আমাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে নাহলেও রোজ সন্তুষ্ট করার বা শান্ত করার জন্য ছোটো মিথ্যা ওয়াদা করে তা রোজই না রাখা এবং এর কারণে প্রতিনিয়ত আমার কষ্ট বা কান্নার কারণ হয়, এবং শেষ পর্যন্ত এভাবেই রোজকার মিথ্যা ওয়াদা জমা হতে হতে আমার জীবন খুব অসহায় অবস্থায় পরে এবং মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়। আমি প্রতারিত ও বিপদে পতিত হই তাহলে ওই ব্যাক্তির শাস্তি কি আল্লাহ্‌র বিধানে? আমি নামাজে আল্লাহ্‌র কাছে আমার কষ্টের মুক্তি আর আর অন্যায়ের বিচার চাইলে কি তাকে অভিশাপ দেয়া হয়? আর সরাসরি অভিশাপ দিলে তাতে কি আমার কোনো ক্ষতি হবে? বা তার ওই অভিশাপ লাগবে? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পবিত্র কুরআনে মহান তাআলা ঘোষণা করেন- তোমরা (বিপদ-আপদে) নামায ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। -সূরা বাকার, ৪৫

আর সত্যিকার অর্থে কেউ জুলুমের স্বীকার হলে জুলুম থেকে পরিত্রাণের জন্য জালিমের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য বদদুআ করা বৈধ। তবে না করাই উত্তম। বরং সাধ্যমত তার হিদায়েতের জন্য দুআ করাই উত্তম। কারণ মাজলুমের অভিশাপ ও মহান আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই । অর্থাৎ তা অতিদ্রুতই মঞ্জুর হয়। -সহীহ বুখারী; হা. নং১৪৯৬, সহীহ মুসলিম; হা. নং ১৯, সুনানে আবু দাউদ; হা. নং ১৫৮৪, সুনানে ইবনে মাযা; হা. নং ১৭৮৩ 

বি.দ্র. ফরয নামাযে এধরনের দুআ করা যায় না; তাই করতে চাইলে নফল নামাযে করতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ