Call

আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কোরআনে জান্নাতি হুরদের সৌন্দর্য, তাদের ভেতর-বাইরের পরিপাটিতা, তাদের দৈহিক রূপের অনেক বর্ণনা করেছেন। তবে, জান্নাতি হুরদের যত গুণগান বর্ণনা করা হোক না কেন, তারপরও মোমেন স্ত্রীলোক তার চেয়েও অধিক রূপসী ও সুন্দরী হবে। কারণ, যে মোমেন নারী দুনিয়াতে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছেন, নামাজ পড়েছেন, রোজা পালন করেছেন, অন্যায় ও অসামাজিক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী জীবন গড়েছেন, তাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কেয়ামতের দিন জান্নাতি হুরদের চেয়েও বেশি সম্মান দান করবেন, যা হুরদের চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বের ও উন্নত হবে। মহান আল্লাহ দুনিয়ার ঈমানদার ও দীনদার নারীকে জান্নাতে বিশেষ বিশেষ নেয়ামত দ্বারা সম্মানিত করবেন। জান্নাতের নারীরা সুন্দরী-রূপসী হবে। দুনিয়ার ঈমানদার নারীরা যে বয়সে যে অবস্থায় মারা যাক মৃত্যুর পর জান্নাতে তাদের তরুণী ও কুমারী বানিয়ে দেওয়া হবে। নারীদের বেহেশতের রূপ-সৌন্দর্য দ্বারা সজ্জিত করা হবে। এটি হবে নারীর জন্য আল্লাহ তায়ালার নির্দেশিত পথে নিজেকে পরিচালনা করার মহা পুরস্কার। সৃষ্টিকুলের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কখনও স্বীয় বান্দা-বান্দির ভালো কাজের প্রতিদান দিতে বিলম্ব করেন না। সওয়াবের কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিদান দিয়ে দেন। তাই, শান্তির চিরস্থায়ী আবাসস্থল জান্নাতে দ্বীনদার নারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে। এ মর্মে আল্লাহ তায়ালা বলেন, এরূপই হবে এবং আমি তাদের হুরদের সঙ্গে বিয়ে দেব। (সূরা দুখান, আয়াত নং ৫৪)। ঈমানদার নারীরা বৃদ্ধা অবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করবে না, বরং চিরকুমারী হয়ে বেহেশতে প্রবেশ করবেন। কারণ, হাদিসে বর্ণিত আছে, "যখন কোনো মোমেন নারী জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে কুমারী বানিয়ে দেবেন।" (তিরমিযী শরীফ)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আমি জান্নাতি রমণীদের বিশেষরূপে সৃষ্টি করব। তারপর তাদের করব চিরকুমারী। কামিনী ও সমবয়স্কা। ডানপন্থি লোকদের জন্য।" (সূরা ওয়াকিয়া, আয়াত নং ৩৫-৩৮)। পরহেজগার ও নেককার নারীরা জান্নাতের হুরের চেয়েও উত্তম হবে। তাদের চেহারায় থাকবে নূরের উজ্জ্বলতা। ত্বক হবে মণি-মুক্তার মতো পরিচ্ছন্ন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, "যেন তারা প্রবল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণী।" (সূরা রহমান, আয়াত নং ৫৮)। হাদিসেও এর বর্ণনা রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নারীরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন হুরের চাইতে তারাই বেশি সুন্দরী হবে। রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ জান্নাতের স্ত্রীরা এত সুন্দরী ও সুদর্শনা হবে যে, যদি তাদের মধ্যে কোন একজন পৃথিবীবাসীদের প্রতি উঁকি দেয়, তবে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যস্থলের সম্পূর্ণ অংশটা উজ্জ্বল হয়ে যাবে এবং সুগন্ধিতে ভরে যাবে। আর তাদের মাথার ওড়না এত মূল্যবান হবে যে, তা দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে তার থেকেও শ্রেয় হবে। (বুখারী) যেমন আল্লাহ বলেনঃ ‘‘সেখানে রয়েছে বহু আনতনয়না স্ত্রীগণ।” সে সকল বিছানায় রয়েছে এমন নারী যারা তাদের দৃষ্টিকে নিজ স্বামী ছাড়া অন্যদের থেকে অবনত রাখে। ইবনু জায়েদ বলেনঃ বর্ণিত আছে যে, জান্নাতী প্রত্যেক নারী তার স্বামীকে লক্ষ্য করে বলবে, আল্লাহর শপথ! আপনার চেয়ে উত্তম জান্নাতে আর কিছু দেখছি না। জান্নাতে আপনার চেয়ে আমার নিকট প্রিয় আর কিছুই নেই। তাই আল্লাহ তাআলার প্রশংসা যিনি আপনাকে আমার ভাগে দিয়েছেন। (ইবনু কাসীর) অর্থাৎ তারা হবে কুমারী, নব-যুবতী ও অবিবাহিতা যাদের সাথে কোন পুরুষ বা জিন সহবাস করেনি। সকল জান্নাতী নারীদের আরো বৈশিষ্ট্য হলোঃ অর্থাৎ মণিমুক্তা যেমন পরিস্কার স্বচ্ছ, তারাও ঠিক এমন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ জান্নাতী নারীরা এমন যে, তার পদনালীর শুভ্রতা সত্তরটি রেশমের হুল্লার পোশাক বিশেষ মধ্য হতেও দেখা যাবে, এমনকি ভেতরের মজ্জাও দৃষ্টি-গোচর হবে। (তিরমিযীঃ ২৫৩৩) অতঃপরঃ তারা যেন হীরা ও মতি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ