ের রাজধানীতে রাজা গুহক তার স্নেহময়ী কন্যা শিলার সৃতি রক্ষার্থে এক সময় একটি হাট নির্মাণ করেন এবং তার নাম রাখেন 'শিলার হাট' । এই শিলার হাট থেকে পর্যায়ক্রমে 'শ্রী হাট না সিলেট নামকরণ হয় ।সিলেটের জন্ম হয় ১৭৭৫ সালে। (সুত্র: ইতিহাস (অনার্স ২য় পত্র,ঢাবি সিলেবাস,কবির প্রকাশনি)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

১৭৭২ সালে সিলেট জেলার সৃষ্টি/জন্ম হয়। তবে, কোনো কোনো জায়গায় সিলেট জেলার জন্ম ১৭৭৫ সাল হিসেবে লেখা হয়। সিলেট জেলার আবিস্কার নিয়ে ইতিহাসে অনেক লোকের অনেক রকম মতামত পাওয়া যায়। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, শিবের স্ত্রী সতি দেবীর কাটা হস্ত (হাত) এই অঞ্চলে পড়েছিল, যার ফলে 'শ্রী হস্ত' হতে শ্রীহট্ট নামের উৎপত্তি বলে হিন্দু সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন।

খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের ঐতিহাসিক এরিয়ান লিখিত বিবরণীতে এই অঞ্চলের নাম "সিরিওট" বলে উল্লেখ আছে। এছাড়া, খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকে এলিয়েনের (Ailien) বিবরণে "সিরটে", এবং পেরিপ্লাস অব দ্যা এরিথ্রিয়ান শ্রী নামক গ্রন্থে এ অঞ্চলের নাম "সিরটে" এবং "সিসটে" এই দুইভাবে লিখিত হয়েছে।

চীনা মানুষ অতঃপর ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে যখন চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই অঞ্চল ভ্রমণ করেন, তখন তিনি তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে এ অঞ্চলের নাম "শিলিচতল" উল্লেখ করেছেন

তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজী দ্বারা বঙ্গবিজয়ের মধ্য দিয়ে এদেশে মুসলিম সমাজব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটলে মুসলিম শাসকগণ তাঁদের দলিলপত্রে "শ্রীহট্ট" নামের পরিবর্তে "সিলাহেট", "সিলহেট" ইত্যাদি নাম লিখেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ মিলে। আর, এভাবেই শ্রীহট্ট থেকে রূপান্তর হতে হতে একসময় সিলেট নামটি প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন।

এছাড়াও, যখন "সিলেটে" "হযরত শাহ জালাল (রঃ) আসেন, তখন শত্রু পক্ষ তাঁকে এবং তাঁর অনুসারী ৩৬০ আউলিয়াদেরকে "শিলা" বা "পাথর" দ্বারা আটকে দিয়েছিল। তখন মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে তিনি বলেন "শিলাহাট"(অর্থ্যাৎ- পাথর সরে যা), তখন তথখনাৎ পাথর গুলো সরে যায়। এই থেকে নাম রাখা হয় "শিলাহাট"। তারপর নাম সহজ করতে করতে হয় "শিলহাট", "সিলাহেট", এবং "সিলেট" (বর্তমানে)। তথ্যসূত্র দেখুনঃ এখানে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ