শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
বিজ্ঞানী জর্জ বীডল ও এডওয়ার্ড এল ট্যাটাম Neurospora crassa নামক ছত্রাক নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর বলেন যে, নির্দিষ্ট জিন নির্দিষ্ট এনজাইম তৈরির জন্য দায়ী। এর মাধ্যমেই গ্যারুল (১৯০৮) সর্বপ্রথম এক জিন এক এনজাইম মতবাদ চালু করেন। এর আগেই জানা ছিল এনজাইম মানেই প্রোটিন, তাই পরবর্তীতে উক্ত মতবাদ পরিমার্জন করে বলা হয় এক জিন এক পলিপেপটাইড চেইন । অর্থাৎ এনজাইম ও প্রোটিন অণু জিন কর্তৃক সৃষ্ট। সিকল সেল হিমোগ্লোবিন (৬০০ অ্যামিনো এসিড নিয়ে গঠিত) নিয়ে কাজ করে ভারনন ইনগ্রাম (১৯৫৯) দেখান যে, এই প্রোটিনে ৬০০ অ্যামিনো এসিড একটি নির্দিষ্ট সাজে সজ্জিত। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে অ্যামিনো এসিডের ভিন্ন ভিন্ন সাজ পদ্ধতির জন্যই বহু বৈচিত্র্যময় এনজাইম তৈরি হয় এবং এক একটি এনজাইম এক একটি সুনির্দিষ্ট জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য দায়ী। তাই প্রোটিনকে বলা হলো জীবনের ভাষা । ক্রোমোজোমে, বিশেষ করে সুগঠিত নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমে প্রোটিন এবং ডি এন এ দুটোই থাকে। Pneumococci নিয়ে গবেষণা করে ফ্রেডেরিক গ্রিফিথ দেখেন যে, এর ভাইরুলেন্ট প্রকরণের ক্যাপসুল সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্যটি স্থানান্তরযোগ্য। পরবর্তীতে ও টি এভেরি প্রমাণ করেন যে, এই ব্যাকটেরিয়ার ক্যাপসুল তৈরির বৈশিষ্ট্য স্থানান্তরিত হয় ডি এন এ দিয়ে। কাজেই বোঝা গেল DNA-ই হচ্ছে জিন ।

DNA বা জিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে →ক্লিক করুন লিংকটিতে
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ