আনোয়ারুল বারী শরহু সহিহুল বুখারীতে হাদিসটির ব্যখ্যা এরকম; ইসলামের প্রাথমিক যুগে তিনটি বিষয় ফরজ ছিল; ঈমান,সতর আবৃত করণ এবং নামাজ।সতরের ক্ষেত্রে বয়সের তারতম্য ছিল। অর্থাৎ সকলের জন্য একই হুকুম ছিলনা।যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বয়স কোন রেওয়াতে পঁচিশ আবার কোন রেওয়াতে এর চেয়ে কম উল্লেখ আছে। আবার তখন নবীও হননি। জাহিলী যুগে সতর আবৃত করার প্রতি কোন গুরুত্ব ছিলনা। এবং উলঙ্গ হয়ে থাকা কোন দোষই মনে করা হতনা। এরপরেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেহুঁশ হয়ে যাওয়া মূলত আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, সামনে থেকে এরকম যেন না হয়।কারণ তিনি আল্লাহর পক্ষ হতে তার রহমতের কোলে পালিত হচ্ছিলেন। আর আল্লাহ তায়ালা নবীদের জন্য নবী হওয়ার পূর্বে তা অপছন্দ করেন যা নবী হওয়ার পর অপছন্দ করেন। এজন্যই সেই যুগে এটা দোষের বিষয় না হলেও সতর্কতার জন্য এমনটা করেছেন। আনোয়ারুল বারী ১১/১১০
ফাতহুল বারী শরহু সহিহুল বুখারীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবী হওয়ার পূর্বে ঘটে যাওয়া ঘটনা দিয়ে নামাজ ও অন্য সময়ে সতর খোলা রাখা নাজায়েজের দলীল দেয়া মর্মে প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে যে, এখানে হাদিসের শেষাংশে বলা হয়েছে "এরপর আর কোনদিন তাঁকে উলঙ্গ দেখা যায়নি" এটা নবী হওয়ার পরের অবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করে, তাই তা দলীল হওয়ার যোগ্য। সুতরাং ইমাম বুখারীর রহঃ এই হাদিস দিয়ে দলীল দেয়া সঠিক হয়েছে। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবী হওয়ার পূর্বে অপছন্দনীয় বিষয়গুলো থেকে হেফাজত ছিলেন, যেমনি ভাবে নবী হওয়ার পর হেফাজত ছিলেন।আর মানুষের সামনে সতর খোলা অবৈধ হওয়াও এখান থেকে প্রমাণিত হয়।
ফাতহুল বারী শরহু সহিহুল বুখারীর উল্লেখিত হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।