খরচের বিষয়টি মোহরনার সাথে জড়িত। আপনার মোহরনা যত বেশি হবে খরচও তত বেশি হবে। বিবাহ রেজিষ্টার করার জন্য প্রতি হাজারে বা তার অংশবিশেষ এর জন্য ১২.৫০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে এই ১২.৫০ টাকা সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ টাকা মোহরনার জন্য সীমাবদ্ধ। ৪ লক্ষ পার হলে প্রতি লক্ষের জন্য ১০০ টকা ফি দিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি আপনার মোহরনা যদি ২ হাজার ১ টাকা হয় আপনার রেজিষ্ট্রি বাবদ খরচ হবে ৩৭.৫০ টাকা। কিন্তু একটি শর্ত আছে যে মোহরনা যত কমই হোক না কেন রেজিষ্ট্রি খরচ ২০০ টাকার নিচে হবেনা। এখানে আরো কিছু খরচ থাকবে যেমন, কাজি ফি, মৌলবী সাহেবের ফি তবে এই ফি কত হবে তা কাজি সাহেব এবং মৌলবী সাহেবের সাথে কথা বলতে হবে। তবে এগুলো খুব বেশি হবেনা, ৫-৭ শত এর মধ্যেই হবে। আর একটি কথা আনুসাঙ্গিক মিষ্টি খরচ কিন্তু আবশ্যই থাকছে।
প্রথমত, মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে একজন বিয়ে রেজিস্ট্রার দেনমোহরের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে একটি বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের ফি নির্ধারণ করে থাকেন।
ধার্যকৃত দেনমোহরের প্রতি হাজার বা তার অংশবিশেষের জন্য ১২.৫০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি। তবে রেজিস্ট্রেশন ফির পরিমাণ ২০০ টাকার কম ও চার হাজার টাকার বেশি হবে না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা-২০০৯, এপ্রিল ১০, ২০১১ তারিখে সংশোধন করেছে।
অত্র আইনের ১০ ধারা মোতাবেক নিকাহ রেজিস্টার বিবাহ রেজিস্ট্রি করনের জন্য ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে এক হাজার বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১২.৫০ টাকা হারে ফি আদায় করতে পারবে।
দেনমোহর ৪ লক্ষ টাকার অধিক হলে পরবর্তী প্রতি লক্ষতে ১০০ টাকা হরে আদায় করবেন। তবে দেনমোহরের পরিমান যাই হোক না কেন সর্বনিম্ন ফি ২০০টাকার কম হবে না।
তবে রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের দায়িত্ব বরপক্ষের। সরকার সময়ে সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ফি পরিবর্তন ও ধার্য করে থাকে। রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিলে নিকাহ রেজিস্ট্রার একটি প্রাপ্তি রশিদ দেবেন। মুসলিম বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের পর নিকাহ রেজিস্ট্রার বাধ্যতামূলকভাবে বর ও কনেপক্ষকে বিয়ের কাবিননামার সত্যায়িত কপি দেবেন।