জানাজার নামাজের পর মুনাজাত আছে কিনা দলিল সহ ব্যাখ্যা দিলে খুব উপকীত হব
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কাফিরঃকাফির বা কাফের এর পরিচয় কাফির শব্দের অর্থ An Infidel (according to Muslims) সূত্র: SAMSAD BENGALI ENGLISH DICTIONARY ‍“কাফির শব্দটির সাধারণভাবে অবিশ্বাসী অর্থে মুমিন-এর বিপরীতার্থকরূপে ব্যবহৃত হয়। আভিধানিকভাবে অর্থ বিলোপকারী,আবৃতকারী,উহা হইতে প্রাপ্ত উপকার গোপনাকরী অর্থাৎ অকৃতজ্ঞ। প্রাচীন আরবী কবিতায়ও শব্দটির এই অর্থ পাওয়া যায়। (আল কুরআনে) সূরা ২৬:১৯ তে অকৃতজ্ঞ অর্থে কাফির ব্যবহৃত হইয়াছে বা আল্লাহর অনুগ্রহকে গোপনকারী অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে (১৬:৫৫-৮৩; এবং ৩০:৩৩) ইহার বহুবচনে কাফিরূন বা কুফফার শব্দের ব্যবহার দেখা যায় (৮০:৪২)। সুত্র: সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ,ঢাকা: মে ২০০৭: পৃষ্ঠা-২৮০ যে ব্যক্তি কুফরী কাজে লিপ্ত হয় তাকে কাফির বলে।বিশ্বের সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্বের প্রমাণ ঘোষণা করছে। কাফির ব্যক্তি এ মহাসত্যকে দেখেও গোপন করে, অস্বীকার করে,অবিশ্বাস করে। মানুষ সব সময় আল্লাহ পাকের অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে ডুবে আছে। আগুন,পানি,আলো,বাতাস,সবকিছুই আল্লাহর দান। মানুষের হাত,পা,চোখ,কান,মস্তিষ্ক,জ্ঞান-বুদ্ধি,শক্তি-সামর্থ সবই আল্লাহর দান। এরপরও যে ব্যক্তি আল্লাহকে অস্বীকার করে সে চরম অকৃতজ্ঞ,অবাধ্য ও কাফির।‍ সূত্র: ইসলাম শিক্ষা (মাধ্যমিক): জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড,ঢাকা: প্রকাশকাল-ডিসেম্বর ২০০৮:পৃষ্ঠা-৩

 

 আপনার আরেকটি প্রশ্ন করেছেন তা হলে জানানার নামাজের পর দুয়া করা যাবে কিনা?

নিচে তা তুলে ধরা হলোঃ


জানাযার নামাজ-ই মূলত দোয়া, তাই জানাযার নামাজের পর দোয়া-মুনাজাত করা যাবে না। তবে দাফন করার পর দোয়া করা শুধু জায়েজই নয় বরং উত্তম। (আবু দাউদ ২/৪৫৯)

তবে মৃতকে মাটিতে দাফন করার পর, তার কবরের পাশে কিবলামুখী হয়ে হাত তুলে দোয়া করা জায়েজ আছে। কেননা হাদিসে এসেছে,

عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا فَرَغَ مِنْ دَفْنِ الْمَيِّتِ وَقَفَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: «اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيكُمْ، وَسَلُوا لَهُ بِالتَّثْبِيتِ، فَإِنّ الْآنَ يُسْأَلُ

হযরত উসমান বিন আফফান রাযি‏.‏ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মৃতের দাফন থেকে ফারিগ হতেন, তখন তিনি সেখানে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য দোয়া কর, এবং তার জন্য দৃঢ়তার দোয়া কর। কেননা, এখনি তাকে সুওয়াল করা হবে।(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩২২১)

বিষয়ে সঊদী আরবের সর্বোচ্চ ফতওয়া বোর্ড ফাতাওয়া লাজনাহ আদ-দায়েমাকে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে বলা হয়-

الدعاء عبادة من العبادات، والعبادات مبنية على التوقيف، فلا يجوز لأحد أن يتعبد بما لم يشرعه الله. ولم يثبت عن النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أنه دعا بصحابته على جنازة ما بعد الفراغ من الصلاة عليها، والثابت عنه صلى الله عليه وسلم أنه كان يقف على القبر بعد أن يسوى على صاحبه ويقول: استغفروا لأخيكم واسألوا له التثبيت، فإنه الآن يسأل- وبما تقدم يتبين أن الصواب: القول بعدم جواز الدعاء بصفة جماعية بعد الفراغ من الصلاة على الميت، وأن ذلك بدعة-


দোয়া অন্যতম ইবাদত। আর ইবাদত দলীলের উপর নির্ভরশীল। অতএব কারো জন্য শরীআত বহির্ভূত পন্থায় ইবাদত করা জায়েয হবে না। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয় নি যে, তিনি জানাযার নামাজের পরে সাহাবীদের নিয়ে দোয়া করেছেন। তাঁর থেকে যা সাব্যস্ত হয়েছে তা হল- তাঁর সাহাবীদের কবর সমান করা হলে তিনি কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং ঈমানের উপর দৃঢ় রাখার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কর। কারণ এখনই তাকে

প্রশ্ন করা হবে পূর্বের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মাইয়েতের জন্য নামাজ আদায় করার পর দলবদ্ধভাবে মুনাজাত করা জায়েয না হওয়াই সঠিক। কারণ তা বিদআত(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমাহ /১৬, ফতওয়া নং ২২৫১)

 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

*কাফেরঃ যে বিষয় গুলোর প্রতি ঈমান আনতে বলা হয়েছেতা প্রকাশ্যে মুখে অস্বীকার করা বা তার প্রতি অন্তরে বিশ্বাস না রাখা হলো কুফর।যার মোধ্যে কুফর থাকে সে হলো কাফের।

আর জানাযার নামাযের পর দাফনের পূর্বে দুআর কথা হাদীস কুরআনে কোথাও নেই। বরং হাদীসে এসেছে-হযরত উসমান বিন আফফান রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মৃতের দাফন থেকে রিগ হতেন,   তখন তিনি সেখানে দাঁড়াতেন এবং বলতেনতোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য দোয়া কর,  এবং তার  জন্য দৃঢ়তার দোয়া কর কেননাএখনি তাকে সুওয়াল করা হবে। সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং-৩২২১

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামের মৌলিক যে সাতটি বিষয় আছে তার কোনো একটিকে অবিশ্বাস করাকে কুফর বলে।আর যারা কুফরে লিপ্ত বা যারা কুফর করে তাদের কাফির বলা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
IbluHasan

Call

যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে। তাদেরকে কাফির বলে। তবে কাউকে কাফির বলে ডাকা যাবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ