ও কারণ কি কি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ব্রেন ক্যান্সার সত্যিই একটি বিরল রোগ কিন্তু এই রোগের নানা ধরন রয়েছে। এই ক্যান্সারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল খুব দ্রুত তা শরীরের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই সচরাচর এই রোগ ধরা পড়ার পরে খুব বেশিদিন বাঁচার সম্ভাবনা কম। রোগীর বয়স যত কম, এই রোগ ধরা পড়ার পরে তার বেঁচে থাকার সময়কাল তত বেশি।  প্রত্যেকটি বড় ধরনের অসুখের ক্ষেত্রেই শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেই লক্ষণগুলি দেখে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে, অনেক সময়েই নিরাময়ের সম্ভাবনা থাকে। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস হেলথ সায়েন্স সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চার্লস ডেভিস কয়েকটি সাধারণ লক্ষণের কথা বলেছেন, যেগুলি কিন্তু ব্রেন ক্যান্সারের পূর্বসূচনা হতে পারে—  ১। সেইজার বা মৃগী।  ২। মানসিক অবস্থার হঠাৎ পরিবর্তন। যেমন- অত্যধিক ঘুম পাওয়া, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়া অথবা মনোযোগের অভাব।  ৩। চোখ ঠিক থাকা সত্ত্বেও কোনও কারণ ছাড়াই দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা।  ৪। কথা জড়িয়ে যাওয়া অথবা সঠিক শব্দে নিজেকে প্রকাশ করতে না পারা  ৫। আচার-আচরণ-ব্য়বহার হঠাৎই কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তন  ৬। চলাফেরায় জড়তা বা হাঁটতে অসুবিধা ৭। গা-বমি ভাব বা বার বার বমি হওয়া (এটা বিশেষ করে মধ্যবয়সী বা বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়)।  ৮। হঠাৎ করে জ্বর আসা, বিশেষ করে কেমোথেরাপির পরে। ৯। মাথার যন্ত্রণা শেষের লক্ষণটি দেখে বোঝা সবচেয়ে কঠিন কারণ এটি শুধু ব্রেন ক্যানসার নয়, একাধিক কারণে হতে পারে। বিশেষ করে যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে বা সাইনাস রয়েছে, তাদের কাছে এটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তাই উপরের এই লক্ষণগুলির কোনও একটি যদি বেশ অনেকদিন ধরে ঘটে, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ব্রেইন ক্যান্সারের লক্ষণ:
১. অতিরিক্ত মাথা ব্যথা এবং যত গভীর ঘুম হয় মাথা ব্যথাও ততো বেশি বাড়ে ।
২. পেটে ব্যথা ছাড়া অথবা বমনেচ্ছা ছাড়াই বমি হওয়া।
৩. স্ট্যাসিস এবং এডিমা হওয়া।
৪. চোখ অতিরিক্ত কাঁপা অথবা চোখের পাতা বন্ধ করতে অসুবিধা হওয়া।
৫. ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পাওয়া, অলীক কোন কিছুতে কল্পনা করা ইত্যাদি ।
৬. শ্রবণশক্তিও হ্রাস পাওয়া।
৭.অপ্রাপ্ত বয়সে মৃগী রোগ দেখা দিলে এবং সাথে মানসিক ভারসাম্যহীনতা অথবা অন্য কোন অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা গেলে প্রথমেই বুঝতে হবে এটি ব্রেইন ক্যান্সার ।

ব্রেইন ক্যান্সারের কারণ:

১. রেডিয়েশন ; মোবাইল এবং কম্পিউটার হতে নির্গত তেজস্ক্রিয় তরঙ্গ কিংবা যে কোন ভাবেই তেজস্ক্রিয় তরঙ্গের স্পর্শে আসলে।
২. বাহ্যিক অথবা অভ্যন্তরীণ ভাবে মাথায় অনেক বেশি আঘাত পেলে কিংবা আগে বিদ্যমান টিউমারের আকৃতিও বেড়ে গেলে ।
৩. বিভিন্ন কেমিক্যাল দীর্ঘসময় ধরে বা হেয়ার কালার মাথায় ব্যবহার করলে।
৪.ভ্রূণের উন্নয়নের সময় একটোপিক প্রিমিটিভ সেল অথবা করোটি গহ্বর থেকে যায় এবং এর বর্ধন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে জন্মগত ভাবেও মস্তিষ্কের ক্যান্সার হতে পারে ।
৫. জেনেটিক্যাল কারণে । 

 

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ