জোরপূর্বক যদি তালাক নামায় স্বাক্ষর নেয়া হয়, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে তালাক হিসাবে গন্য হবে না। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জোরপূর্বক আদায়কৃত তালাক ও দাসমুক্তি কার্যকর হবে না। (সুনানে ইবনে মাজাহঃ ২০৪৬ হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ) জোরপূর্বক বিবাহ বা তালাক গণ্য নয়। ভয় দেখিয়ে বা হুমকির মুখে কাউকে বিয়ে করে সংসার করলে ব্যভিচার করা হয়। অনুরূপ তালাক-ও। জোরপূর্বক মুসলিম বানানো হলে যেমন কেউ মুসলিম হয়ে যায় না, জোরপূর্বক কুফরী করলে যেমন কেউ কাফের হয় না, তেমন বিবাহ ও তালাক-ও। মহান আল্লাহ বলেছেন, কেউ বিশ্বাস করার পরে আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং অবিশ্বাসের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর ক্রোধে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি, তবে তার জন্য নয়, যাকে অবিশ্বাসে বাধ্য করা হয়েছে, অথচ তার চিত্ত বিশ্বাসে অবিচল। (নাহলঃ ১০৬) রাসূল (সাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃত এবং যার উপর তাকে নিরুপায় করা হয়, তার 'পাপ'কে অতিক্রম 'ক্ষমা' করেন। (ইবনে মাজাহঃ ২০৪৫)
হানাফি মাযহাব অনুসারে জোর পূর্বক তালাক প্রদান করলে তা পতিত হয়ে যায়৷ প্রমাণ: حدثنا القعنبي، حدثنا عبد العزيز، - يعني ابن محمد - عن عبد الرحمن بن حبيب، عن عطاء بن أبي رباح، عن ابن ماهك، عن أبي هريرة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " ثلاث جدهن جد وهزلهن جد النكاح والطلاق والرجعة " . আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি কাজ এমন যা বাস্তবে বা ঠাট্টাচ্ছলে করলেও তা বাস্তবিকই ধর্তব্য। তা হলোঃ বিবাহ, তালাক ও স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২১৯৪ হাদিসের মান: হাসান হাদিস