image আমার বয়স 18 আগে অনেকবারই মুখে ব্রণ হয়েছিল তার অনেকটাই থুতুতে সেরে গিয়েছিল আবার কিছু থুতু দেওয়ার পর না সেরে পেকেছিল বলে গেলে দিয়েছিলাম|

গত একসপ্তাহ আগে কপালে একটা ব্রণ হয়েছিল সেটা বারবার থুতু দেওয়ার পরও সারেনি ও ফুলে পেকে খুব ব্যাথা হয়েছিল আর নামাজ পড়তে গিয়ে সেটা গেলে গিয়েছিল বলে বাড়ি এসে সেটা টিপে রক্ত বার করে দিয়ে ফোলা একদম কমিয়ে দিয়েছিলাম আর তার একদিন পরেই ভ্রুর উপরে এই ব্রণটি হয়েছে তার ফুলেছে ও ব্যাপক ব্যাথা কিন্তু এখনও পাকেনি আর বারবার থুতু দেওয়াতেও কিছু কাজ হচ্ছেনা| তাই একটু আগে একটু টিপে হালকা রক্ত বার করে দিয়েছি তারপর আর কিছু করিনি।এখনও ফোলা রয়েছে আর ব্যাপক ব্যাথা ।

**মুখে এইরকম ব্রণ বার হওয়ার কারণ ও দ্রুত স্থায়ী প্রতিকার কী প্লিজ একটু বিস্তারিতভাবে সঠিক উত্তর দেবেন**

**আমার মনে হচ্ছে এটা ব্রণ নয় ফোঁড়া খুব ব্যাথা করছে আর খুব ফুলেছে নামাজে সিজদা দিতে গেলে খুব যন্ত্রণা করছে প্লিজ সমাধান দিন


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

*ব্রণের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা তেমন নিশ্চিত না হলেও সাধারণত দেখা যায় হজমের গোলমাল, সুরাপান, বয়ঃসন্ধিকালে কিংবা অন্যান্য কারণে অনেকের মুখে ব্রণ হয়। আবার অনেকেই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ব্রনের অনেকগূলো কারণের ভিতর বংশগত কারণ একটি অন্যতম কারণ। প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামক এক ধরনের জীবাণু স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়াতে থাকে। এন্ড্রোজেন হরমনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ ( মাথা, মুখ, ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব ) বেরে যায় এবং লোমের গোড়াতে উপস্থিত জীবাণু সেবাম থেকে ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। অ্যাসিডের কারণে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং লোমের গোড়ায় কেরাটিন জমা হতে থাকে। *প্রাকৃতিকভাবে ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ় কিছু উপায়: ১। বরফ: সবচেয়ে সহজলভ্য এবং কার্যকরী উপায় হল বরফ। এটি ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। একটি বরফের ছোট টুকরো পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে নিয়ে এক মিনিটের জন্য ব্রণের মধ্যে রাখুন। এইভাবে বার বার করুন। এই পদ্ধতি ব্রণের লাল হওয়া ও ফোলাভাব কমাবে। ২। লেবুর রস: লেবুর রস খুব দ্রুত ব্রণ শুকাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। এক টুকরো তুলোর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণে লাগান। এভাবে সারা রাত রাখুন। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দূর করতে এই পদ্ধতিও বেশ কার্যকর। ৩।টুথপেষ্ট: টুথপেষ্ট নামটা শুনে কিছুটা অবাক হতে পারেন। কিন্তু দ্রুত ব্রণ দূর করতে টুথপেষ্টের জুড়ি নেই। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ব্রাশ করার সমইয় কিছুটা পেষ্ট ব্রণে লাগিয়ে নিন। সকালে ভালভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং দেখুন ম্যাজিক। চাইলে দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। ৪। রসুন; রসুনে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা ব্রণ দূর করে থাকে। এক টুকরো রসুন থেতঁলে ব্রণের উপর আলতো করে ঘষুন। ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি দিনে কয়েকবার করতে পারেন। ৫। মধু: মধু হল প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক যা ব্রণ দ্রুত নিরাময় করে থাকে। এক টুকরো পরিষ্কার তুলায় মধু লাগিয়ে ব্রণে লাগান। আধা ঘণ্টার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু এবং দারুচিনির পেষ্ট তৈরি করেও ব্রণ লাগাতে পারেন। সারা রাত রেখে সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালভবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে নিয়মিতি মধু ব্যবহারে ব্রণ একেবারেই সারবে কি না, সেটা নিয়ে গবেষকরা এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ, চেষ্টা করুন অপ্রক্রিয়াজাত বা টাটকা মধু ব্যবহার করতে। ৬। বেকিং সোডা: বেকিং সোডা অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় ময়লা এবং মৃত কোষগুলো দূর করে থাকে। ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও সামান্য পানি বা লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে ব্রণে লাগান। শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি দিনে দু থেকে তিনবার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন বেকিং সোডা খুব বেশি সময় ত্বকে পর্যন্ত রাখা যাবে না। ৭। পেঁপে: পেঁপে ব্রণের খুব ভাল প্রতিষেধক। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ এবং এনজাইম আছে যা ব্রণ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে থাকে। কাঁচা পেঁপে রস করে সেটি ব্রণে লাগান। শুকানোর জন্য ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে পুরো মুখের জন্য ব্যবহার করতে পারেন পেঁপের প্যাক। ২ টেবিল চা চামচ পেঁপের পেষ্ট ১ চা চামচ মধু পেঁপের পেষ্ট এবং মধু দিয়ে ম্যাস্ক তৈরি করুন। মাস্কটি মুখে আর ঘাড়ে ভালভাবা লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলুন। রেফারেন্সঃ How to Get Rid of Pimples **স্থায়ীভাবে বেশি কাজ করার জন্য আরো কয়েকটি সমাধান: ১.অ্যালোভেরা: প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালোভেরা পাতার জেলে রয়েছে প্রদাহ-বিরধী উপাদান সমূহ ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমূহ। যা অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ক্ষত ও দাগ সারানোর জন্য অন্যতম একটি প্রাকৃতিক উপাদান করে তোলে। ব্যবহারবিধি অ্যালোভেরার পাতা মাঝ বরাবর কেটে ভেতরের জেল চামচের সাহায্যে ছেঁচে নিতে হবে। এরপর সেই জেল সরাসরি মুখের ত্বকের আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে ৩০ মিনিট সময়ের জন্য মুখে অ্যালোভেরা জেল রেখে দিতে হবে, এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন দুইবার এই পদ্ধতিতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে হবে। ২.লেবু: প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান হিসেবে লেবু সবচাইতে ভালো একটি উপাদান। ত্বকের যেকোন ধরণের দাগকে হালকা করে ফেলার ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো কাজ করে থাকে লেবু। একই সাথে ত্বকের মরা চামড়া দূর করে ত্বকে নতুন কোষ তৈরিতে, ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধিতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে থাকে। ব্যবহারবিধি সমপরিমাণ লেবুর রস ও মধু একসাথে ভালোভাবে মেশাতে হবে। তুলার বলের সাহায্যে ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে খুব আলতোভাবে মুখ মুছে নিতে হবে। প্রতিদিন এইভাবে লেবু ব্যবহার করতে হবে। ৩.অ্যাপল সাইডার ভিনেগার: অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের অ্যাসিডিক উপাদান সমূহ ত্বকের পিগমেন্টেশনকে হালকা করতে সাহায্য করে থাকে। যে কারণে, ব্রণের ফলে ত্বকে তৈরি হওয়া দাগ কমাতে এই ভিনেগার চমৎকার কার্যকরি। একই সাথে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ত্বকের মরা চামড়া দূর করতেও সাহায্য করে থাকে। ব্যবহারবিধি সমপরিমাণ আনফিল্টার্ড অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এবং পানি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তুলার বলের সাহায্যে ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট সময়ে জন্য রেখে দিয়ে পানি দিয়ে মুখ খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন একবার এই নিয়মে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করতে হবে। ৪.নারিকেল তেল: প্রাকৃতিক উপাদান নারিকেল তেলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ, যা ত্বকের কোষের ক্ষতিপূরণ করতে, ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। একইসাথে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বককে নমনীয় রাখার জন্যে নারিকেল তেল খুব ভালো কাজ করে থাকে। ব্যবহারবিধি নারিকেল তেল সরাসরি ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট সময় নিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ করার পড়ে অন্তত এক ঘন্টার জন্য ত্বকে তেল রেখে দিয়ে এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ৫.বেকিং সোডা: ত্বকের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে বেকিং সোডা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে। এটি এক্সফলিয়েন্ট উপাদান হিসেবেও ত্বকের উপরের দাগকে দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ব্যবহারবিধি একটি বাটিতে দুই চা চামচ বেকিং সোডা নিয়ে কিছু পরিমাণ পানি মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করতে হবে। এরপর এই পেষ্ট সরাসরি ব্রণের দাগের উপরে লাগিয়ে দিয়ে ৫ মিনিট সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন অন্তত একবার এইভাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করলে কয়েক সপ্তাহের মাঝেই দাগ কমে যাবে অনেকখানি। ঘরোয়া এই সকল উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, রাতারাতি কোন পরিবর্তন পাওয়া এক্ষেত্রে সম্ভব নয়। তবে যেহেতু কেমিক্যালমুক্ত পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে, সেহেতু এই উপায় ত্বকের ক্ষেত্রে কোন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করবে না। শুধুমাত্র ধৈর্য ধরে ব্যবহার করলেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। সূত্র: Top10HomeRemedies

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ