অজু হল দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন - “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবাকারীকে পছন্দ করেন এবং যাহারা পবিত্র থাকে তহাদিগকেও পছন্দ করেন। (সূরা বাক্বারাহ,আয়াত: ২২২)। এছাড়াও, কুরআন শরীফ পড়তে ও স্পর্শ করতেও অযু করতে হয়। পবিত্র কোরানে আছে - “যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করো না। (সূরা ওয়াক্কিয়াহ্, আয়াত: ৭৯)। দেহ ও পরিধেয় কাপড়ের পবিত্রতা আর্জনকে বলে তাহারাত্। অযু বা গোসলের মাধ্যমে তাহারাত্ আর্জন করা যায়। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন - “পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ধর্মের অর্ধেক।“ (সহীহ মুসলিম)। এছাড়াও, অযুর প্রধান উপকারিতা হল সালাত কবুল। কেননা, এ সম্পর্কে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, "উসামাহ ইব্ন উমায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি যে আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্রতা (তাহারাত) ছাড়া সালাত কবূল করেন না এবং খিয়ানতের (আত্মসাৎ, প্রতারনা, চুরি ইত্যাদির) মাল থেকেও সাদাকা কবূল করেন না। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৫২৪)। তাই পরিশেষে বলা যায় যে, নানাবিধ থেকে অযুর গুরুত্ব ও উপকারিতা অনেক।