Call

নামাজে সেজদারত অবস্থায় মৃত্যু আর শহীদি মৃত্যু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা জায়েজ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজের জন্য শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করেছেন! যারা আল্লাহকে যত বেশি ভালবাসেন তারা তত অধিকবার শহীদ হওয়ার আকাঙক্ষা পোষণ করেন। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! যদি কিছু লোক আমার সঙ্গে শরীক না হয়ে পিছনে থেকে যাওয়াটা অপছন্দ না করত, আর সকলকে 'যুদ্ধে যাওয়ার' বাহন দিতে আমি অক্ষম না হতাম, তাহলে আমি কোন যুদ্ধ থেকেই পিছনে থাকতাম না। আমি অবশ্যই কামনা করি যে, আমাকে আল্লাহর পথে শহীদ করা হয়, আবার জীবিত করা হয়। আবার শহীদ করা হয় আবার জীবিত করা হয়। আবার শহীদ করা হয় আবার জীবিত করা হয়। আবার শহীদ করা হয়। (সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৭২২৬ হাদিসের মানঃ সহিহ) যখন মৃত্যু কামনা করা যাবেনাঃ মানুষ বিপদ-আপদ, রাগ-ক্ষোভ, অভাব- অনটন, দমন-পীড়ন, অর্থ-সম্পদ ও সন্তান- সন্তুতি হারিয়ে অথবা অন্য কোনো সমস্যায় পড়লে নিজেই নিজের মৃত্যু কামনা করে থাকে। এভাবে নিজের মৃত্যু কামনা করার বৈধতা নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিধি-নিষেধ করেছেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করবে না আর মৃত্যুর পূর্বে তজ্জন্যে দোয়াও করবে না। কেননা মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। আর মুমিনের জীবন কল্যাণ বা নেকিই বৃদ্ধি করে। (মুসলিম) মুমিন মুসলমানের মৃত্যু কামনার ধরন হোক এমন, যেভাবে হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেছিলেন, হে আল্লাহ! আমাকে ইসলামের অবস্থায় মৃত্যু-মুখে পতিত করো এবং তোমার নেককার বান্দাগণের সঙ্গে একত্রিত করো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের শহীদের মর্যাদা লাভের ইচ্ছা ও আকাঙ্খা পোষণ করার তওফিক দান করুন। সবাইকে শহীদি মৃত্যু নসিব করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ