সাহরির সময়ই তাহাজ্জুদের উত্তম সময়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করুন, এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় আপনার রব আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (বানী ইসরাঈলঃ ৭৯) আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) এর কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তাহাজ্জুদ সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তিনি রাতের প্রথমাংশে ঘুমাতেন। তারপর সালাতে দাঁড়াতেন এবং সাহরীর পূর্বক্ষণে বিতর আদায় করতেন। এরপর প্রয়োজন মনে করলে বিছানায় আসতেন। তারপর আজানের শব্দ শুনে জেগে উঠতেন এবং অপবিত্র হলে সর্বাগ্রে পানি বইয়ে গোসল করে নিতেন নতুবা অজু করতেন। তারপর সালাত আদায় করতেন। (সহীহ শামায়েলে তিরমিযী হাদিস নম্বরঃ ১৯৬) তাহাজ্জুদ নামাজের উত্তম সময় মূলত রাতের শেষ প্রহর। শেষ প্রহর বলতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশকে বোঝানো হয়েছে। এই শেষ তৃতীয়াংশ থেকে ফজর নামাজের আগ পর্যন্ত এ সময় থাকবে। মধ্যরাতের পরে বা রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। রাত দুইটার পর থেকে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত। সাহরির সময় শেষ হলে তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয়।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় মূলত রাতের শেষ প্রহর। শেষ প্রহর বলতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশকে বোঝানো হয়েছে। এই শেষ তৃতীয়াংশ থেকে ফজর নামাজের আগ পর্যন্ত এ সময় থাকবে। এটা শুরু হবে আপনি ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ফজর নামাজের আগ পর্যন্ত। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে পারবেন। তবে এশার নামাজ আদায় করার পর যখন আপনি ঘুমিয়ে যাবেন, এরপর যখনই জেগে উঠবেন তখন থেকে তাহাজ্জুদ শুরু করবেন। আর তা ফজর নামাজের আগ পর্যন্ত পড়তে পারবেন।