শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মুজিযা হচ্ছে নবুয়ত ও রিসালাতের সত্যতা প্রমাণ ও প্রতিষ্ঠার অন্যতম মাধ্যম। মুজিযা মহান আল্লাহর ইচ্ছায় নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ মুজিযাপ্রাপ্ত ছিলেন। সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর চিরন্তন ও সর্বজনীন মুজিযার মাধ্যমে নবী-রাসূলদের মুজিযার সমাপ্তি ঘটে।   নবীগণ তাদের নবুয়তের দাবি প্রমাণ করতে যে সকল অলৌকিক কর্ম বা নিদর্শন প্রদর্শন করেন, তাকে মুজিযা বলা হয়। মুজিযা হল এমন একটি অস্বাভাবিক কাজ, যা উত্তম কাজের দিকে আহ্বানকারী এবং নবুয়তের দাবির সাথে সংশ্লিষ্ট। মুজিযা এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে আল মু'জামুল ওয়াসিত গ্রন্থ প্রণেতা বলেনঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে তারই নির্দেশে সত্য প্রমাণের উদ্দেশ্যে নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে প্রকাশিত নিদর্শনই হলো মুজিযা। মুজিযা কাদের জন্য নির্দিষ্ট, এ ব্যাপারে মুহাক্কিক আলেমগণ বলেনঃ المعجزة انما هی من الانبياء والرسل لا من غيرهم — অর্থাৎ, মুজিযা নবী-রাসুলদের থেকেই প্রকাশিত হয়; অন্য কারো থেকে নয়। এ ব্যাপারে সকল মুহাদ্দিস ও মুফাসসির একমত যে, মুজিযা নাবী-রাসূলদের জন্যেই খাস বা নির্দিষ্ট। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মুজিযা শব্দের আভিধানিক অর্থঃ অলৌকিক ঘটনা। সাধারণ ভাষায়ঃ শুধুমাত্র নবী-রাসূলদের মাধ্যমে ঘটিত অলৌকিক ঘটনাকে মুজিযা বলে। মুজিযা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে শুধু নবী-রাসূলদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক নাবীকে তার যুগের চাহিদা মুতাবিক কিছু মুজিযা দান করা হয়েছে, যা দেখে লোকেরা তার প্রতি ঈমান এনেছে। আমাকে যে মুজিযা দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে, ওয়াহী- যা আল্লাহ তায়ালা আমার প্রতি অবতীর্ণ করেছেন। সুতরাং আমি আশা করি, কিয়ামাতের দিন তাদের অনুসারীদের তুলনায় আমার অনুসারীদের সংখ্যা অনেক অধিক হবে। (সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৪৯৮১,আল-লুলু ওয়াল মারজান হাদিস নম্বরঃ ৯৩, হাদিসের মানঃ সহিহ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ