আপনি নিশ্চই ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন।তাহলে আপনাকে একটা উদাহরন দিই।মনে করুন আপনি একজন গেরস্ত।আপনার জমিতে চাষাবাদ করতে আপনি কিছু লোক নিলেন।সারাদিন তাদের হাতে কাজটা ছেড়ে দিলেন।কিন্তু আপনি দিন শেষে কি তাদের কাছ থেকে কাজের হিসেব নিবেননা।অথবা আপনার কোনো প্রয়োজন ছাড়াই কি তাদের কাজে নিয়োগ করেছেন?জীবন মৃত্যুর ব্যাপারও ঠিক তেমনি।আপনাকে কিছুদিনের জন্য ইশ্বর পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার সেবা করার জন্য।আর তিনি আমাদের কাজের হিসেব নিবেন মৃত্যুর পর।তারপর আমাদের কর্ম অনুযায়ি স্থায়ীভাবে জুটবে স্বর্গ অথবা নরক।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আপনি অমুসলিম,তারপরও কুরআনের ব্যাখ্যা দিয়ে উত্তর দিলাম।আপনাদের ধর্মের বইতে হয়তো নাই,কেন সকল প্রানী মৃত্যুবরন করে।থাকলেতো জিঙ্গাসা করতেন না।কিন্তু আমাদের ধর্ম গ্রন্থেতো আছে।তাই বলছি, জন্ম মৃত্যু আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ্ তায়ালার বিধান।আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,প্রত্যেক প্রানীই মরনশিল।আল্লাহ্ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন,মর্মার্থ, মৃত্যু তোমাদের সাথে অবশ্যই সাক্ষাৎ করিবে,যদি তোমরা আটকানো সুরঙ্গেও থাক,তারপরও মৃত্যু তোমাদের পাকডাও করিবে।।যখন কোনো ব্যাক্তি আকাশে ঘুডি উডায়.তখন যদি সুতা ধরে টানা টানা হয়,আবার হাতে চলে আসে।।।।আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন অস্থায়ীভাবে।এই পৃথিবীতে বসে আমাদের আমলের হিসাব অনুযায়ী পরকালে চিরস্থায়ী জান্নাত ও জাহান্নাম।সকল প্রানীই মরনশীল,মানুষ ও জীন জাতি ছাডা অন্য কোনো প্রানীদের পরকালে হিসাব নিকাশ হবে না।আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,তোমরা কি ধারনা কর যে,আমি তোমাদের অনর্থক সৃষ্টি করেছি?।।।আমাদেরসহ সকল প্রানীকেই সৃষ্টি করেছেন,এই ভূমন্ডল ও নবমন্ডল সবকিছুই আল্লাহর সৃষ্টি।মূলকথা, আমাদেরসহ সকল প্রানীর জন্ম ও মৃত্যু আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর বিধান।তাই সকল প্রানী মৃত্যুবরন করবে।dnt Hd
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী মানুষ বা সবকিছুই ঈশ্বর। কারন ঈশ্বর ও দেবতাগনের সময়ে বিভিন্ন সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী ঈশ্বরের অংশ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। যেমন ভোলানাথের বীর্য থেকে পদ্ম তথা সাপের জন্ম হয়েছে। আর মানুষ তো মনুর সন্তান সবাই জানে। যেহেতু সবকিছু ঈশ্বরের অংশ তাই সবাইকে ঈশ্বরের কাছে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু ঈশ্বরের অংশ গুলো থেকে এমন জীবের সৃষ্টির কারন হচ্ছে দেবতা বা অসুরগন অভিশাপ প্রাপ্ত হতেন আবার তাদের মধ্যে যারা ধার্মিক ছিল তারা দেবতাদের অভিশাপ দিতেন ফলে এসব অভিশাপ বাস্তবায়ন করতে এত কিছু সৃষ্টি করতে বাধ্য হয়েছিলেন ব্রহ্মা। যেহেতু অভিশাপের ফল তাই এগুলোকে অর্থাৎ মানুষদের ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাবার আগে বিশুদ্ধ হতে হয়। তাই দুনিয়ায় তারা ভাল কাজ করেন। ফলে মৃত্যুর মাধ্যমে তারা অস্থায়ী স্বর্গ নামক একটি স্থানে অবস্থান করেন। অন্যদিকে যাহারা ভাল কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তারা নরক নামক স্থানে অবস্থান করেন। যেহেতু বিশুদ্ধ না হলে ফিরে যেতে পারবেন না তাই নরক থেকে পুনরায় খারাপ কাজের শাস্তি রুপে আবার জন্ম নিয়া পৃথিবীতে আসেন। এভাবেই চলতে থাকে জন্ম মৃত্যু। সংক্ষেপে শুধু বোঝার জন্য বললাম।