পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে যে বিধর্মীদের বিবাহ করা জায়েয নয়। এখন, একটি মুসলিম মেয়ে লেখাপড়া শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু তার বাবা মা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে দিতে চায়।মেয়েটি তা চায় না।পরবর্তীতে এক হিন্দু ছেলে, মেয়েটিকে লেখাপড়া চালাবার জন্য এবং জোরপূর্বক বিয়ে হতে বাঁচাবার জন্য তাকে হিন্দু ধর্মানুযায়ী বিয়ে করে।মেয়েটিও তা মেনে নেয় এবং ছেলেটির বাসায় চলে যায়। এ ক্ষেত্রে মেয়েটির কি করা উচিৎ ছিল?  শরীয়ত মোতাবেক সকলের যুক্তিযুক্ত মতামত আশা করছি । বি.দ্র. উত্তর অসম্পূর্ন বা যুক্তিহীন হলে সতর্ক করা হবে। 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মেয়েটির উচিত ছিল তার বাবা মার মত অনুযায়ি তার বাবা মার পছন্দের ছেলেকে বিবাহ করা।আর তা না করে সে (পিতামাতার)অবাধ্য হয়ে বিধর্মি এক ছেলের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। আর হাদিসে এসেছে পিতামাতার অবাধ্যতার শাস্তি আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের পূর্বে দিয়ে থাকেন।আর ঐ মেয়েটির বিবাহ যায়েজ হয়নি।এবং মেয়েটি যদি হিন্দু ধর্মের নিয়ম মেনে নেয় তাহলে সে মুসলমান থেকে বহিষ্কৃত।আরো কিছু জানার থাকলে বলতে রাজি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আসলে মেয়েটির উচিত ছিল বাবা- মার কথা মানা। কারণ মা বাবা সর্বদাই সন্তানের কল্যাণ চান। কোনো না কোনো ভাবে তার মা বাবার কথা মানাতে তার কল্যাণ ছিল। অতটুকু তার জন্য বাবা-মাকে বলা উচিৎ ছিল যে, আমাকে এমন ছেলের সাথে বিবাহ দিন যে আমাকে লেখা পড়া করার সুযোগ দেবে অথবা তার জন্য  একজন মুসলিম ছেলের সাথে বিবাহ বসা উচিত ছিল।আচ্ছা যা হওয়ার হয়ে গেছে তবে এখন মেয়েটি তার স্বামীকে যেকোনো মূল্যে ইসলাম ধর্মে আনতে হবে। স্বামী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাদের বিবাহ নবায়ন করা ব্যতিতই জীবন যাঁপন করা বিশুদ্ধ হবে।অন্যতায় মেয়েটি এই স্বামী ত্যাগ করে অন্য কোনো মুসলিম ছেলের সঙ্গে বিবাহ বসবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ