আমার রুক্ষ এবং শুষ্ক এখন আমি কীভাবে চুলের যত্ন নিতে পারি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Ronu

Call

শীতে ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও যত্ন নিতে হয়। কেননা এ সময় চুল নির্জীব দেখায়, উজ্জ্বলতা হারায়। কিন্তু কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে মলিন চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব— প্রাকৃতিক তেল সপ্তাহে অন্তত একবার প্রাকৃতিক তেল (যেমন—নারিকেল, বাদাম তেল ইত্যাদি) হালকা গরম করে চুলে ব্যবহার করুন। এতে চুলের মলিনতা, ভেঙে যাওয়া রোধ হবে। শুধু তাই নয়, এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়ার পাশাপাশি চুল থাকবে ঝকঝকে। স্কার্ফ বা টুপি শীতে চুল ঢেকে রাখাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এ জন্য স্কার্ফ বা টুপি পরা যেতে পারে। আর এ অভ্যাস করতে পারলে চুল অনার্দ্রতা, রুক্ষতা ও ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। চুলের স্প্রে লেবুর দুটি টুকরা দুই কাপ পানিতে দিয়ে কিছু সময় ফুটিয়ে নিন। এরপর সেই লেবুর পানি একটা স্প্রে বোতলে রেখে ব্যবহার করুন। চুলের মাস্ক এক টেবিল চামচ মধু, এক গ্লাস দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে তা চুলে মালিশ করুন। মধু প্রাকৃতিক আর্দ্রতাসম্পন্ন, ফলে চুল মলিন হয়ে যায় না। আর চুল কোমল করে দুধ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শীত মৌসুমে চুল সুস্থ ও সুন্দর রাখার করণীয়। ১. সপ্তাহে তিন দিন গরম তেল দিয়ে চুলের ভিতর ও মাথার তালু ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এ ম্যাসাজ চুল দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে। ২. শীতে অনেকেরই চুল পড়তে দেখা যায়। এই চুল পড়া রোধে তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে হালকা গরম করে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তাতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙে অথবা ডিমের কুসুম মিশিয়ে চুলে লাগান। এতে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। ৩. চুলের ডগা ফেটে গেলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুল বাড়তে সমস্যা হয়। ফলে চুলের ওই অংশ কেটে বাদ দিলে চুলের বৃদ্ধিতে কোনো বাধা থাকবে না। এছাড়া চুলের নিচের অংশ অল্প করে কেটে নিলে চুলের ডগা ভালো থাকবে। ৪. শীতে বেশীর ভাগ মানুষের চুল রুক্ষ আর শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ চুলের জন্য আধা কাপ পালং শাক, ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল নিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করুন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলে সিল্কি ভাব আসবে ও চুল হবে মসৃণ ও প্রাণবন্ত। ৫. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালো করে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে শোওয়া দরকার। এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ভালো হয়। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়লে চুল পড়া কমবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে। ৬. খুশকির সমস্যা দূর করতে এক মুঠো জবা পাতা আর সমপরিমাণ মেহেদি পাতা পেস্ট করে নিয়ে তাতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলে দিতে পারেন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ৭. সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে। এছাড়া কেমিক্যাল ছাড়া মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করাটাই চুলের জন্য ভালো। ৮. চুলে সূর্যের আলো লাগান। কেননা সূর্য থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ডি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে এটি মাথায় রক্ত চলাচলেও উন্নতি ঘটায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সাধারণত স্তন্যপায়ী প্রাণীদের লোম থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে তাকে চুল বলে।এর যত্ন নিতে হলে নিচের কিছু নিয়ম ফলো করতে পারেন-


  • প্রতিদিন শ্যাম্পু করুন।চুলে কখনই রঙ ব্যাবহার করবেন না।
  • চুলে নারিকেল তেল, মেহেদী, আমলকী ইত্যাদি ব্যাবহার করুন।
  • ভিটামিন "ই" ক্যাপসুল ব্যাবহার করতে পারেন।
  • অবশ্যই ভিটামিন "ই" যুক্ত খাবার খেতে হবে। এতে চুল শক্ত হবে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ