আল্লাহ তাআলা সুলাইমান (আঃ)-কে অনেক বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন, ঠিক তেমন আল্লাহ তাআলা মানুষকে সেরকম বৈশিষ্ট্য দান করলে মানুষের পক্ষেও জিনকে বসে এনে ভালো এবং খারাপ কাজ করানো সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বায়ু প্রবাহকে সুলাইমান (আঃ)-এর অনুগত করে দিয়েছিলেন। তাঁর হুকুম মত বায়ু তাঁকে তাঁর ইচ্ছামত স্থানে বহন করে নিয়ে যেত। তিনি সদলবলে বায়ুর মাধ্যমে নিজ সিংহাসনে সওয়ার হয়ে দুমাসের পথ একদিনে পৌঁছে যেতেন। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ এবং সুলাইমানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম প্রচণ্ড বায়ুকে, সে বায়ু তার আদেশক্রমে প্রবাহিত হত সে দেশের দিকে যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি, প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে আমি সম্যক অবগত। (সূরা আম্বিয়া ২১:৮১) তামার ন্যায় শক্ত পদার্থকে আল্লাহ তাআলা সুলাইমান (আঃ)-এর জন্য তরল ধাতুতে পরিণত করেছিলেন। জিন জাতিকে তাঁর অনুগত করে দিয়েছিলেন। ফলে তিনি যখন কোন কাজের ইচ্ছা করতেন তখন সে কাজ তাঁর সামনে তাদের দ্বারা করিয়ে নিতেন। তারা সুলাইমান (আঃ)-এর ইচ্ছানুযায়ী প্রাসাদ, মূর্তি অর্থাৎ কাঁচের, তামার ইত্যাদির প্রতিচ্ছবি, বড় বড় পাত্র, ডেগ ইত্যাদি নির্মাণ করত এবং সাগরে ডুব দিয়ে তলদেশ থেকে মূল্যবান মণি-মুক্তা, হীরা তুলে আনত। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেনঃ এবং শয়তানদের মধ্যে কতক সুলাইমানের জন্য ডুবুরীর কাজ করত, তা ব্যতীত অন্য কাজও করত, আমি তাদের রক্ষাকারী ছিলাম। (সূরা আম্বিয়া ২১:৮২) আল্লাহ তাআলা আরো বলেন: এবং অধীন করেছিলাম শয়তানদেরকেও, যারা ছিল ইমারত নির্মাণকারী ও ডুবুরী। এবং আরও অনেককে, যারা শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকত। (সূরা সোয়াদঃ ৩৭-৩৮)
ভাইয়া এই কাজটা করা সম্ভব ।মানুষের পক্ষে জিন বস করা সম্ভব।তবে এগুলো শয়তানি কাজ।এগুলো বসে আনলে আল্লাহর সাথে নাফরমানি করা হয়।ধরুন, আল্লাহ আপনাকে যতটুকু ক্ষমতা দিয়েছে, তাতে আপনি সন্তুষ্ট নন।আপনি আল্লাহ তালার উপর মাতাব্বরি করে একটি ক্ষমতা পেতে যাচ্ছেন।এটা তো অবশ্যই কঠিন গুনাহের কাজ।আর নাফরমান কারিদের স্থান অবশ্যই জাহান্নামে।যানা গেছে যারা জিন বসে আনে,সে কম ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তার পরিবার পরিবারের সদস্যরা নানা ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে,তাই ভাইয়া এই নাফরমান কাজ গুলো করা থেকে অবশ্য অবশ্যই বিরত থাকবেন ।